Monday, 31 August 2015
Sunday, 30 August 2015
তাশাহুদে বসে আঙ্গুল দিয়ে ইশারা
#বিসমিল্লাহির_রাহমানির_রাহিম,
#সকল_প্রশংসা_আল্লাহর_যিনি_এই_বিষয়টি_নিয়ে_লেখার_তাওফিক_দান_করেছেন।==
==> তাশাহুদে বসে আঙ্গুল দিয়ে ইশারা
করা রাসূল সাঃ থেকে বিভিন্ন
হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) থেকে
বর্নিত যে, তিনি বলেন, রাসূলূঁল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
যখন তাশাহুদ পড়ার জন্য বসতেন, তখন তার
বাম হাত বাম হাঁটুর উপর এবং ডান হাত
ডান হাঁটুর উপর রাখতেন। আর (ডান
হাতের আংগুল দ্বারা) তিপ্পান্ন
বানিয়ে শাহাদাত আংগুলি দ্বারা
""""ইশারা""""" করতেন।
# সূত্র : সহীহ মুসলিম (ইফাঃ), অধ্যায়ঃ ৫/
মসজিদ ও সালাতের স্থান, হাদিস
নাম্বার:১১৮৮
---------------------------------------------
----------------------------------------------
==> রাসূল সা: কিভাবে ইশারা করতেন
তার পদ্ধতি বর্ণনা হয়েছে নিম্নোক্ত
হাদিসে।
ওয়াইল ইবনু হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেন, আমি (মনে মনে ) বললাম
যে, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সালাতের
প্রতি লক্ষ্য রাখব যে, তিনি কিভাবে
সালাত আদায় করেন। অতএব, আমি তাঁর
প্রতি লক্ষ্য বাখতে বললাম। পরে তিনি
বর্ণনা করে বলেন, তিনি (রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
সালাতে) বসলেন এবং তাঁর বাম পা
বিছিয়ে দিলেন ও তাঁর বাম হাত তাঁর
উরু ও বাম হাটূর উপর রাখলেন আর তাঁর
ডান উরুর উপর ডান কনুই খাড়া রাখলেন
এবং তাঁর দু’টি অঙ্গুলি বন্ধ রাখলেন ও
(অন্য দুটি দ্বারা) গোলাকার বৃত্ত
বানালেন তারপর একটি আঙ্গূলটি
উঠালেন। আমি তাঁকে দেখলাম যে,
তিনি সেই আংগুলটি """"নাড়াচ্ছেন""
""" আর তদ্দারা """"""ইশারা""""" করছেন।
#সূত্র: সুনানে নাসাঈ, অধ্যায়ঃ ১৩/ সাহু
[ভুল], হাদিস নাম্বার:১২৬৮
প্রথম হাদিস আমাদের জানাচ্ছে যে,
রাসূল সা: ইশারা করতেন আর দ্বিতীয়
হাদিস জানাচ্ছে যে, আংগুল
নাড়িয়ে ইশারা করেছেন।
আলহামদুলিল্লাহ, আমরা মুসলিমরা
এমনটিই করে থাকি আমাদের প্রতিটি
স্বলাতে।
---------------------------------------------
----------------------------------------------
এ পর্যায়ে আমাদের আহলে ঠক খ্যাত
হানাফীরা তাদের ওয়েব সাইটে
আংগুল না নাড়ানোর কথা উল্লেখ
করতে গিয়ে একটি হাদিস উল্লেখ
করেছে যেটি রয়েছে সুনান আবু
দাউদে।
হাদিসটি লক্ষ্য করা যাক:-
ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﺍﻟﺰﺑﻴﺮ ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ
ﻛﺎﻥ ﻳﺸﻴﺮ ﺑﺄﺻﺒﻌﻪ ﺇﺫﺍ ﺩﻋﺎ ﻭﻻ ﻳﺤﺮﻛﻬﺎ
হযরত আব্দুল্লাহ বিন জুবায়ের রাঃ
থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ যখন
"তাশাহুদ পড়তেন", তখন আঙ্গুল দিয়ে
ইশারা করতেন, কিন্তু আঙ্গুল নাড়াতেই
থাকতেন না। {সুনানে নাসায়ী কুবরা,
হাদীস নং-১১৯৩, সুনানে আবু দাউদ,
হাদীস নং-৯৮৯, মুসনাদে আবী
আওয়ানা, হাদীস নং-১৫৯৪}
.
উপরোক্ত হাদিসটিতে তারা
জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে। কারণ
"তাশাহুদ পড়তেন" কথাটি তাদের
নিজেরা যুক্ত করেছে।
.
# প্রথমত :
হাদিসটিতে ﺇﺫﺍ ﺩﻋﺎ তথা যখন রাসূল সা:
দুআ করতেন তখন আংগুল দ্বারা ইশারা
করতেন কিন্তু নাড়াতেন না।
হাদিসটিতে তাশাহুদ শব্দটি নাই। তাই
হাদিসটি আংগুল নাড়ানোর
ব্যাপারে বর্ণিত সুনানে নাসাঈ-র
সুস্পষ্ট হাদিসের বিপরীতে প্রাধান্য
পাবে না। আংগুল নাড়ানোটাই
প্রাধান্য পাবে।
.
# দ্বিতীয়ত :
যদি হাদিসটি গ্রহণও করা হয়, তবুও সেটা
মাযহাবী মতের পক্ষে যায় না। কারণ
হানাফীরা দুআর সময় আংগুল নাড়ায়
না। তাশাহুদের সময় আমরা আল্লাহুম্মা
সাল্লি আলা.......আল্লাহুম্মা বারিক
আলা.....আল্লাহুম্মা ইন্নি জালামতু...
ইত্যাদি দুআ পড়ি। হানাফীরা কি সেই
দুআ পাঠের সময়গুলোতে আংগুল দ্বারা
ইশারা করে? কখনোই করে না। তাহলে
কেন তারা আবু দাউদের উক্ত হাদিসটি
দলিল হিসেবে উপস্থাপন করে? তারা
এমন কথাই বলে যার উপর তারা আমল
করে না।
.
# তৃতীয়ত: "আঙ্গুল নাড়াতেন না" অংশটুকু
বর্ধিত। কারণ আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইর রা.
সূত্রে আর যে সমস্ত বর্ণনা রয়েছে
সেগুলোতে "আঙ্গুল নাড়াতেন না"
শব্দটি নাই।
.
# চতুর্থত: আঙ্গুল নাড়াতেন মর্মে
হাদিসটির সানাদ অনেক মজবুত।
বর্ণনাকারী প্রত্যেকেই সিক্বাহ
(নির্ভরযোগ্য) এবং হাদিসে "তাশাহুদ"
শব্দটি সুস্পষ্ট থাকায় অগ্রাধিকার
পাওয়ার যোগ্য।
আর আঙ্গুল না নাড়ানোর হাদিসটির
সানাদ তুলনামূলকভাবে মজবুত নয় এবং
হাদিসটিতে তাশাহুদ শব্দটি নাই।
বিধায় এটি প্রাধান্য পাবে না।
.
# পঞ্চমত : বর্ধিত বিতর্কিত অংশ
"নাড়াতেন না" বাদ দিলেই সমস্ত
হাদিসের মধ্যে সামঞ্জস্যতা
প্রতিষ্ঠা পায়। আর বাদ না দিয়ে
আংগুল নাড়ানোর হাদিসের
বিপরীতে উপস্থাপন করলে "আংগুল
নাড়াতেন না" অংশটুকু শায হবে।
.
# ষষ্ঠত: আংগুল না নাড়ানোর হাদিসটি
স্বলাতের ভিতরের নাকি বাহিরের
সাথে সম্পর্কিত তা হাদিস থেকে
জানা যায় না। তাই হাদিসটি অস্পষ্ট।
.
সুতরাং তাশাহুদে আঙ্গুল নাড়ানো
রাসূল সা: থেকে প্রমাণিত সুন্নাত।
---------------------------------------------
----------------------------------------------
এ পর্যায়ে হানাফীরা যদি বলে যে,
ইমাম আবু দাউদ রহ. হাদিসটি বর্ণনা করে
চুপ থেকেছেন আর যে হাদিসের উপর
তিনি চুপ থাকেন, সেই হাদিস ইমাম আবু
দাউদের নিকট সহীহ।
.
তাহলে আমরা হানাফীদের জানিয়ে
দিতে চাই যে, উবাদা বিন সামিত
রা. এর ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা
পাঠ করার হাদিসের ব্যাপারেও ইমাম
আবু দাউদ রহ. চুপ ছিলেন। সুতরাং
ইমামের পিছনে সূরা পাঠ করার
হাদিসও ইমাম আবু দাউদ রহ. এর নিকট
সহীহ। অথচ আপনারা এটিকে সহীহ
মানেন না।
আর এটাও বুঝা গেল ইমাম আবু দাউদ রহ.
সহীহ ও যঈফ দুপ্রকারের হাদিসের
ব্যাপারেই চুপ থেকেছেন। তাই ইমাম
আবু দাউদ রহ. এর চুপ থাকাকে মাযহাবী
মতের পক্ষে টেনে পানি ঘোলা না
করাই উত্তম।
.
যদি বলেন সাধারণ যুক্তি হচ্ছে আংগুল
না নাড়ানো, তবে আমরা বলব, রাসূল
সা: যেখানে আংগুল নাড়িয়েছেন,
সেখানে আমরা এসব যুক্তির ধার ধারি
না। আমাদের রাসূল সা: আংগুল
নাড়িয়েছেন, আমরাও নাড়াবো।
.
আল্লাহ আমাদের সত্য বুঝার ও আমল
করার তাওফিক দান করুন। আমীন
COMMENTS:-
#সকল_প্রশংসা_আল্লাহর_যিনি_এই_বিষয়টি_নিয়ে_লেখার_তাওফিক_দান_করেছেন।==
==> তাশাহুদে বসে আঙ্গুল দিয়ে ইশারা
করা রাসূল সাঃ থেকে বিভিন্ন
হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) থেকে
বর্নিত যে, তিনি বলেন, রাসূলূঁল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
যখন তাশাহুদ পড়ার জন্য বসতেন, তখন তার
বাম হাত বাম হাঁটুর উপর এবং ডান হাত
ডান হাঁটুর উপর রাখতেন। আর (ডান
হাতের আংগুল দ্বারা) তিপ্পান্ন
বানিয়ে শাহাদাত আংগুলি দ্বারা
""""ইশারা""""" করতেন।
# সূত্র : সহীহ মুসলিম (ইফাঃ), অধ্যায়ঃ ৫/
মসজিদ ও সালাতের স্থান, হাদিস
নাম্বার:১১৮৮
---------------------------------------------
----------------------------------------------
==> রাসূল সা: কিভাবে ইশারা করতেন
তার পদ্ধতি বর্ণনা হয়েছে নিম্নোক্ত
হাদিসে।
ওয়াইল ইবনু হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেন, আমি (মনে মনে ) বললাম
যে, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সালাতের
প্রতি লক্ষ্য রাখব যে, তিনি কিভাবে
সালাত আদায় করেন। অতএব, আমি তাঁর
প্রতি লক্ষ্য বাখতে বললাম। পরে তিনি
বর্ণনা করে বলেন, তিনি (রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
সালাতে) বসলেন এবং তাঁর বাম পা
বিছিয়ে দিলেন ও তাঁর বাম হাত তাঁর
উরু ও বাম হাটূর উপর রাখলেন আর তাঁর
ডান উরুর উপর ডান কনুই খাড়া রাখলেন
এবং তাঁর দু’টি অঙ্গুলি বন্ধ রাখলেন ও
(অন্য দুটি দ্বারা) গোলাকার বৃত্ত
বানালেন তারপর একটি আঙ্গূলটি
উঠালেন। আমি তাঁকে দেখলাম যে,
তিনি সেই আংগুলটি """"নাড়াচ্ছেন""
""" আর তদ্দারা """"""ইশারা""""" করছেন।
#সূত্র: সুনানে নাসাঈ, অধ্যায়ঃ ১৩/ সাহু
[ভুল], হাদিস নাম্বার:১২৬৮
প্রথম হাদিস আমাদের জানাচ্ছে যে,
রাসূল সা: ইশারা করতেন আর দ্বিতীয়
হাদিস জানাচ্ছে যে, আংগুল
নাড়িয়ে ইশারা করেছেন।
আলহামদুলিল্লাহ, আমরা মুসলিমরা
এমনটিই করে থাকি আমাদের প্রতিটি
স্বলাতে।
---------------------------------------------
----------------------------------------------
এ পর্যায়ে আমাদের আহলে ঠক খ্যাত
হানাফীরা তাদের ওয়েব সাইটে
আংগুল না নাড়ানোর কথা উল্লেখ
করতে গিয়ে একটি হাদিস উল্লেখ
করেছে যেটি রয়েছে সুনান আবু
দাউদে।
হাদিসটি লক্ষ্য করা যাক:-
ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﺍﻟﺰﺑﻴﺮ ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ
ﻛﺎﻥ ﻳﺸﻴﺮ ﺑﺄﺻﺒﻌﻪ ﺇﺫﺍ ﺩﻋﺎ ﻭﻻ ﻳﺤﺮﻛﻬﺎ
হযরত আব্দুল্লাহ বিন জুবায়ের রাঃ
থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ যখন
"তাশাহুদ পড়তেন", তখন আঙ্গুল দিয়ে
ইশারা করতেন, কিন্তু আঙ্গুল নাড়াতেই
থাকতেন না। {সুনানে নাসায়ী কুবরা,
হাদীস নং-১১৯৩, সুনানে আবু দাউদ,
হাদীস নং-৯৮৯, মুসনাদে আবী
আওয়ানা, হাদীস নং-১৫৯৪}
.
উপরোক্ত হাদিসটিতে তারা
জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে। কারণ
"তাশাহুদ পড়তেন" কথাটি তাদের
নিজেরা যুক্ত করেছে।
.
# প্রথমত :
হাদিসটিতে ﺇﺫﺍ ﺩﻋﺎ তথা যখন রাসূল সা:
দুআ করতেন তখন আংগুল দ্বারা ইশারা
করতেন কিন্তু নাড়াতেন না।
হাদিসটিতে তাশাহুদ শব্দটি নাই। তাই
হাদিসটি আংগুল নাড়ানোর
ব্যাপারে বর্ণিত সুনানে নাসাঈ-র
সুস্পষ্ট হাদিসের বিপরীতে প্রাধান্য
পাবে না। আংগুল নাড়ানোটাই
প্রাধান্য পাবে।
.
# দ্বিতীয়ত :
যদি হাদিসটি গ্রহণও করা হয়, তবুও সেটা
মাযহাবী মতের পক্ষে যায় না। কারণ
হানাফীরা দুআর সময় আংগুল নাড়ায়
না। তাশাহুদের সময় আমরা আল্লাহুম্মা
সাল্লি আলা.......আল্লাহুম্মা বারিক
আলা.....আল্লাহুম্মা ইন্নি জালামতু...
ইত্যাদি দুআ পড়ি। হানাফীরা কি সেই
দুআ পাঠের সময়গুলোতে আংগুল দ্বারা
ইশারা করে? কখনোই করে না। তাহলে
কেন তারা আবু দাউদের উক্ত হাদিসটি
দলিল হিসেবে উপস্থাপন করে? তারা
এমন কথাই বলে যার উপর তারা আমল
করে না।
.
# তৃতীয়ত: "আঙ্গুল নাড়াতেন না" অংশটুকু
বর্ধিত। কারণ আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইর রা.
সূত্রে আর যে সমস্ত বর্ণনা রয়েছে
সেগুলোতে "আঙ্গুল নাড়াতেন না"
শব্দটি নাই।
.
# চতুর্থত: আঙ্গুল নাড়াতেন মর্মে
হাদিসটির সানাদ অনেক মজবুত।
বর্ণনাকারী প্রত্যেকেই সিক্বাহ
(নির্ভরযোগ্য) এবং হাদিসে "তাশাহুদ"
শব্দটি সুস্পষ্ট থাকায় অগ্রাধিকার
পাওয়ার যোগ্য।
আর আঙ্গুল না নাড়ানোর হাদিসটির
সানাদ তুলনামূলকভাবে মজবুত নয় এবং
হাদিসটিতে তাশাহুদ শব্দটি নাই।
বিধায় এটি প্রাধান্য পাবে না।
.
# পঞ্চমত : বর্ধিত বিতর্কিত অংশ
"নাড়াতেন না" বাদ দিলেই সমস্ত
হাদিসের মধ্যে সামঞ্জস্যতা
প্রতিষ্ঠা পায়। আর বাদ না দিয়ে
আংগুল নাড়ানোর হাদিসের
বিপরীতে উপস্থাপন করলে "আংগুল
নাড়াতেন না" অংশটুকু শায হবে।
.
# ষষ্ঠত: আংগুল না নাড়ানোর হাদিসটি
স্বলাতের ভিতরের নাকি বাহিরের
সাথে সম্পর্কিত তা হাদিস থেকে
জানা যায় না। তাই হাদিসটি অস্পষ্ট।
.
সুতরাং তাশাহুদে আঙ্গুল নাড়ানো
রাসূল সা: থেকে প্রমাণিত সুন্নাত।
---------------------------------------------
----------------------------------------------
এ পর্যায়ে হানাফীরা যদি বলে যে,
ইমাম আবু দাউদ রহ. হাদিসটি বর্ণনা করে
চুপ থেকেছেন আর যে হাদিসের উপর
তিনি চুপ থাকেন, সেই হাদিস ইমাম আবু
দাউদের নিকট সহীহ।
.
তাহলে আমরা হানাফীদের জানিয়ে
দিতে চাই যে, উবাদা বিন সামিত
রা. এর ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা
পাঠ করার হাদিসের ব্যাপারেও ইমাম
আবু দাউদ রহ. চুপ ছিলেন। সুতরাং
ইমামের পিছনে সূরা পাঠ করার
হাদিসও ইমাম আবু দাউদ রহ. এর নিকট
সহীহ। অথচ আপনারা এটিকে সহীহ
মানেন না।
আর এটাও বুঝা গেল ইমাম আবু দাউদ রহ.
সহীহ ও যঈফ দুপ্রকারের হাদিসের
ব্যাপারেই চুপ থেকেছেন। তাই ইমাম
আবু দাউদ রহ. এর চুপ থাকাকে মাযহাবী
মতের পক্ষে টেনে পানি ঘোলা না
করাই উত্তম।
.
যদি বলেন সাধারণ যুক্তি হচ্ছে আংগুল
না নাড়ানো, তবে আমরা বলব, রাসূল
সা: যেখানে আংগুল নাড়িয়েছেন,
সেখানে আমরা এসব যুক্তির ধার ধারি
না। আমাদের রাসূল সা: আংগুল
নাড়িয়েছেন, আমরাও নাড়াবো।
.
আল্লাহ আমাদের সত্য বুঝার ও আমল
করার তাওফিক দান করুন। আমীন
COMMENTS:-
- নির্বাক আমি আমার একটা প্রশ্ন-------------আমরা ্তাকবিরে তাহরিমার পর হাত কোথায় বাধব???????বুকে,নাভির উপর,নাভির নিচে??????
- Nayon Ahmed ত্বাঊস (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) ছালাতের মধ্যে তাঁর ডান হাত বাম হাতের উপর রাখতেন এবং উভয় হাত বুকের উপর শক্ত করে ধরে রাখতেন।- আবুদাঊদ হা/৭৫৯, সনদ ছহীহ।
- Nayon Ahmed বুকের উপর হাত বাঁধার ছহীহ হাদীছ সমূহ : রাসূল (ছাঃ) সর্বদা বুকের উপর হাত বেঁধে ছালাত আদায় করতেন। উক্ত মর্মে একাধিক ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। নিম্নে কয়েকটি পেশ করা হল : (১) সাহল বিন সা‘দ (রাঃ) বলেন, লোকদেরকে নির্দেশ দেওয়া হত, মুছল্লী যেন ছালাতের মধ্যে তার...See More
- Muslim Jashim Shiekh জাযাক অাল্লাহু খাইরান,,,
- Rahul Hossain Ruhul Amin তাশাহুদে মুসল্লী কি আঙ্গুল নাড়িয়ে ইশারা করবে? নাকি আঙ্গুল নাড়াবে না?
তাশাহুদে বসে আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করা রাসূল সাঃ থেকে বিভিন্ন হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।...See More
Rahul Hossain Ruhul Amin #তৃতীয়ত:
"আঙ্গুল নাড়াতেন না" অংশটুকু বর্ধিত। কারণ আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইর রা.
সূত্রে আর যে সমস্ত বর্ণনা রয়েছে সেগুলোতে "আঙ্গুল নাড়াতেন না" শব্দটি নাই।
.
#চতুর্থত: আঙ্গুল নাড়াতেন মর্মে হাদিসটির সানাদ অনেক মজবুত। বর্ণনাকারী প্রত্যেকেই সিক্বাহ (নির্ভরযোগ্য) এবং হাদিসে "তাশাহুদ" শব্দটি সুস্পষ্ট থাকায় অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য।
আর আঙ্গুল না নাড়ানোর হাদিসটির সানাদ তুলনামূলকভাবে মজবুত নয় এবং হাদিসটিতে তাশাহুদ শব্দটি নাই। বিধায় এটি প্রাধান্য পাবে না।
.
#পঞ্চমত: বর্ধিত বিতর্কিত অংশ "নাড়াতেন না" বাদ দিলেই সমস্ত হাদিসের মধ্যে সামঞ্জস্যতা প্রতিষ্ঠা পায়। আর বাদ না দিয়ে আংগুল নাড়ানোর হাদিসের বিপরীতে উপস্থাপন করলে "আংগুল নাড়াতেন না" অংশটুকু শায হবে।
.
#ষষ্ঠত: আংগুল না নাড়ানোর হাদিসটি স্বলাতের ভিতরের নাকি বাহিরের সাথে সম্পর্কিত তা হাদিস থেকে জানা যায় না। তাই হাদিসটি অস্পষ্ট।
.
সুতরাং তাশাহুদে আঙ্গুল নাড়ানো রাসূল সা: থেকে প্রমাণিত সুন্নাত।
এ পর্যায়ে হানাফীরা যদি বলে যে, ইমাম আবু দাউদ রহ. হাদিসটি বর্ণনা করে চুপ থেকেছেন আর যে হাদিসের উপর তিনি চুপ থাকেন, সেই হাদিস ইমাম আবু দাউদের নিকট সহীহ।
.
তাহলে আমরা হানাফীদের জানিয়ে দিতে চাই যে, উবাদা বিন সামিত রা. এর ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পাঠ করার হাদিসের ব্যাপারেও ইমাম আবু দাউদ রহ. চুপ ছিলেন। সুতরাং ইমামের পিছনে সূরা পাঠ করার হাদিসও ইমাম আবু দাউদ রহ. এর নিকট সহীহ। অথচ আপনারা এটিকে সহীহ মানেন না।
আর এটাও বুঝা গেল ইমাম আবু দাউদ রহ. সহীহ ও যঈফ দুপ্রকারের হাদিসের ব্যাপারেই চুপ থেকেছেন। তাই ইমাম আবু দাউদ রহ. এর চুপ থাকাকে মাযহাবী মতের পক্ষে টেনে পানি ঘোলা না করাই উত্তম।
.
যদি বলেন সাধারণ যুক্তি হচ্ছে আংগুল না নাড়ানো, তবে আমরা বলব, রাসূল সা: যেখানে আংগুল নাড়িয়েছেন, সেখানে আমরা এসব যুক্তির ধার ধারি না। আমাদের রাসূল সা: আংগুল নাড়িয়েছেন, আমরাও নাড়াবো।
.
আল্লাহ আমাদের সত্য বুঝার ও আমল করার তাওফিক দান করুন। আমীন
.
#চতুর্থত: আঙ্গুল নাড়াতেন মর্মে হাদিসটির সানাদ অনেক মজবুত। বর্ণনাকারী প্রত্যেকেই সিক্বাহ (নির্ভরযোগ্য) এবং হাদিসে "তাশাহুদ" শব্দটি সুস্পষ্ট থাকায় অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য।
আর আঙ্গুল না নাড়ানোর হাদিসটির সানাদ তুলনামূলকভাবে মজবুত নয় এবং হাদিসটিতে তাশাহুদ শব্দটি নাই। বিধায় এটি প্রাধান্য পাবে না।
.
#পঞ্চমত: বর্ধিত বিতর্কিত অংশ "নাড়াতেন না" বাদ দিলেই সমস্ত হাদিসের মধ্যে সামঞ্জস্যতা প্রতিষ্ঠা পায়। আর বাদ না দিয়ে আংগুল নাড়ানোর হাদিসের বিপরীতে উপস্থাপন করলে "আংগুল নাড়াতেন না" অংশটুকু শায হবে।
.
#ষষ্ঠত: আংগুল না নাড়ানোর হাদিসটি স্বলাতের ভিতরের নাকি বাহিরের সাথে সম্পর্কিত তা হাদিস থেকে জানা যায় না। তাই হাদিসটি অস্পষ্ট।
.
সুতরাং তাশাহুদে আঙ্গুল নাড়ানো রাসূল সা: থেকে প্রমাণিত সুন্নাত।
এ পর্যায়ে হানাফীরা যদি বলে যে, ইমাম আবু দাউদ রহ. হাদিসটি বর্ণনা করে চুপ থেকেছেন আর যে হাদিসের উপর তিনি চুপ থাকেন, সেই হাদিস ইমাম আবু দাউদের নিকট সহীহ।
.
তাহলে আমরা হানাফীদের জানিয়ে দিতে চাই যে, উবাদা বিন সামিত রা. এর ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পাঠ করার হাদিসের ব্যাপারেও ইমাম আবু দাউদ রহ. চুপ ছিলেন। সুতরাং ইমামের পিছনে সূরা পাঠ করার হাদিসও ইমাম আবু দাউদ রহ. এর নিকট সহীহ। অথচ আপনারা এটিকে সহীহ মানেন না।
আর এটাও বুঝা গেল ইমাম আবু দাউদ রহ. সহীহ ও যঈফ দুপ্রকারের হাদিসের ব্যাপারেই চুপ থেকেছেন। তাই ইমাম আবু দাউদ রহ. এর চুপ থাকাকে মাযহাবী মতের পক্ষে টেনে পানি ঘোলা না করাই উত্তম।
.
যদি বলেন সাধারণ যুক্তি হচ্ছে আংগুল না নাড়ানো, তবে আমরা বলব, রাসূল সা: যেখানে আংগুল নাড়িয়েছেন, সেখানে আমরা এসব যুক্তির ধার ধারি না। আমাদের রাসূল সা: আংগুল নাড়িয়েছেন, আমরাও নাড়াবো।
.
আল্লাহ আমাদের সত্য বুঝার ও আমল করার তাওফিক দান করুন। আমীন
বাড়িতে ওযু করে মসজিদে গেলে প্রত্যেকবার হজের সওয়াব দেওয়া হয়
বাড়িতে ওযু করে মসজিদে গেলে প্রত্যেকবার হজের সওয়াব দেওয়া হয়-
আবু উমামা (রাঃ) বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, যে নিজের ঘর হতে ওযু করে ফরয
সলাত আদায়ের জন্য বের হল তাঁর নেকী একজন এহরামধারী হাজীর নেকির সমান। আর যে
চাস্তের সলাতের জন্য বের হল, তাঁর সওয়াব ১ জন ওমরাকারীর সওয়াবের সমান এবং
এক সলাতের পর অপর সলাত আদায় করা যার মধ্যে কোন অনর্থক কাজ করা হয়নি এমন
বেক্তির নাম ইল্লিনে লেখা হয়। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস সহিহ, শাইখ আল্বানি-তাহকিক মিশকাত হাদিস-৭২৮)
আলহামদুলিল্লাহ্, আল্লাহ তা’লা কতো বড় দয়াময়, যে কেও অতি সহজেই প্রতিদিন ৫
টি হযের সওয়াব অর্জন করতে পারে অবশ্য কেও আবার এমন ভাববেন না যে, তাহলে তো
হযে যাওয়ার দরকারই নেই, সেটা ভুল ধারণা হবে কেননা যাদের আর্থিক ও শারীরিক
সক্ষমতা রয়েছে তাদের উপর হজ্জ ফরয করে দিয়েছেন আল্লাহ তা’লা সুতরাং সেটা তো
করতেই হবে। এই হাদিসে সবচেয়ে বড় ১ টা শিক্ষা রয়েছে সেটা হচ্ছে মানুষ কি
করে পাপ থেকে বেঁচে থাকতে পারবে তাঁর বাস্তব নমুনা তুলে ধরেছেন রাসুল
(সাঃ), তিনি বলেছেন ১ সলাত আদায় করে আরেক সলাত পর্যন্ত কোন পাপ কাজ যে করবে
না তাঁর নাম ইল্লিনে লেখা হবে, ইল্লিনে জান্নাতিদের নাম লেখা হয় আর
সিজ্জিনে জাহান্নামিদের। সুতরাং যে কোন পাপি ব্যক্তি যদি এই হাদিস অনুসরণ
করে অর্থাৎ মনে মনে দৃঢ় সংকল্প করে যে, ১ সলাত আদায় করে অন্য সলাত পর্যন্ত
আমি কোন পাপকাজ করবো না তাহলে ফজর থেকে নিয়ে জোহর, জোহর থেকে নিয়ে আসর, আসর
থেকে নিয়ে মাগরিব আর মাগরিব থেকে নিয়ে এশা এভাবেই তাঁর জীবন থেকে পাপকাজ
হারিয়ে যাবে আর এটাই হচ্ছে মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর আদর্শ, এজন্যই রাসুল (সাঃ)
তাঁর প্রত্যেক খুতবায় বলতেন, নিশ্চয় সর্বোত্তম আদর্শ মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর
আদর্শ।
Sunday, 23 August 2015
আমরা যে স্বলাত আদায় করি, তা কি সঠিক পন্থায় হচ্ছে কিনা তা জানাবেন?
- #আমাদের_অনেক_ভাইয়ের_প্রস্ন,?
আমরা যে স্বলাত আদায় করি, তা
কি সঠিক পন্থায় হচ্ছে কিনা তা জানাবেন?
আমি ক্ষুদ্রজ্ঞানে বলতে
চাই আমাদের প্রত্যকেরই জানা উচিৎ
কিভাবে আমরা রাসুল (সাঃ) আমাদের জন্য নামাজের পদ্ধতি
শিখিয়ে দিয়েগেছেন।
ছেলে ও মেয়ের নামাজ একই,,
রাসুল (সাঃ) কোন ভাগ করে দিয়ে
যায়নি,, যে তোমরা ছেলেরা এবাবে
আর তোমরা মেয়েরা এভাবে,,,
হাদিসে এসেছে (তোমরা) আর তোমরা দিয়ে এখানে উভয়কে
একই নিয়মে বুযানো হয়েছে,?
★★ছালাতের সংক্ষিপ্ত নিয়ম
بسم الله الرحمن الرحيم★★
#রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,
صَلُّوْا كَمَا رَأَيْتُمُوْنِىْ أُصَلِّىْ،
‘তোমরা ছালাত আদায় কর সেভাবে,
যেভাবে আমাকে ছালাত আদায় করতে দেখছ’...।১
ছালাতের সংক্ষিপ্ত নিয়ম ) (مختصر صفة صلاة الرسول صـ
(★১) তাকবীরে তাহরীমা : ওযূ করার পর ছালাতের সংকল্প করে ক্বিবলামুখী দাঁড়িয়ে ‘আল্লা-হু আকবর’ বলে দু’হাত কাঁধ বরাবর উঠিয়ে তাকবীরে তাহরীমা শেষে বুকে বাঁধবে।
এ সময় বাম হাতের উপরে ডান হাত কনুই বরাবর রাখবে অথবা বাম কব্জির উপরে ডান কব্জি রেখে বুকের উপরে হাত বাঁধবে।
অতঃপর সিজদার স্থানে দৃষ্টি রেখে বিনম্রচিত্তে নিম্নোক্ত দো‘আর মাধ্যমে মুছল্লী তার সর্বোত্তম ইবাদতের শুভ সূচনা করবে।-
اَللَّهُمَّ بَاعِدْ بَيْنِيْ وَبَيْنَ خَطَايَايَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ اَللَّهُمَّ نَقِّنِيْ مِنَ الْخَطَايَا كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الْأَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ، اَللَّهُمَّ اغْسِلْ خَطَايَايَ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَد-
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা বা-‘এদ বায়নী ওয়া বায়না খাত্বা-ইয়া-ইয়া, কামা বা-‘আদতা বায়নাল মাশরিক্বি ওয়াল মাগরিবি। আল্লা-হুম্মা নাকক্বিনী মিনাল খাত্বা-ইয়া, কামা ইউনাকক্বাছ ছাওবুল আব্ইয়াযু মিনাদ দানাসি। আল্লা-হুম্মাগ্সিল খাত্বা-ইয়া-ইয়া বিল মা-য়ি ওয়াছ ছালজি ওয়াল বারাদি’।
অনুবাদ : হে আল্লাহ! আপনি আমার ও আমার গোনাহ সমূহের মধ্যে এমন দূরত্ব সৃষ্টি করে দিন, যেমন দূরত্ব সৃষ্টি করেছেন পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে।
হে আল্লাহ! আপনি আমাকে পরিচ্ছন্ন করুন গোনাহ সমূহ হ’তে, যেমন পরিচ্ছন্ন করা হয় সাদা কাপড় ময়লা হ’তে। হে আল্লাহ! আপনি আমার গুনাহ সমূহকে ধুয়ে ছাফ করে দিন পানি দ্বারা, বরফ দ্বারা ও শিশির দ্বারা’।২
একে ‘ছানা’ বা দো‘আয়ে ইস্তেফতাহ বলা হয়। ছানার জন্য অন্য দো‘আও রয়েছে। তবে এই দো‘আটি সর্বাধিক বিশুদ্ধ।
(২★) সূরায়ে ফাতিহা পাঠ : দো‘আয়ে ইস্তেফতা-হ বা ‘ছানা’ পড়ে আ‘ঊযুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ সহ
সূরায়ে ফাতিহা পাঠ করবে এবং অন্যান্য রাক‘আতে কেবল বিসমিল্লাহ বলবে। জেহরী ছালাত হ’লে সূরায়ে ফাতিহা শেষে সশব্দে ‘আমীন’ বলবে।
সূরায়ে ফাতিহা (মুখবন্ধ) সূরা-১, মাক্কী :
أَعُوْذُ بِا للہِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ◌ بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ (1) الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ (2) الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ (3) مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ (4) إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ (5) اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ (6) صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ (7)
উচ্চারণ : আ‘ঊযু বিল্লা-হি মিনাশ শায়ত্বা-নির রজীম। বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।
(১) আলহাম্দু লিল্লা-হি রবিবল ‘আ-লামীন
(২) আর রহমা-নির রহীম
(৩) মা-লিকি ইয়াওমিদ্দ্বীন
(৪) ইইয়া-কা না‘বুদু ওয়া ইইয়া-কা নাস্তা‘ঈন
(৫) ইহ্দিনাছ ছিরা-ত্বাল মুস্তাক্বীম
(৬) ছিরা-ত্বাল্লাযীনা আন‘আমতা ‘আলাইহিম
(৭) গায়রিল মাগযূবি ‘আলাইহিম ওয়া লায্ যোয়া-ল্লীন।
অনুবাদ : আমি অভিশপ্ত শয়তান হ’তে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি। পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)।
(১) যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি জগত সমূহের প্রতিপালক
(২) যিনি করুণাময় কৃপানিধান
(৩) যিনি বিচার দিবসের মালিক
(৪) আমরা একমাত্র আপনারই ইবাদত করি এবং একমাত্র আপনারই সাহায্য প্রার্থনা করি
(৫) আপনি আমাদেরকে সরল পথ প্রদর্শন করুন!
(৬) এমন লোকদের পথ, যাঁদেরকে আপনি পুরস্কৃত করেছেন
(৭) তাদের পথ নয়, যারা অভিশপ্ত ও পথভ্রষ্ট হয়েছে’। আমীন! (হে আল্লাহ! আপনি কবুল করুন)।
(৩) ক্বিরাআত : সূরায়ে ফাতিহা পাঠ শেষে ইমাম কিংবা একাকী মুছল্লী হ’লে প্রথম দু’রাক‘আতে কুরআনের অন্য কোন সূরা বা কিছু আয়াত তেলাওয়াত করবে।
কিন্তু মুক্তাদী হ’লে জেহরী ছালাতে চুপে চুপে কেবল সূরায়ে ফাতিহা পড়বে ও ইমামের ক্বিরাআত মনোযোগ দিয়ে শুনবে।
তবে যোহর ও আছরের ছালাতে ইমাম মুক্তাদী সকলে প্রথম দু’রাক‘আতে সূরায়ে ফাতিহা সহ অন্য সূরা পড়বে এবং শেষের দু’রাক‘আতে কেবল সূরায়ে ফাতিহা পাঠ করবে।
★★(৪) রুকূ : ক্বিরাআত শেষে ‘আল্লা-হু আকবর’ বলে দু’হাত কাঁধ অথবা কান পর্যন্ত উঠিয়ে ‘রাফ‘উল ইয়াদায়েন’ করে রুকূতে যাবে।
এ সময় হাঁটুর উপরে দু’হাতে ভর দিয়ে পা, হাত, পিঠ ও মাথা সোজা রাখবে এবং রুকূর দো‘আ পড়বে। রুকূর দো‘আ : سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيْمِ ‘সুবহা-না রবিবয়াল ‘আযীম’ (মহাপবিত্র আমার প্রতিপালক যিনি মহান) কমপক্ষে তিনবার পড়বে।
(৫★) ক্বওমা : অতঃপর রুকূ থেকে উঠে সোজা ও সুস্থিরভাবে দাঁড়াবে।
এ সময় দু’হাত ক্বিবলামুখী খাড়া রেখে কাঁধ পর্যন্ত উঠাবে এবং ইমাম ও মুক্তাদী সকলে বলবে ‘ সামি‘আল্লা-হু লিমান হামিদাহ’ (আল্লাহ তার কথা শোনেন, যে তার প্রশংসা করে)। অতঃপর ‘ক্বওমা’র দো‘আ একবার পড়বে।
ক্বওমার দো‘আ : رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ ‘রববানা লাকাল হাম্দ’ (হে আমাদের প্রতিপালক! আপনার জন্যই সকল প্রশংসা)।
অথবা পড়বে- رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ حَمْدًا كَثِيْرًا طَيِّبًا مُّبَارَكًا فِيْهِ ‘রববানা ওয়া লাকাল হাম্দু হাম্দান কাছীরান ত্বাইয়েবাম মুবা-রাকান ফীহি’
(হে আমাদের প্রতিপালক! আপনার জন্য অগণিত প্রশংসা, যা পবিত্র ও বরকতময়)।
কক্বওমার জন্য অন্য দো‘আও রয়েছে।
(_৬) সিজদা : ক্বওমার দো‘আ পাঠ শেষে ‘আল্লা-হু আকবর’ বলে প্রথমে দু’হাত ও পরে দু’হাঁটু মাটিতে রেখে সিজদায় যাবে ও বেশী বেশী দো‘আ পড়বে।
সব সময় এ সময় দু’হাত ক্বিবলামুখী করে মাথার দু’পাশে কাঁধ বা কান বরাবর মাটিতে স্বাভাবিকভাবে রাখবে। কনুই ও বগল ফাঁকা থাকবে। হাঁটুতে বা মাটিতে ঠেস দিবে না। সিজদা লম্বা হবে ও পিঠ সোজা থাকবে।
যেন নীচ দিয়ে একটি বকরীর বাচ্চা যাওয়ার মত ফাঁকা থাকে।
সিজদা থেকে উঠে বাম পায়ের পাতার উপরে বসবে ও ডান পায়ের পাতা খাড়া রাখবে।
এ সময় স্থিরভাবে বসে দো‘আ পড়বে। অতঃপর ‘আল্লা-হু আকবর’ বলে দ্বিতীয় সিজদায় যাবে ও দো‘আ পড়বে। রুকূ ও সিজদায় কুরআনী দো‘আ পড়বে না।
২য় ও ৪র্থ রাক‘আতে দাঁড়াবার প্রাক্কালে সিজদা থেকে উঠে সামান্য সময়ের জন্য স্থির হয়ে বসবে।
একে ‘জালসায়ে ইস্তিরা-হাত’ বা ‘স্বস্তির বৈঠক’ বলে। অতঃপর মাটিতে দু’হাতে ভর দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে যাবে।
সিজদার দো‘আ : سُبْحَانَ رَبِّيَ الْأَعْلَى (সুবহা-না রবিবয়াল আ‘লা) অর্থঃ ‘মহাপবিত্র আমার প্রতিপালক যিনি সর্বোচ্চ’। কমপক্ষে তিনবার পড়বে। রুকূ ও সিজদার অন্য দো‘আও রয়েছে।
দুই সিজদার মধ্যবর্তী বৈঠকের দো‘আ :
اَللَّهُمَّ اغْفِرْ لِيْ وَارْحَمْنِيْ وَاجْبُرْنِيْ وَاهْدِنِيْ وَعَافِنِيْ وَارْزُقْنِيْ-
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাগ্ফিরলী ওয়ারহাম্নী ওয়াজ্বুরনী ওয়াহ্দিনী ওয়া ‘আ-ফেনী ওয়ার্ঝুক্বনী ।
অনুবাদ : ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আমার উপরে রহম করুন, আমার অবস্থার সংশোধন করুন, আমাকে সৎপথ প্রদর্শন করুন, আমাকে সুস্থতা দান করুন ও আমাকে রূযী দান করুন।
(৭)★ বৈঠক : ২য় রাক‘আত শেষে বৈঠকে বসবে। যদি ১ম বৈঠক হয়, তবে কেবল ‘আত্তাহিইয়া-তু’ পড়ে ৩য় রাক‘আতের জন্য উঠে যাবে। আর যদি শেষ বৈঠক হয়, তবে ‘আত্তাহিইয়া-তু’ পড়ার পরে দরূদ, দো‘আয়ে মাছূরাহ ও সম্ভব হ’লে বেশী বেশী করে অন্য দো‘আ পড়বে।
১ম বৈঠকে বাম পায়ের পাতার উপরে বসবে এবং শেষ বৈঠকে ডান পায়ের তলা দিয়ে বাম পায়ের অগ্রভাগ বের করে বাম নিতম্বের উপরে বসবে ও ডান পা খাড়া রাখবে।
এসময় ডান পায়ের আঙ্গুলগুলি ক্বিবলামুখী করবে।
বৈঠকের সময় বাম হাতের আঙ্গুলগুলি বাম হাঁটুর প্রান্ত বরাবর ক্বিবলামুখী ও স্বাভাবিক অবস্থায় থাকবে এবং ডান হাত ৫৩-এর ন্যায়
মুষ্টিবদ্ধ রেখে সালাম ফিরানোর আগ পর্যন্ত শাহাদাত অঙ্গুলি নাড়িয়ে ইশারা করতে থাকবে। মুছল্লীর নযর ইশারার বাইরে যাবে না।
বৈঠকের দো‘আ সমূহ :
(ক) তাশাহ্হুদ (আত্তাহিইয়া-তু):
اَلتَّحِيَّاتُ ِللهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ، السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِيْنَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَّ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ-
উচ্চারণ : আত্তাহিইয়া-তু লিল্লা-হি ওয়াছ্ ছালাওয়া-তু ওয়াত্ ত্বাইয়িবা-তু আসসালা-মু ‘আলায়কা আইয়ুহান নাবিইয়ু ওয়া রহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহু। আসসালা-মু ‘আলায়না ওয়া ‘আলা ‘ইবা-দিল্লা-হিছ ছা-লেহীন। আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়া আশহাদু আনণা মুহাম্মাদান ‘আব্দুহূ ওয়া রাসূলুহু ।
অনুবাদ : যাবতীয় সম্মান, যাবতীয় উপাসনা ও যাবতীয় পবিত্র বিষয় আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার উপরে শান্তি বর্ষিত হৌক এবং আল্লাহর অনুগ্রহ ও সমৃদ্ধি সমূহ নাযিল হউক। শান্তি বর্ষিত হউক আমাদের উপরে ও আল্লাহর সৎকর্মশীল বান্দাগণের উপরে। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই এবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল’ (বুঃ মুঃ)।৪
(খ) দরূদ :
اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَّعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ- اَللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَّعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ-
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ছাল্লে ‘আলা মুহাম্মাদিঁউ ওয়া ‘আলা আ-লে মুহাম্মাদিন কামা ছাল্লায়তা ‘আলা ইবরা-হীমা ওয়া ‘আলা আ-লে ইব্রা-হীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লা-হুম্মা বা-রিক ‘আলা মুহাম্মাদিঁউ ওয়া ‘আলা আ-লে মুহাম্মাদিন কামা বা-রক্তা ‘আলা ইব্রা-হীমা ওয়া ‘আলা আ-লে ইব্রা-হীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ ।
অনুবাদ : ‘হে আল্লাহ! আপনি রহমত বর্ষণ করুন মুহাম্মাদ ও মুহাম্মাদের পরিবারের উপরে,
যেমন আপনি রহমত বর্ষণ করেছেন ইবরাহীম ও ইবরাহীমের পরিবারের উপরে।
নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত। হে আল্লাহ! আপনি বরকত নাযিল করুন মুহাম্মাদ ও মুহাম্মাদের পরিবারের উপরে, যেমন আপনি বরকত নাযিল করেছেন ইবরাহীম ও ইবরাহীমের পরিবারের উপরে। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত’।৫
(গ★) দো‘আয়ে মাছূরাহ :
اَللَّهُمَّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ ظُلْمًا كَثِيْرًا وَّلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِيْ مَغْفِرَةً مِّنْ عِنْدَكَ وَارْحَمْنِيْ إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ-
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী যালামতু নাফ্সী যুলমান কাছীরাঁও অলা ইয়াগ্ফিরুয যুনূবা ইল্লা আন্তা, ফাগ্ফিরলী মাগফিরাতাম মিন ‘ইনদিকা ওয়ারহাম্নী ইন্নাকা আন্তাল গাফূরুর রহীম’ ।
অনুবাদ : ‘হে আল্লাহ! আমি আমার নফসের উপরে অসংখ্য যুলুম করেছি। ঐসব গুনাহ মাফ করার কেউ নেই আপনি ব্যতীত।
অতএব আপনি আমাকে আপনার পক্ষ হ’তে বিশেষভাবে ক্ষমা করুন এবং আমার উপরে অনুগ্রহ করুন। নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল ও দয়াবান’।৭
এর পর অন্যান্য দো‘আ সমূহ পড়তে পারে।
(৮) ★সালাম : দো‘আয়ে মাছূরাহ শেষে প্রথমে ডাইনে ও পরে বামে ‘আসসালামু আলায়কুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
’ (আল্লাহর পক্ষ হ’তে আপনার উপর শান্তি ও অনুগ্রহ বর্ষিত হৌক!) বলে সালাম ফিরাবে।
প্রথম সালামের শেষে ‘ওয়া বারাকা-তুহু’ (এবং তাঁর বরকত সমূহ) যোগ করা যেতে পারে।
এভাবে ছালাত সমাপ্ত করে প্রথমে সরবে একবার ‘আল্লা-হু আকবর’ (আল্লাহ সবার বড়) ও তিনবার ‘আস্তাগফিরুল্লা-হ’ (আমি আল্লাহর নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা করছি) বলে নিম্নের দো‘আসমূহ এবং অন্যান্য দো‘আ পাঠ করবে।
এ সময় ইমাম হ’লে ডাইনে অথবা বামে ঘুরে সরাসরি মুক্তাদীগণের দিকে ফিরে বসবে। অতঃপর সকলে নিম্নের দো‘আ সহ অন্যান্য দো‘আ পাঠ করবে।-
اَللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ، وَمِنْكَ السَّلاَمُ، تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالْإِكْرَامِ-
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আন্তাস সালা-মু ওয়া মিন্কাস্ সালা-মু, তাবা-রক্তা ইয়া যাল জালা-লি ওয়াল ইকরা-ম ।
অনুবাদ : ‘হে আল্লাহ আপনিই শান্তি, আপনার থেকেই আসে শান্তি। বরকতময় আপনি, হে মর্যাদা ও সম্মানের মালিক’। এটুকু পড়েই উঠে যেতে পারেন। ৭
পরবর্তী দো‘আ সমূহ ‘ছালাত পরবর্তী যিকর সমূহ’ অধ্যায়ে দ্রষ্টব্য।
১★ বুখারী হা/৬৩১, ৬০০৮, ৭২৪৬;
মিশকাত হা/৬৮৩, ‘ছালাত’ অধ্যায়-৪, অনুচ্ছেদ-৬।
২★. মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৮১২ ‘তাকবীরের পর যা পড়তে হয়’ অনুচ্ছেদ-১১।
৩★ . তিরমিযী হা/২৮৪; ইবনু মাজাহ হা/৮৯৮; আবুদাঊদ হা/৮৫০; ঐ, মিশকাত হা/৯০০, অনুচ্ছেদ-১৪; নায়লুল আওত্বার ৩/১২৯ পৃঃ।
৪★. মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৯০৯ ‘ছালাত’ অধ্যায়-৪, ‘তাশাহহুদ’ অনুচ্ছেদ-১৫।
৫★ . মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৯১৯ ‘রাসূল (ছাঃ)-এর উপর দরূদ পাঠ’ অনুচ্ছেদ-১৬; ছিফাত ১৪৭ পৃঃ, টীকা ২-৩ দ্রঃ।
৬★ মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৯৪২ ‘তাশাহহুদে দো‘আ’ অনুচ্ছেদ-১৭; বুখারী হা/৮৩৪ ‘আযান’ অধ্যায়-২, ‘সালামের পূর্বে দো‘আ’ অনুচ্ছেদ-১৪৯।
৭,,,. মুসলিম, মিশকাত হা/৯৬০, ‘ছালাতের পরে যিকর’ অনুচ্ছেদ-১৮।
‘সালাম ফিরানোর পরে দো‘আ সমূহ’ সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ে দ্রষ্টব্য। - Nayon Ahmed জাযাকাল্লাহু খাইরন ভাই
- Nayon Ahmed very important post
- মেঘের আড়ালে সূর্য হাসে narira o ki eki system e salat porbe?
- তাওহিদের মর্ম বাণী জ্বি,,,
- তাওহিদের মর্ম বাণী দুই রাকাত তাশহুদ পরে উঠার সময় রফউল ইয়াদান করতে হবে,,
- তাওহিদের মর্ম বাণী তিন রাকাতে পূর্বের ন্যায় করবেন, তবে তখন সুরা ফাতেহা পরলেই চলবে,
জাযাকাল্লাহ - Ershad Uddin Ahmed জামাতে ইমামকে অনুসরণ করতে হয়, সেক্ষেত্রে ইমাম রাফুলিয়াদাইন না করলে মোক্তাদিগণ করতে পারবে কিনা জানালে ভাল হয়। বিতর নামাজের শেষ রাকাত পড়ার সঠিক নিয়ম জানালে সকলে উপকৃত হবে।
- তাওহিদের মর্ম বাণী ইমাম কে অনুসরন করা অবশ্যই দরকার, তবে আপনি যদি রফউল ইয়াদাইন করেন, তাতে ইমামের অনুসরনের ব্যতিক্রম হবেনা,, কেননা সহিহ হাদিস রয়েছে,, আর যদি হাদিসটি সেই ইমাম সাব জেনে থাকে তাহলে আপনার জন্য আরোও দোয়া করবে কেননা
সে হয়ত সমাজের কারনে রফউল ইয়াদাইন করতে পারছেনা,,
আর বিতর নামাজের সর্বওম পদ্ধতি হলো, একটানা তিন রাকাত পরে তাশহুদে বসবেন
যাতে মাগরিবের নামাজের মত না হয়,,
জাযাকাল্লাহ - তাওহিদের মর্ম বাণী তাকবির তাহরিমার পরে, সানা পড়তে হয়, অতপড় সুরা ফাতেহার পূর্বে বিসমিল্লাহ পাঠ করতে হয়,,
জাযাকাল্লাহ,,
#md_kholil - Sumon Hossain ভাই, রুকু ও সিজদায় অন্য কোন দোয়া পড়ার নিয়ম আছে নাকি?
তাওহিদের মর্ম বাণী আছে ভাই,,
Sumon Hossain
Sumon Hossain
Subscribe to:
Posts (Atom)