Thursday 24 September 2015

নামায কিভাবে পড়তে হবে?

  • প্রশ্নঃ নামায কিভাবে পড়তে হবে? (পর্ব – ১)
    উত্তরঃ বিসমিল্লাহ। ওয়ালহা’মদুলিল্লাহ। ওয়াস-সালাতু ওয়াস-সালামু আ’লা রাসুলিল্লাহ। আম্মা বা’দ।
    আল্লাহর উপর ভরসা করে সহজ ভাষায় সংক্ষিপ্তভাবে নিচে আমি সংক্ষিপ্তভাবে নামায পড়ার নিয়ম বর্ণনা করার চেষ্টা করেছি। এখানে বিশেষ কোনো মাযহাবের না, বিশেষ কোনো দলের না, বিশেষ কোন মতবাদের নামায বর্ণণা করা হয়নি। বরং, অতীত থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত সমস্ত ইমাম ও আলেমদের বুঝ অনুযায়ী, কুরান ও সহীহ হাদীসের উপর ভিত্তি করে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেইভাবে নামায পড়েছেন, আমাদেরকে পড়তে বলেছেন তার বিশুদ্ধ বর্ণনা দেওয়া হল।
    বিস্তারিত দলীল ও যুক্তি প্রমান উল্লেখ করে আমি পোস্ট খুব বড় করতে চাইনি। যারা দলীলগুলো জানতে চান, আমি নামাযের উপর যেই বইগুলো দিয়েছি সেইগুলো পড়বেন। আমাদের কথাগুলো মূল কিতাবের সাথে মিলিয়ে দেখবেন, এটা আপনার দায়িত্ব যাচাই বাছাই করে হক্ক খুজে নেওয়া। আমরা শুধু এই ব্যপারে আপনাকে কিছুটা সাহায্য করতে পারি, কিন্তু এমন না আপনি শুধু ফেইসবুক খুলবেন আর সবকিছুই পেয়ে যাবেন। “ইলম” বা দ্বীনের জ্ঞান আপনার কাছে যাবেনা, বরং আপনার উপর ফরয হচ্ছে ইলম তালাশ করে বের করা। আর যদি এতো সহজেই সব পেয়ে যেতে চান, তাহলে জেনে রাখুন! সস্তার তিন অবস্থা, ফেইসবুকে মাযার পূজারীদের পেইজ আছে, জ়েএমবি খারেজী, জঙ্গিদের পেইজ আছে, সূফীবাদীদের পেইজ আছে, অজ্ঞ জাহেল লোকেরাও পেইজ চালায় যারা আসলে কিছুই জানেনা, আমাদের পেইজ থেকেও অনেক বড়। অন্ধভাবে অনুসরণ করে গেলে কখন কোন জাহান্নামী দলে ঢুকে যাবেন, নিজেও টের পাবেন না, লা হা’উলা ওয়ালা ক্বুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ। আর আমাদের লেখা সঠিক মনে না হলে দলীল প্রমান উপস্থাপন করবেন, না দিতে পারলে হক্ক মেনে নিবেন। কিন্তু একটা কথা মনে রাখবেন, অমুক হুজুর এটা বলেছে, তমুক এটা বলেছে - এইসব চলবেনা - কুরান ও সহীহ হাদীস দিয়ে দলীল দিতে হবে। আল্লাহ আপনাদের প্রতি রহম করুন।
    তাকবীর থেকে তাসলীম পর্যন্ত নামাযের নিয়মঃ
    সুতরাঃ
    নামায শুরুর আগে “সুতরা” দিয়ে নামায পড়বেন, এটা করা সুন্নত। সুতরা হচ্ছে নামাযীর সামনে অন্তত ৩ হাত দূরে বা প্রয়োজ়ন অনুযায়ী জায়গা সামনে নিয়ে একটা খুটি, দেয়াল বা যেকোন বাধা স্বরূপ দিয়ে নামাযীর সিজদা দেওয়ার জায়গাটুকু রিজার্ভ করে নেওয়া, যার সামনে দিয়ে কেউ যেতে না পারে। সুতরা নিয়ে বিস্তারিত দেখুন এই পোস্টে –
    http://porokalerjonnokaaj.blogspot.com/…/09/blog-post_739.h…
    নামায শুরুঃ
    পূর্ণাংগ ওযু বা প্রয়োজন সাপেক্ষে তায়াম্মুম করে পবিত্রতা অর্জন করে, নামাযের অন্য শর্তগুলো পূরণ করে কিবলামুখী (আমাদের দেশে পশ্চিম দিকে) হয়ে পবিত্র স্থানে দাড়াতে হবে। এসময় অন্তরটাকে আল্লাহর দিকে করতে হবে, যেন আপনি আল্লাহকে দেখতে পাচ্ছেন। এটা সম্ভব না হলে অন্তত অন্তরে এমন অনুভূতি নিয়ে দাড়াতে হবে যে, আপনি আল্লাহকে দেখতে না পেলেও, নিশ্চয়ই আল্লাহ আপনাকে দেখতে পাচ্ছেন। এর পরে আপনি যা বলবেন, যা করবেন সবকিছু অর্থ বুঝে, ভয় ও বিনয়ের সহিত আল্লাহর জন্য করবেন – এইরকম ধ্যান সবসময় অন্তরে রাখতে হবে। নামাযে অন্য কোনকিছুর কথা চিন্তা করা যাবেনা, যদি চিন্তা করেন নামায হবে, কিন্তু যতটুকু অংশ অমনোযোগী থাকবেন, তার সওয়াব থেকে বঞ্চিত হবেন।
    নিয়ত করাঃ
    নামায শুরুর আগে দাঁড়ানো অবস্থাতে মনে মনে নিয়ত করে নেবেন, নিয়ত করা ফরয। “আমি এখন অমুক ওয়াক্তের (ফযর/যুহর…), এত রাকাত (২/৩/৪), অমুক নামায (ফরয/সুন্নত/নফল) পড়েতিছি”, অন্তরে এতটুকু চিন্তা করলে বা মনে মনে বললেই নিয়ত করা হয়ে যাবে। মুখে কোনো দুয়া পড়তে হবেনা বা উচ্চারণ করে কিছু বলতে হবেনা। নাওয়াইতু…এই দুয়া পড়া বেদাত। নিয়ত নিয়ে বিস্তারিতে দেখুন এই পোস্টে –
    http://porokalerjonnokaaj.blogspot.com/…/09/blog-post_739.h…
    উল্লেখ্য নামায শুরুর আগে ইন্নি ওয়াজ্জাহাতু বলে যে জায়নামাযের দুয়া আছে – এটা পড়বেন না। জায়নামাযের দুয়া বলে হাদীসে কোন দুয়া নেই। এই দুয়াটা আসলে সানাতে পড়া যায়, সেটা আল্লাহু আকবার বলার পরে, আগেনা। আল্লাহু আকবার বলার আগে কোনো দুয়াই পড়তে হবেনা, এমনকি আউযুবিল্লাহ…বিসমিল্লাহ…ও পড়তে হবেনা।
    তাকবীরে তাহরীমাঃ
    নিয়ত করার পরে “আল্লাহু আকবার” বলে দুই হাত কাধ বা কান পর্যন্ত তুলে ইশারা করবেন, কিন্তু কান স্পর্শ করবেন না। নারী ও পুরুষের আলাদা নিয়ম নেই, কাধ বা কান পর্যন্ত হাত তোলার দুইটাই সহীহ হাদীসে এসেছে, আপনার যেটা ভালো লাগে করবেন। উত্তম হয় মাঝে মাঝে কাধ ও অন্যসময় কান পর্যন্ত হাত তুলে ইশারা করা। এতে দুই ধরণের হাদীসের উপরেই আমল করা হল, যাতে করে সুন্নতের উপর আমল হয়। হাতে ইশারা করার সময় হাতের আঙ্গুলগুলো সোজা ও সামান্য ফাকা রেখে কিবলামুখী করে রাখবেন।
    “আল্লাহু আকবার বলে নামায শুরু করাকে” তাকবীরে তাহরীমা বলা হয়, কারণ এর পরে নামাযের কোনো কাজ ছাড়া অন্য যেকোন কথা বা কাজ বান্দার জন্য সম্পূর্ণ হারাম হয়ে যায়, যতক্ষণ না সে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করছেন। তাকবীরে তাহরীমা দিয়ে নামায শুরু করা ফরয, তাই সাবধান! জামাতে যারা পরে যোগ দেন ইমাম রুকুতে থাকলে আগে তাকবীরে তাহরীমা বলে নামাযে ঢুকে এর পরে আবার তাকবীর দিয়ে রুকুতে বা অন্য জায়গাতে যেতে হবে, নয়তো নামায হবেনা। কারণ তাকবীরে তাহরীমা দিয়ে নামায শুরু করা হচ্ছে চাবির মতো, এটা করলে আপনি নামায শুরু করলেন, এটা না করেই রুকু বা সিজদাতে গেলে হলো আপনি নামায শুরু না করে রুকুতে চলে গেলেন, যেটা ভুল ও নামায হবেনা।
    আর দুই হাত কাধ/কান পর্যন্ত তুলে ইশারা করাকে আরবীতে “রাউফুল ইয়াদাইন” বলা হয় – এই রাউফুল ইয়াদাইন করা হচ্ছে সুন্নত।
    রাউফুল ইয়াদাইন তাকবীর বলার আগেও করতে পারেন, পরেও করতে পারেন – দুইটাই ঠিক আছে। এটা নিয়ে চিন্তা করতে হবেনা।
    কওমাতে দাড়ানোঃ
    তাকবীরে তাহরীমার পর থেকে রুকু পর্যন্ত সময়কে “কওমা” বা নামাযে দাঁড়িয়ে থাকা বলে যে সময় কিরাত পড়া হয়। ফরয নামায বিনা ওজরে বসে পড়া যাবেনা, অসুস্থ হলে বা বিশেষ কোনো সমস্যা থাকলে তাহলেই শুধু ফরয নামায বসে পড়া যাবে। সুন্নত/নফল নামায বিনা কারণে বসে পড়লে দাঁড়িয়ে নামায পড়া থেকে সওয়াব অর্ধেক হবে।
    নামাযে হাত বাধাঃ
    নামাযে নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই কওমাতে সুন্নত হচ্ছে বুকের উপর হাত বাধা কারণ, সহীহ হাদীসে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, বুকের উপর হাত বাধার কথা। হাদীসের কিতাব ইবনে খুজাইমাতেঃ হা/৪৭৯, ইমাম বুখারী বুকের উপর হাত বাধা নিয়ে তার সহীহ কিতাবে একটি অধ্যায়ই রচনা করেছেন। আর ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী যিনি হাদীসের উপরে সবচাইতে জ্ঞানী ব্যক্তিদের একজন তিনিও তার কিতাব “বুলুগুল মারামে” – বুকে হাত বাধার হাদীসকেই সহীহ বলেছেন, হা/২৭৮ এবং নাভীর নিচে হাত বাধার হাদীসগুলোকে জাল অথবা জয়ীফ হিসবে বাদ দিয়েছেন।
    ওয়ায়েল ইবনে হুজর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে সালাত আদায় করেছি, তিনি বুকের উপর বাম হাতের উপরে ডান হাত রেখেছেন”।
    সহিহ ইব্ন খুজাইমাহ: (১/২৪৩), হাদিস নং: (৪৭৯)।
    হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী, শায়খ বিন বাজ, শায়খ উসাইমিন এবং শায়খ আলবানী। সহীহ হাদীসের উপর ভিত্তক করে এইসব আলেমরাই বলেছেন বুকের উপর হাত বাধাই হচ্ছে সুন্নত।
    বড় বড় ইমাম, মুহাদ্দিস বা যারা হাদীস গবেষক তারা সকলেই একথা বলেছেন যে, নাভীর নিচে হাত বাধার হাদীস হয় জাল নয়তো জয়ীফ আর বুকে হাত বাধার হাদীসগুলোই হচ্ছে সহীহ। তবে উল্লেখ্য, কেউ যদি না জানে, বা সন্দেহ থাকার কারণে নাভীর নিচে নামায পড়লে তার নামায হবে কোনো সন্দেহ নাই। আর হাত বাধার মাসালা হচ্ছে সুন্নত, তাই কেউ শুধুমাত্র বুকে বা নাভীর নিচে হাত বাধার কারণে বাতিল হয়ে যাবেনা। তাই এটা নিয়ে দুইপক্ষের কারোরই বাড়াবাড়ি করা উচিত না। আর বুকে হাত বাধা নিয়ে শায়খ উসাইমিন (রহঃ) এর ফাতওয়া জানতে হলে এই পোস্ট দেখতে পারেনঃ
    http://porokalerjonnokaaj.blogspot.com/…/09/blog-post_439.h…
    আরেকটা কথা, কওমাতে সব সময় চোখ থাকবে নিচের দিকে, সিজদার স্থানে আবদ্ধ। বিশেষ কোন কারণ ছাড়া চোখ বন্ধ করে রাখবেন না। বিশেষ কারণ যেমন, কেউ সামনে নাড়াচাড়া করে ডিসটার্ব করছে, বা হঠাত করে বেশি ডিজাইনের জায়নামাযে নামায পড়ার কারণে মনোযোগ দিতে সমস্যা হচ্ছে তাহলে সাময়িক চোখ বন্ধ রাখা যাবে। কিন্তু বেশি ডিজাইনের বা মসজিদ/কাবার ছবি দেওয়া জায়নামাযে নামায পড়বেন না। মনোযোগ বাড়ানোর জন্যও চোখ বন্ধ করে রাখা নিষেধ। নামাযের দুয়া, কিরাতের অর্থ বুঝে সেইদিকে মনোযোগ দিয়ে আস্তে ধীরে বুঝে নামায পড়বেন, তাহলে চোখ খোলা রেখেও নামাযে মনোযোগ দিতে পারবেন। আর এইদিক সেইদিক তাকানো, আকাশের দিকে তাকানো – নামাযে এইসবগুলো কাজ সম্পূর্ণ হারাম ও এতে সওয়াব কমে যাবে। সব সময় আল্লাহর প্রতি ভয় ও বিনয় অন্তরে রেখে চোখ নিচের দিকে রেখে অন্তরকে নামাযে যা বলছেন যা করছেন বুঝে বুঝে ধ্যান দিয়ে করতে হবে। তাহলে নামাযের প্রকৃত মধুর স্বাদ পাবেন, আর নয়তো বোঝা ও কষ্টকর মনে হবে, মা যা'আল্লাহ।
    সানাঃ
    বুকে হাত বাধার পরে প্রথমেই আল্লাহর প্রশংসা করে নামায শুরু করতে হয়, আল্লাহর এই প্রশংসা বা নামায শুরুর দুয়াকে আরবীতে “সানা” বলা হয়। অনেকে মনে করে সানা মানেই হচ্ছে সুবহা’নাকা আল্লাহুম্মা…এই দুয়া। এটা সানার একটা দুয়া ,কিন্তু এটা ছাড়াও হাদীসে অন্য আরো ছোট-বড় অনেক সানার দুয়া আছে। যারা নিজেদের নামাযের সৌন্দর্য বাড়াতে চান তারা আস্তে আস্তে হিসনুল মুসলিম থেকে অন্য আরো দুয়া শিখে নেবেন। বিশেষ করে আল্লাহুম্মা বাইয়ি’দ বাইনি ওয়া বাইনা খাত্বাইয়াইয়া… এই দুয়াটা মুখস্থ করে পড়বেন, এটা সুন্দর একটা সানা কারণ এই দুয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে গুনাহ থেকে পবিত্রতা চাওয়া হয়। একসময় এটা, অন্য সময় আরেকটা, এইভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিভিন্ন সানা পড়া হচ্ছে সুন্নত। যার পক্ষে যতটুকু সম্ভব, চেষ্টা করবেন মুখস্থ করে সুন্নতের উপর আমল করার জন্য।
    আ’উযুবিল্লাহ…বিসমিল্লাহ পড়া…
    নামাযে কিরাত পড়া শুরু করার আগে “আ'উযু বিল্লাহিমিনাশ-শাইতানির রাযীম” পড়বেন। আ’উযুবিল্ললাহ শুধু প্রথম রাকাতেই পড়তে হয়, এর পরের রাকাতগুলোর শুরুতে পড়তে হয়না। এই দুয়া পড়ে শয়তান থেকে আশ্রয় চাওয়া হয়, কারণ নামাযে দাড়ালে খানজাব নামের শয়তান কুমন্ত্রনা দিয়ে নামাযকে নষ্ট বা ক্ষতি করতে চায়।
    নামাযের মাঝখানে সুরা-কেরাতে বা কত রাকাত, রুকু সেজদা নিয়ে শয়তান খুব বেশি ওয়াসওয়াসা দেয়/সন্দেহে ফেলে দেয় তাহলে কি করতে হবে?
    সালাতে ও কেরাতের মাঝে শয়তানের কুমন্ত্রণায় পতিত ব্যক্তি যেই দো‘আ করবেঃ
    “আ‘ঊযু বিল্লা-হি মিনাশ শাইত্বানির রাজীম”
    এই দুয়া বলে তারপর বাম দিকে তিনবার থুতু ফেলবে (থুতু ফেলার মতো করে নিঃশব্দে ফু দিবে, কিন্তু থুতু ফেলবেনা)।
    উসমান ইবনুল ‘আস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! শয়তান আমার ও আমার নামাযের মাঝে অনুপ্রবেশ করে এবং কিরাতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে সেটা (উপরে যা বলা হয়েছে) বলার নির্দেশ দেন, তিনি সেটা করার পর আল্লাহ তাঁকে সেটা থেকে মুক্ত করেন।
    মুসলিম ৪/১৭২৯, ২২০৩।
    আ’উযুবিল্লাহ পড়ে সুরা ফাতিহা পড়ার আগে “বিসমিল্লাহির-রাহমানির রাহীম” পড়বেন।
    এর পরে সুরা ফাতিহা পড়বেন। কিরাতে প্রত্যেকে আয়াতের শেষে ওয়াকফ করা অর্থাৎ দুইটা আয়াতের মাঝখানে থামা মুস্তাহাব। সুরা ফাতিহা পড়ে আমীন বলবেন। সুরা ফাতেহা পড়া ওয়াজিব, এটা নামাযের অন্যতম একটা রুকন, কেউ যদি ফাতিহা না পড়ে বা, ভুল পড়ে তাহলে তার নামায হবেনা।
    কিরাতঃ
    সুরা ফাতিহা পড়ে কুরান থেকে মুখস্থ আছে ও আপনার জন্য সহজ এমন সুরা বা কিছু আয়াত পড়বেন। সুরার প্রথম থেকে পড়লে বিসমিল্লাহির-রাহমানির রাহীম পড়বেন। আর সুরার মাঝখান থেকে পড়লে বিসমিল্লাহির-রাহমানির রাহীম পড়বেন না, সরাসরি কিরাত শুরু করবেন। যেকোন ছোট/বড় সুরা পড়তে পারবেন, পরের সুরা আগে পড়তে পারবেন, কোনো সমস্যা নেই। সুরার মাঝখান থেকে বা শেষের ১০-২০ আয়াত পড়তে পারবেন, এক সুরা ভেঙ্গে ২ রাকাতে পড়তে পারবেন, আয়াতুল কুরসী, বাকারার শেষ ২ আয়াতও কিরাত হিসেবে পড়তে পারবেন। তবে প্রথম রাকাতে ২য় রাকাতের চেয়ে লম্বা কিরাত পড়বেন, এটা করা সুন্নত। এক রাকাতে একাধিক ছোট সুরা পড়া যাবে, তবে একটা সুরা পড়াই যথেষ্ঠ। collected
  • Md Alamin
  • Md Alamin বর্ত্তমানে কোন সলাত শিক্ষা বই সঠিক?
    • Khalil Ullah
  • রাজ কুমারী রাজ কুমারী
  • Manirujjaman Biswas
  • Manirujjaman Biswas আমার জানা মতে ছালাতুর রাসুল (সা), এবং স্বালাতে মুবাশ্বির
  • Md Alamin
  • Md Alamin কোন লেখকের?
    • Khalil Ullah
  • পাবনার বাসিন্দা অািম
  • পাবনার বাসিন্দা অািম কোরবানী দেওয়ার নিয়মাবলী ও দোয়া জানতে চাই।
    • Khalil Ullah
  • Sanowar Hossain
  • Sanowar Hossain Zazakallah khair poroborti post taratari asha korsi
    Like · Reply · 1 · 18 hrs
    • Khalil Ullah
  • Khalil Ullah InShaAlllah

Monday 21 September 2015

সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত সালাতে 'হাত বুকের উপর বাঁধা'





Sahih Hadith Protidin (সহীহ হাদিস প্রতিদিন)
তাক্‌বীরে তাহরীমা (আল্লাহু আকবার) বলার পর 'হাত বুকের উপর বাঁধা' সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত
 see complete:-
1]-sgis-salah-https://mbasic.facebook.com/sahih.hadith.protidin/albums/234798716590584/?refid=13




যেমনঃ-

০১)সহাল বিন সা’দ রাঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকদেরকে নির্দেশ দেওয়া হ’ত যেন তারা সালাতের সময় ডান হাত বাম হাতের বাহুর উপর স্থাপন করে রাখে। আবু হাযেম বলেন যে, সাহাবী সাহল বিন সা’দ এই আদেশটিকে রাসুল (ছাঃ)-এর দিকে সম্পর্কিত বলেই জানি। [বুখারী নং-৭০৪ ই.ফা]

[আপাত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে এখানে বুকে হাত বাঁধার কথা উল্লেখ নাই, কিন্তু 'ডান হাত বাম হাতের বাহু'র উপর স্থাপন' করার কথা বলা আছে। আমরা নিজেরা যদি ডান হাত বাম হাতের বাহু'র (কব্জি নয়) উপর স্থাপন করি তবে দুটি হাত বুকের উপরই এসে পড়ে]


০২) আবু তাওবা…তাউস (রহ) থেকে বণিত । তিনি বলেন, রাসুল (সঃ) নামাজরত অবস্থায় ডান হাত বাম হাতের উপর রেখে তা নিজের বুকের উপর বেঁধে রাখতেন । [হাদিসটি সহীহ। আবু দাউদ ১ম খন্ড হা/৭৫৯ ই.ফা.বা.প্রকাশ]

০৩) সাহবী হুলব আত-ত্বাঈ (রাঃ) বলেন, আমি রাসুল (ছাঃ)-কে বাম হাতের জোড়ের (কব্জির) উপরে ডান হাতের জোড় বুকের উপরে রাখতে দেখেছি। [আহমদ হা/২২৬১০, সনদ হাসান]

০৪)ওয়ায়েল ইবনে হুজর (রাঃ) বলেন, আমি রাসুল সঃ এর সাথে ছালাত আদায় করলাম। এমতাবস্থায় দেখলাম যে, তিনি বাম হাতের উপরে ডান হাত স্বীয় বুকের উপর রাখলেন।
[সহীহ ইবনে খুজায়মা হা/৪৭৯,;আবু দাউদ হা/৭৫৫, ইবনু মাস’উদ হ’তে হা/৭৫৯, ত্বাউস বিন কায়সান হ’তে; ‘সালাত’ অধ্যায়, ‘সালাতে বাম হাতের উপর ডান হাত রাখা’অনুচ্ছেদ-১২১]


‘নাভীর নীচে হাত বাঁধা’ সম্পর্কে আহমদ, আবু দাউদ, মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ প্রভৃতি হাদিস গ্রন্থে ৪ জন সাহাবী ও ২ জন তাবেঈ থেকে যে চারটি হাদিস ও দু’টি আছার বর্ণিত হয়েছে, সেগুলো সম্পর্কে মুহাদ্দেসিন গণের বক্তব্য হ’ল-যঈফ হওয়ার কারণে এগুলির একটিও দলীল হিসাবে গ্রহণযোগ্য নয়।
[দেখুন-মির’আতুল মাফাতীহ ৩/৬২-৩;তুহফাতুল আহওয়াযী ২/৮৯]

হাদিস সংকলন http://www.facebook.com/allpraisebelongstoallah
[আমরা এই পেজের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ]                                                                                                    

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
View previous comments…

Sahih Hadith Protidin (সহীহ হাদিস প্রতিদিন)

Dipto Cu ভাই, বাহুর উপর হাত রাখা এবং কব্জির উপর হাত রাখা দুটি নিয়মই হাদিসে উল্লেখ আছে। আমাদের ছবিতে আমরা কব্জির উপর হাত বাঁধা দেখিয়েছি। আপনি যেভাবে হাত বাঁধেন সেটিও সঠিক।
Like · 1 · Report · 12 December 2011

আল মুহাজির শাইখ

Sahih Hadith Protidin (সহীহ হাদীস প্রতিদিন) যে সমস্ত ইউজার আরবী না বুঝে শুধু বাংলা নিয়ে কামড়াকামড়ি করে তাদের কী অধিকার আছে হাদীস নিয়ে আঁতলামী করার? বরং আপনি স্বীকার করুন, আপনি কী বুঝেন? কারণ, আপনার লেখার প্রায় হাদীসগুলো ইফার বাংলা সংস্করণ থেকে সংগৃহীত। এটি কোন ইফা? ভালো করে বুঝতে এই লিঙ্কে http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/12/11/121710 গুতা মারুন। এই একটি উদাহরণই যথেষ্ট যে, ইফার কোন বই অন্তত হুজ্জতবাজীর জন্য যথেষ্ট নয়। সবাইকে মোবারকবাদ।


Like · Report · 12 December 2011

Sahih Hadith Protidin (সহীহ হাদিস প্রতিদিন)

Al Muhajir Shaikh ভাই, আপনার উপরের কমেন্টে ব্যাখ্যা গুলো দেখে মনে করেছিলাম আপনার কাছ থেকে আমরা কিছু শিখতে পারব। কিন্তু আপনি আমাদের ইউজার যারা আরবী অনুবাদ করে পড়তে পারে না তাদেরকে আপনার অশালীন মন্তব্য দিয়ে চরমভাবে অপমান করলেন। আপনার মত জ্ঞানী মানুষের কাছ থেকে আমরা এরকম ভাষা আশা করি নাই।

আমরা ইঃফাঃ এর কর্মকাণ্ড সম্মন্ধে অবগত আছি। আমরা তাদের সাফাই গাইছি না। এও জানি তাদের সব অনুবাদ পরিপূর্ণ সঠিক নয় এবং এটা নিয়ে মতভেদ থাকা স্বাভাবিক।

আর, আমাদের অজ্ঞতা আমরা স্বীকার করি। আমরা চাই, আপনিও একটি পেজ খুলে সঠিক অনুবাদ করে মানুষকে সচেতন করুন।
Like · 3 · Report · 12 December 2011

আল মুহাজির শাইখ

Sahih Hadith Protidin (সহীহ হাদিস প্রতিদিন) আমাকে ভুল বুঝলেন ভাই। আমি নিজে খুব স্বাধারণ একজন মানুষ। কাউকে অপমান করা কিংবা কারো ব্যপারে বিরুপ মন্তব্য করা আমার মুখে সাঁজে না বিধায় এমন কাজ পরিহার করে চলতে চেষ্টা করি।

তবে, উপরের মন্তব্যটি দিয়ে আমি শুধু এটাই বুঝাতে চেয়েছি যে, "বস্ত্রহীন ত্রানদাতার বস্ত্র বিতরণ" যেমন হাস্যকর ও লজ্জাজনক ঠিক তেমনি "জ্ঞানার্জন ব্যতীত কোন বিষয়ে মন্তব্য করাও অজ্ঞতারই পরিচায়ক"। তাই আমি আপনাদের মত সরলমনা ভাইদের কাছে শুধু এতটুকু নিবেদন করতে চাই যে, না জানা বিষয়ে মনগড়া মাথা না খাঁটিয়ে উভয় পক্ষের দলিলাদি সামনে রেখে কোন বিজ্ঞ আলেমের পরামর্শ নিয়ে সামনে আগানো উচিৎ। যেমন ধরুন, আপনি খুবই অসুস্থ। এমতাবস্থায় আপনি কি কখনো মেডিসিনের বই কিনে নিজে নিজে রোগ সারতে যাবেন নাকি কোন অভিজ্ঞ ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হবেন? ঠিক তদ্রুপ দ্বীনী বিষয়াদিও নিজের মনমস্তিষ্ক খাঁটিয়ে না বুঝে কোন অভিজ্ঞ উলামায়ে কেরামের পরামর্শানুযায়ী চলাই বাঞ্চনীয়।

সবচেয়ে বড় কথা হলো, ডাক্তারীতে ভুল করলে যেমন রোগীর প্রাণ চলে যায় ঠিক তদ্রুপ দ্বীন বুঝতে ভুল করলে ঈমান চলে যায়।

আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে সত্য বুঝে মানার তাউফীক করুন। আমীন।

Sahih Hadith Protidin (সহীহ হাদিস প্রতিদিন)

Muid Rahman ভাই, আপনার কাছে যদি আবূ দাউদ এর ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশিত ১ম খন্ড থাকে তবে ৪১০ -৪১১ পাতায় ৭৫৮ নং হাদিসটি দেখুন। এই হাদিসে নাভীর নিচে হাত বাঁধার কথা লেখা আছে এরপর আবূ দাউদ নিজেই এই হাদিসে ইসহাক আল-কুফীকে দুর্বল রাবী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
আমরা কোন বক্তব্য আমাদের মনগড়া ভাবে দিচ্ছি না। আমরা যথাযথ রেফারেন্স দিচ্ছি। আমাদের বিশ্বাস না হলে নিজেই পড়ে দেখুন।
Like · 2 · Report · 12 December 2011

Sahih Hadith Protidin (সহীহ হাদিস প্রতিদিন)

Nishat Afroz নারী ও পুরুষের সালাতে কোন পার্থক্য নাই। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, তোমরা সেভাবেই সালাত আদায় করো যেভাবে আমাকে আদায় করতে দেখ। [বুখারী]
Like · 1 · Report · 14 December 2011

বদরু

সালাতে নাভীর নীচে হাত বাঁধার কথা ছহীহ হাদীছে নেই। নাভীর নীচে হাত বাঁধার ব্যাপারে আহমদ ও আবু দাউদে(হা/৭৫৬) হযরত আলী (রাঃ) থেকে যে বর্ণনা এসেছে এর সনদ দুর্বল। এ বর্ণনায় আব্দুর রহমান বিন ইসহাক ওয়াসেতী দুর্বল রাবী। আল্লামা জাহাবী আব্দুর রহমানের ব্যাপারে বলেছেন-মোহাদ্দেছীন কেরাম তাকে দুর্বল রাবী বলেছেন। বরং হাত বুকের উপর বাঁধার কথা ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। যেমনঃ-

০১)সহাল বিন সা’দ রাঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকদেরকে নির্দেশ দেওয়া হ’ত যেন তারা সালাতের সময় ডান হাত বাম হাতের বাহুর উপর স্থাপন করে রাখে। আবু হাযেম বলেন যে, ছাহাবী সাহল বিন সা’দ এই আদেশটিকে রাসুল (ছাঃ)-এর দিকে সম্পর্কিত বলেই জানি।১
০২) আবু তাওবা…তাউস (রহ) থেকে বণিত । তিনি বলেন, রাসুল (সঃ) নামাজরত অবস্থায় ডান হাত বাম হাতের উপর রেখে তা নিজের বুকের উপর বেঁধে রাখতেন । হাদীছটি ছহীহ। ১/২
০৩) ছাহাবী হুলব আত-ত্বাঈ (রাঃ) বলেন, আমি রাসুল (ছাঃ)-কে বাম হাতের জোড়ের (কব্জির) উপরে ডান হাতের জোড় বুকের উপরে রাখতে দেখেছি।২
০৪)ওয়ায়েল ইবনে হুজর (রাঃ) বলেন, আমি রাসুল সঃ এর সাথে ছালাত আদায় করলাম। এমতাবস্থায় দেখলাম যে, তিনি বাম হাতের উপরে ডান হাত স্বীয় বুকের উপর রাখলেন।৩
ইমাম শাওকানী বলেন, ‘হাত বাঁধা বিষয়ে ছহীহ ইবনে খুজায়মাতে ওয়ায়েল ইবনে হুজর(রাঃ) বর্ণিত হাদীছের চাইতে বিশুদ্ধতম কোন হাদীছ আর নেই।৪
Like · 2 · Report · 15 December 2011

বদরু

উল্লেখ্য যে, বাম হাতের উপর ডান হাত রাখা সম্পর্কে ১৮ জন ছাহাবী ও ২ জন তাবেঈ থেকে মোট ২০টি হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। ইবনে আব্দিল বার বলেন- রাসুল (ছাঃ) থেকে এর বিপরীত কিছুই বর্ণিত হয়নি এবং এটাই মজহুর ছাহাবা ও তাবেঈনের অনুসৃত পদ্ধতি।৫ এক্ষণে ‘নাভীর নীচে হাত বাঁধা’ সম্পর্কে আহমদ, আবু দাউদ, মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ প্রভৃতি হাদীছ গ্রন্থে ৪ জন ছাহাবী ও ২ জন তাবেঈ থেকে যে চারটি হাদীছ ও দু’টি আছার বর্ণিত হয়েছে, সেগুলো সম্পর্কে মুহাদ্দেছীনের বক্তব্য হ’ল-যঈফ হওয়ার কারণে এগুলির একটিও দলীল হিসাবে গ্রহণযোগ্য নয়।৬ প্রকাশ থাকে যে, ছালাতে দাঁড়িয়ে মেয়েদের জন্য বুকে হাত ও পুরুষের জন্য নাভীর নীচে হাত বাঁধার যে রেওয়াজ চালু আছে, হাদীছে বা আছারে এর কোন প্রমাণ নেই।৭ বরং এটা স্বতঃসিদ্ধ যে, ছালাতের মধ্যকার ফরয ও সুন্নাত সমুহ মুসলিম নারী ও পুরুষ সকলে একই নিয়মে আদায় করবে।৮
১ [বুখারী নং-৭০৪ ই.ফা. বুখারী(দিল্লী ছাপা) ১/১০২ পৃঃ, হা/৭৪০, ‘আযান’ অধ্যায়, ৮৭ অনুচ্ছেদ; মিশকাত হা/৭৯৮, ‘ছালাতের বিবরণ’ অনুচ্ছেদ-১০, আধুনিক প্রঃ নং-৬৯৬] উল্লেখিত হাদীছে ব্যবহিত ‘যেরা’ শব্দের অর্থ-কনুই থেকে মধ্যমা আঙ্গুলের অগ্রভাগ পর্যন্ত দীর্ঘ হাত। একথা স্পষ্ট যে, বাম হাতের উপর ডান হাত রাখলে তা বুকের উপরই চলে আসে। উল্লেখ্য যে, ইসলামিক ফাউন্ডেশন(১৯৯১), আধুনিক প্রকাশনী(১৯৮৮) প্রভৃতি বাংলাদেশের একাধিক সরকারী ও বেসরকারী প্রকাশনা সংস্থা কর্তৃক অনূদিত ও প্রকাশিত বঙ্গানুবাদ বুখারী শরীফে উপরোক্ত হাদীছটির অনুবাদে ‘ডান হাত বাম হাতের কব্জির উপরে’ –লেখা হয়েছে। এখানে অনুবাদের মধ্যে ‘কব্জি’ কথাটি যোগ করার পিছনে কি কারণ রয়েছে বিদগ্ধ অনুবাদক ও প্রকাশকগণই তা বলতে পারবেন। তবে হাদীছের অনুবাদে এভাবে কমবেশী করা ভয়ংকর গর্হিত কাজ বলেই সকলে জানেন।১/২(আবু দাউদ ১ম খনড হা/৭৫৯ ই.ফা.বা.প্রকাশ) ২[আহমদ হা/২২৬১০, সনদ হাসান, আলবানী, আহকামুল জানায়েয মাসায়ালা নং-৭৬, ১১৮ পৃঃ; তিরমিযী(তুহফা সহ,কায়রো-১৪০৭/১৯৮৭)হা/২৫২, ‘ছালাত’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-১৮৭, ২/৮১,৯০; ফিকহুল সুন্নাহ ১/১০৯]৩(ছহীহ ইবনে খুজায়মা হা/৪৭৯,;আবু দাউদ হা/৭৫৫, ইবনু মাস’উদ হ’তে হা/৭৫৯, ত্বাউস বিন কায়সান হ’তে; ‘ছালাত’ অধ্যায়, ‘ছালাতে বাম হাতের উপর ডান হাত রাখা’। অনুচ্ছেদ-১২১)৪( দেখুন-নায়লুল আওত্বার ৩/২৫ )৫[দেখুন-নায়লুল আওত্বার ৩/২২ পৃঃ;ফিকহুল সুন্নাহ (কায়রো-১৪১২/১৯৯২) ১/১০৯]৬(দেখুন-মির’আতুল মাফাতীহ ৩/৬২-৩;তুহফাতুল আহওয়াযী ২/৮৯)৭ [মির’আত(লাহোর ১৩৮০/১৯৬১) ১/৫৫৮,৩/৬৩;তুহফা ২/৮৩]৮[মির’আত ৩/৫৯ পৃঃ; ফিকহুল সুন্নাহ ১/১০৯; নায়লুল আওত্বার ৩/১৯]
++