Wednesday 28 October 2015

হাটুর উপর কাপড় ওঠা অযু ভঙ্গে না


সর্বাবস্থায় ছালাতে সূরা ফাতিহা পাঠ করার দলীল সমূহ



Hifzur Rahman

ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) / ডঃ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব / ছালাতের বিবরণ (صفة الصلاة) ৫. (ক,খ) সর্বাবস্থায় ছালাতে সূরা ফাতিহা পাঠ করার দলীল সমূহ
৫. (ক) সর্বাবস্থায় ছালাতে সূরা ফাতিহা পাঠ করার দলীল সমূহ-
(أدلة قراءة الفاتحة في الصلاة) :
ইমাম ও মুক্তাদী সকলের জন্য সকল প্রকার ছালাতে প্রতি রাক‘আতে সূরায়ে ফাতিহা পাঠ করা ফরয। প্রধান দলীল সমূহ :
(১) হযরত উবাদাহ বিন ছামিত (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, لاَ صَلاَةَ لِمَنْ لَّمْ يَقْرَأْ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ، مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ(‘লা ছালা-তা লিমান লাম ইয়াক্বরা’ বিফা-তিহাতিল কিতা-ব’) ‘ঐ ব্যক্তির ছালাত সিদ্ধ নয়, যে ব্যক্তি সূরায়ে ফাতিহা পাঠ করে না’। [22]
(২) ছালাতে ভুলকারী (مسئ الصلاة) জনৈক ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণ দিতে গিয়ে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ... ثُمَّ اقْرَأْ بِأُمِّ الْقُرْآنِ وَبِمَا شَآءَ اللهُ أَنْ تَقْرَأَ ‘অতঃপর তুমি ‘উম্মুল কুরআন’ অর্থাৎ সূরায়ে ফাতিহা পড়বে এবং যেটুকু আল্লাহ ইচ্ছা করেন কুরআন থেকে পাঠ করবে’...। [23]
(৩) আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, أُمِرْنَا أَنْ نَقْرَأَ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَمَا تَيَسَّرَ ‘আমরা আদিষ্ট হয়েছিলাম যেন আমরা সূরায়ে ফাতিহা পড়ি এবং (কুরআন থেকে) যা সহজ মনে হয় (তা পড়ি)’।[24]
(৪) আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, أَمَرَنِيْ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ أُنَادِيَ أَنَّهُ لاَ صَلاَةَ إِلاَّ بِقِرَاءَةِ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ فَمَا زَادَ- ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাকে নির্দেশ দেন যেন আমি এই কথা ঘোষণা করে দেই যে, ছালাত সিদ্ধ নয় সূরায়ে ফাতিহা ব্যতীত। অতঃপর অতিরিক্ত কিছু’।[25] এখানে প্রথমে সূরায়ে ফাতিহা, অতঃপর কুরআন থেকে যা সহজ মনে হয়, সেখান থেকে অতিরিক্ত কিছু পড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
(৫) আল্লাহ বলেন, وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُوْا لَهُ وَأَنْصِتُوْا... (‘ওয়া এযা কুরিয়াল কুরআ-নু ফাসতামি‘ঊ লাহূ ওয়া আনছিতূ’)। অর্থ : ‘যখন কুরআন পাঠ করা হয়, তখন তোমরা তা মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ কর ও চুপ থাক’... (আ‘রাফ ৭/২০৪)।
আনাস (রাঃ) বর্ণিত হাদীছে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মুছল্লীদের উদ্দেশ্যে বলেন, أَتَقْرَءُوْنَ فِيْ صَلاَتِكُمْ خَلْفَ الْإِمَامِ وَالْإِمَامُ يَقْرَأُ ؟ فَلاَ تَفْعَلُوْا وَلْيَقْرَأْ أَحَدُكُمْ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ فِيْ نَفْسِهِ، أَخْرَجَهُ ابْنُ حِبَّانَ- ‘তোমরা কি ইমামের ক্বিরাআত অবস্থায় পিছনে কিছু পাঠ করে থাক? এটা করবে না। বরং কেবলমাত্র সূরায়ে ফাতিহা চুপে চুপে পাঠ করবে’।[26]
(৬) হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, مَنْ صَلَّى صَلاَةً لَمْ يَقْرَأْ فِيْهَا بِأُمِّ الْقُرْآنِ فَهِيَ خِدَاجٌ، فَهِيَ خِدَاجٌ، فَهِيَ خِدَاجٌ، غَيْرُ تَمَامٍ ‘যে ব্যক্তি ছালাত আদায় করল, যার মধ্যে ‘কুরআনের সারবস্ত্ত’ অর্থাৎ সূরায়ে ফাতিহা পাঠ করল না, তার ঐ ছালাত বিকলাঙ্গ, বিকলাঙ্গ, বিকলাঙ্গ, অপূর্ণাঙ্গ’...। রাবী হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) -কে বলা হ’ল, আমরা যখন ইমামের পিছনে থাকি, তখন কিভাবে পড়ব? তিনি বললেন, إقْرَأْ بِهَا فِيْ نَفْسِكَ (ইক্বরা’ বিহা ফী নাফসিকা) ‘তুমি ওটা চুপে চুপে পড়’। তাছাড়া উক্ত হাদীছে সূরা ফাতিহাকে আল্লাহ ও বান্দার মাঝে অর্ধেক করে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে وَلِعَبْدِيْ مَا سَأَلَ ‘আর আমার বান্দা যা চাইবে, তাই পাবে’।[27] ইমাম ও মুক্তাদী উভয়েই আল্লাহর বান্দা। অতএব উভয়ে সূরা ফাতিহা পাঠের মাধ্যমে আল্লাহর নিকটে ‘ছিরাতে মুস্তাক্বীম’-এর সর্বোত্তম হেদায়াত প্রার্থনা করবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও তাঁর ছাহাবীগণ আমাদেরকে যেদিকে পথনির্দেশ দান করেছেন।
উল্লেখ্য যে, উক্ত হাদীছে সূরা ফাতিহাকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১ম ভাগে আলহামদু... থেকে প্রথম তিনটি আয়াতে আল্লাহর প্রশংসা এবং ২য় ভাগে ইহ্দিনাছ... থেকে শেষের তিনটি আয়াতে বান্দার প্রার্থনা এবং ইইয়াকা না‘বুদু...-কে মধ্যবর্তী আয়াত হিসাবে গণ্য করা হয়েছে। যা আল্লাহ ও বান্দার মাঝে বিভক্ত। এর মধ্যে বিসমিল্লাহ-কে শামিল করা হয়নি। ফলে অত্র হাদীছ অনুযায়ী বিসমিল্লাহ সূরা ফাতিহার অংশ নয়।
‘খিদাজ’ (خِدَاجٌ) অর্থ : সময় আসার পূর্বেই যে সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়, যদিও সে পূর্ণাংগ হয় (আল-মু‘জামুল ওয়াসীত্ব)। খাত্ত্বাবী বলেন, ‘আরবরা ঐ বাচ্চাকে ‘খিদাজ’ বলে, যা রক্তপিন্ড আকারে অসময়ে গর্ভচ্যুত হয় ও যার আকৃতি চেনা যায় না’। আবু ওবায়েদ বলেন, ‘খিদাজ’ হ’ল গর্ভচ্যুত মৃত সন্তান, যা কাজে আসে না’। [28] অতএব সূরায়ে ফাতিহা বিহীন ছালাত প্রাণহীন অপূর্ণাংগ বাচ্চার ন্যায়, যা কোন কাজে লাগে না।
(৭) হযরত ওবাদাহ বিন ছামিত (রাঃ) বলেন, আমরা একদা ফজরের জামা‘আতে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর পিছনে ছালাত রত ছিলাম। এমন সময় মুক্তাদীদের কেউ সরবে কিছু পাঠ করলে রাসূল (ছাঃ)-এর জন্য ক্বিরাআত কঠিন হয়ে পড়ে। তখন সালাম ফিরানোর পরে তিনি বললেন, সম্ভবতঃ তোমরা তোমাদের ইমামের পিছনে কিছু পড়ে থাকবে? আমরা বললাম, হ্যাঁ। জবাবে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, لاَ تَفْعَلُوْا إِلاَّ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ فَإِنَّهُ لاَ صَلاَةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِهَا ‘এরূপ করো না কেবল সূরায়ে ফাতিহা ব্যতীত। কেননা ছালাত সিদ্ধ হয় না যে ব্যক্তি ওটা পাঠ করে না’।[29]
ঘটনা এই যে, প্রথম দিকে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথে সাথে অনেকে ইমামের পিছনে সরবে ক্বিরাআত করত। অনেকে প্রয়োজনীয় কথাও বলত। তাতে ইমামের ক্বিরাআতে বিঘ্ন ঘটতো। তাছাড়া মুশরিকরাও রাসূল (ছাঃ)-এর কুরআন পাঠের সময় ইচ্ছাকৃতভাবে শিস দিত ও হাততালি দিয়ে বিঘ্ন ঘটাতো। সেকারণ উপরোক্ত আয়াত (আ‘রাফ ৭/২০৪) নাযিলের মাধ্যমে সকলকে কুরআন পাঠের সময় চুপ থাকতে ও তা মনোযোগ দিয়ে শুনতে আদেশ করা হয়েছে।[30] এই নির্দেশ ছালাতের মধ্যে ও বাইরে সর্বাবস্থায় প্রযোজ্য। অতঃপর পূর্বোক্ত উবাদাহ, আবু হুরায়রা ও আনাস (রাঃ) প্রমুখ বর্ণিত হাদীছ সমূহের মাধ্যমে জেহরী ছালাতে ইমামের পিছনে কেবলমাত্র সূরায়ে ফাতিহা নীরবে পড়তে ‘খাছ’ ভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অন্য কোন সূরা নয়।
অতএব উক্ত ছহীহ হাদীছ সমূহ পূর্বোক্ত কুরআনী আয়াতের (আ‘রাফ ৭/২০৪) ব্যাখ্যা হিসাবে এসেছে, বিরোধী হিসাবে নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর উক্ত ব্যাখ্যা নিঃসন্দেহে ‘অহি’ দ্বারা প্রত্যাদিষ্ট, তাঁর নিজের পক্ষ থেকে নয়। অতএব অহি-র বিধান অনুসরণে সর্বাবস্থায় ছালাতে সূরায়ে ফাতিহা পাঠ করা অবশ্য কর্তব্য।
৫. (খ) বিরোধীদের দলীলসমূহ ও তার জওয়াব
(أدلة المخالفين للقراءة وجوابها) :
ইমামের পিছনে জেহরী বা সের্রী কোন প্রকার ছালাতে সূরায়ে ফাতিহা পাঠ করা যাবে না -এই মর্মে যাঁরা অভিমত পোষণ করেন, তাঁদের প্রধান দলীল সমূহ নিম্নরূপ :
(১) সূরা আ‘রাফ ২০৪ আয়াতে ক্বিরাআতের সময় চুপ থেকে মনোযোগ দিয়ে তা শুনতে বলা হয়েছে। সেখানে বিশেষ কোন সূরাকে ‘খাছ’ করা হয়নি। এক্ষণে হাদীছ দ্বারা সূরায়ে ফাতিহাকে খাছ করলে তা কুরআনী আয়াতকে ‘মনসূখ’ বা হুকুম রহিত করার শামিল হবে। অথচ ‘হাদীছ দ্বারা কুরআনী হুকুমকে মানসূখ করা যায় না’। [31]
জবাব : এখানে ‘মনসূখ’ হবার প্রশ্নই ওঠে না। বরং হাদীছে ব্যাখ্যাকারে বর্ণিত হয়েছে এবং কুরআনের মধ্য থেকে উম্মুল কুরআনকে ‘খাছ’ করা হয়েছে (হিজর ১৫/৮৭)। যেমন কুরআনে সকল উম্মতকে লক্ষ্য করে ‘মীরাছ’ বণ্টনের সাধারণ আদেশ দেওয়া হয়েছে (নিসা ৪/৭,১১)। কিন্তু হাদীছে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সম্পত্তি তাঁর উত্তরাধিকারী সন্তানগণ পাবেন না বলে ‘খাছ’ ভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।[32]
মূলতঃ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর আগমন ঘটেছিল কুরআনের ব্যাখ্যাকারী হিসাবে[33] এবং ঐ ব্যাখ্যাও ছিল সরাসরি আল্লাহ কর্তৃক প্রত্যাদিষ্ট।[34] অতএব রাসূল (ছাঃ)-এর প্রদত্ত ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করা ‘অহিয়ে গায়ের মাতলু’ বা আল্লাহর অনাবৃত্ত অহি-কে প্রত্যাখ্যান করার শামিল হবে।
(২) হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, একদা এক জেহরী ছালাতে সালাম ফিরিয়ে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মুছল্লীদের জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের মধ্যে কেউ কি এইমাত্র আমার সাথে কুরআন পাঠ করেছ? একজন বলল, জি-হাঁ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, তাই বলি, مَا لِيْ أُنَازِعُ القُرْآنَ ‘আমার ক্বিরাআতে কেন বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে’? রাবী বলেন,- فَانْتَهَى النَّاسُ عَنِ الْقِرَاءَةِ مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيْمَا جَهَرَ فِيْهِ ‘এরপর থেকে লোকেরা জেহরী ছালাতে রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে ক্বিরাআত করা থেকে বিরত হ’ল’।[35]
জবাব : হাদীছের বক্তব্যে বুঝা যায় যে, মুক্তাদীগণের মধ্যে কেউ রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে সাথে সরবে ক্বিরাআত করেছিলেন। যার জন্য ইমাম হিসাবে রাসূল (ছাঃ)-এর ক্বিরাআতে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছিল। ইতিপূর্বে আনাস ও আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত হাদীছ দু’টিতে নীরবে পড়ার কথা এসেছে, যাতে বিঘ্ন সৃষ্টি না হয়। শাহ অলিউল্লাহ দেহলভী (রহঃ) বলেন,فَإنْ قَرَأَ فَلْيَقْرَءِ الْفَاتِحَةَ قِرَاءَةً لاَ يُشَوِّشُ عَلَي الْإِمَامِ- ‘জেহরী ছালাতে মুক্তাদী এমনভাবে সূরায়ে ফাতিহা পাঠ করবে, যাতে ইমামের ক্বিরাআতে বিঘ্ন সৃষ্টি না হয়’।[36] অতএব নীরবে ইমামের পিছনে সূরায়ে ফাতিহা পড়লে ইমামের ক্বিরাআতে বিঘ্ন সৃষ্টির প্রশ্নই আসে না। উল্লেখ্য যে, হাদীছের শেষাংশে ‘অতঃপর লোকেরা ক্বিরাআত থেকে বিরত হ’ল’ কথাটি ‘মুদরাজ’ (مدرج), যা সনদভুক্ত অন্যতম বর্ণনাকারী ইবনু শিহাব যুহরী কর্তৃক সংযুক্ত। শিষ্য সুফিয়ান বিন ‘উয়ায়না বলেন, যুহরী (এ বিষয়ে) এমন কথা বলেছেন, যা আমি কখনো শুনিনি’। [37]
(৩) আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, إِنَّمَا جُعِلَ الْإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوْا وَإِذَا قَرَأَ فَأَنْصِتُوْا- ‘ইমাম নিযুক্ত হন তাকে অনুসরণ করার জন্য। তিনি যখন তাকবীর বলেন, তখন তোমরা তাকবীর বল। তিনি যখন ক্বিরাআত করেন, তখন তোমরা চুপ থাক’। [38]
জবাব : উক্ত হাদীছে ‘আম’ ভাবে ক্বিরাআতের সময় চুপ থাকতে বলা হয়েছে। কুরআনেও অনুরূপ নির্দেশ এসেছে (আ‘রাফ ৭/২০৪)। একই রাবীর (আবু হুরায়রা) ইতিপূর্বেকার বর্ণনায় এবং আনাস (রাঃ) বর্ণিত হাদীছে সূরায়ে ফাতিহাকে ‘খাছ’ ভাবে চুপে চুপে পড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অতএব ইমামের পিছনে চুপে চুপে সূরায়ে ফাতিহা পাঠ করলে উভয় ছহীহ হাদীছের উপরে আমল করা সম্ভব হয়।
(৪) হযরত জাবের (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, مَنْ كَانَ لَهُ إِمَامٌ فَقِرَاءَةُ الْإِمَامِ لَهُ قِرَاءَةٌ ‘যার ইমাম রয়েছে, ইমামের ক্বিরাআত তার জন্য ক্বিরাআত হবে’।[39]
জবাব : (ক) ইবনু হাজার আসক্বালানী বলেন, যতগুলি সূত্র থেকে হাদীছটি বর্ণিত হয়েছে সকল সূত্রই দোষযুক্ত। সেকারণ ‘হাদীছটি সকল বিদ্বানের নিকটে সর্বসম্মতভাবে যঈফ (إِنَّهُ ضَعِيْفٌ عِنْدَ جَمِيْعِ الْحُفَّاظِ)’।[40]
(খ) অত্র হাদীছে ‘ক্বিরাআত’ কথাটি ‘আম’। কিন্তু সূরায়ে ফাতিহা পাঠের নির্দেশটি ‘খাছ’। অতএব অন্য সব সূরা বাদ দিয়ে কেবল সূরায়ে ফাতিহা পাঠ করতে হবে।
(৫) لاَ صَلاَةَ إِلاَّ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ (‘লা ছালা-তা ইল্লা বি ফা-তিহাতিল কিতাব’) বা ‘সূরায়ে ফাতিহা ব্যতীত ছালাত নয়’ [41] অর্থ ‘ছালাত পূর্ণাংগ নয়’ (لاَ صَلاَةَ بِالكَمَالِ) । যেমন অন্য হাদীছে রয়েছে, لاَ إِيْمَانَ لِمَنْ لاَ أَمَانَةَ لَهُ وَلاَ دِيْنَ لِمَنْ لاَ عَهْدَ لَهُ (‘লা ঈমা-না লিমান লা আমা-নাতা লাহূ, ওয়ালা দীনা লিমান লা ‘আহ্দা লাহূ’) ‘ঐ ব্যক্তির ঈমান নেই, যার আমানত নেই এবং ঐ ব্যক্তির দ্বীন নেই যার ওয়াদা ঠিক নেই’[42] অর্থ ঐ ব্যক্তির ঈমান পূর্ণ নয়, বরং ত্রুটিপূর্ণ।
জবাব : (ক) কুতুবে সিত্তাহ সহ প্রায় সকল হাদীছ গ্রন্থে বর্ণিত উপরোক্ত মর্মের প্রসিদ্ধ হাদীছটি একই রাবী হযরত উবাদাহ বিন ছামিত (রাঃ) হ’তে দারাকুৎনীতে ছহীহ সনদে বর্ণিত হয়েছে এভাবে, لاَ تُجْزِئُ صَلاَةٌ لاَ يَقْرَأُ الرَّجُلُ فِيْهَا بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ- ‘ঐ ছালাত সিদ্ধ নয়, যার মধ্যে মুছল্লী সূরায়ে ফাতিহা পাঠ করে না’।[43] অতএব উক্ত হাদীছে ‘ছালাত নয়’ অর্থ ‘ছালাত সিদ্ধ নয়’।
(খ) অনুরূপভাবে’ ‘খিদাজ’ বা ত্রুটিপূর্ণ- এর ব্যাখ্যায় ইবনু খুযায়মা স্বীয় ‘ছহীহ’ গ্রন্থে ‘ছালাত’ অধ্যায়ে ৯৫ নং দীর্ঘ অনুচ্ছেদ রচনা করেন এভাবে যে,
بَابُ ذِكْرِ الدَّلِيلِ عَلَى أَنَّ الْخِدَاجَ الَّذِي أَعْلَمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا الْخَبَرِ هُوَ النَّقْصُ الَّذِي لاَ تُجْزِئُ الصَّلاَةُ مَعَهُ، إِذِ النَّقْصُ فِي الصَّلاَةِ يَكُوْنُ نَقْصَيْنِ، أَحَدُهُمَا لاَ تُجْزِئُ الصَّلاَةُ مَعَ ذَلِكَ النَّقْصِ، وَالآخَرُ تَكُوْنُ الصَّلاَةُ جَائِزَةً مَعَ ذَلِكَ النَّقْصِ لاَ يَجِبُ إِعَادَتُهَا، وَلَيْسَ هَذَا النَّقْصُ مِمَّا يُوجِبُ سَجْدَتَيِ السَّهْوِ مَعَ جَوَازِ الصَّلاَةِ- (صحيح ابن خزيمة، كتاب الصلاة، باب ৯৫)-
‘ঐ ‘খিদাজ’-এর আলোচনা যে সম্পর্কে রাসূল (ছাঃ) অত্র হাদীছে হুঁশিয়ার করেছেন যে, ঐ ত্রুটি থাকলে ছালাত সিদ্ধ হবে না। কেননা ত্রুটি দু’প্রকারেরঃ এক- যা থাকলে ছালাত সিদ্ধ হয় না। দুই- যা থাকলেও ছালাত সিদ্ধ হয়। পুনরায় পড়তে হয় না। এই ত্রুটি হ’লে ‘সিজদায়ে সহো’ দিতে হয় না। অথচ ছালাত সিদ্ধ হয়ে যায়’।
অতঃপর তিনি আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) -এর হাদীছ উদ্ধৃত করেন যে, لاَ تُجْزِئُ صَلاَةٌ لاَ يُقْرَأُ ا فِيْهَا بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ ‘ঐ ছালাত সিদ্ধ নয়, যাতে সূরায়ে ফাতিহা পাঠ করা হয় না’.....। [44]
এক্ষণে ‘লা ছালা-তা বা ‘ছালাত নয়’-এর অর্থ যখন স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ‘লা তুজযিউ’ অর্থাৎ ‘ছালাত সিদ্ধ নয়’ বলে ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন, তখন সেখানে আমাদের নিজস্ব ব্যাখ্যার কোন অবকাশ নেই। অতএব ‘খিদাজ’ অর্থ ‘অপূর্ণাঙ্গ’ করাটা অন্যায়। বরং এটি ‘ক্রটিপূর্ণ’। আর ত্রুটিপূর্ণ ছালাত প্রকৃত অর্থে কোন ছালাত নয়।
অতএব রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ছহীহ হাদীছ, অধিকাংশ ছাহাবী ও তাবেঈন এবং ইমাম মালেক, শাফেঈ ও আহমাদ সহ অধিকাংশ মুজতাহিদ ইমামগণের সিদ্ধান্ত ও নিয়মিত আমলের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে সর্বাবস্থায় সকল ছালাতে সূরায়ে ফাতেহা পাঠ করা অবশ্য কর্তব্য। নইলে অহেতুক যিদ কিংবা ব্যক্তি ও দলপূজার পরিণামে সারা জীবন ছালাত আদায় করেও ক্বিয়ামতের দিন স্রেফ আফসোস ব্যতীত কিছুই জুটবে না। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘যেদিন অনুসরণীয় ব্যক্তিগণ তাদের অনুসারীদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবে ও সকলে আযাবকে প্রত্যক্ষ করবে এবং তাদের মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ক সমূহ ছিন্ন হবে’। ‘যেদিন অনুসারীগণ বলবে, যদি আমাদের আরেকবার ফিরে যাওয়ার সুযোগ হ’ত, তাহ’লে আমরা তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতাম, যেমন আজ তারা আমাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। এমনিভাবে আল্লাহ সেদিন তাদের সকল আমলকে তাদের জন্য ‘আফসোস’ হিসাবে দেখাবেন। অথচ তারা কখনোই জাহান্নাম থেকে বের হবে না’ (বাক্বারাহ ২/১৬৬-৬৭)।
[22] . মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৮২২ ‘ছালাতে ক্বিরাআত’ অনুচ্ছেদ-১২; কুতুবে সিত্তাহ সহ প্রায় সকল হাদীছ গ্রন্থে উক্ত হাদীছটি বর্ণিত হয়েছে। [23] . আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/৮০৪; আবুদাঊদ হা/৮৫৯ ‘ছালাত’ অধ্যায়-২, অনুচ্ছেদ-১৪৯। [24] . আবুদাঊদ হা/৮১৮। [25] . আবুদাঊদ হা/৮২০। [26] . বুখারী, জুয্উল ক্বিরাআত; ত্বাবারাণী আওসাত্ব, বায়হাক্বী, ছহীহ ইবনু হিববান হা/১৮৪৪; হাদীছ ছহীহ- আরনাঊত্ব; তুহফাতুল আহওয়াযী, ‘ইমামের পিছনে ক্বিরাআত’ অনুচ্ছেদ-২২৯, হা/৩১০-এর ভাষ্য (فالطريقان محفوظان) , ২/২২৮ পৃঃ; নায়লুল আওত্বার ২/৬৭ পৃঃ, ‘মুক্তাদীর ক্বিরাআত ও চুপ থাকা’ অনুচ্ছেদ। [27] . মুসলিম, মিশকাত হা/৮২৩, ‘ছালাতে ক্বিরাআত’ অনুচ্ছেদ-১২; নায়ল ৩/৫১-৫২। [28] . তিরমিযী (তুহফা সহ) হা/২৪৭-এর ভাষ্য ২/৬১ পৃঃ; আবুদাঊদ (আওন সহ) হা/৮০৬-এর ভাষ্য, ৩/৩৮ পৃঃ । [29] . তিরমিযী (তুহফা সহ) হা/৩১০; মিশকাত হা/৮৫৪, ‘ছালাতে ক্বিরাআত’ অনুচ্ছেদ-১২; আহমাদ হা/২২৭৯৮, সনদ হাসান -আরনাঊত্ব; হাকেম ১/২৩৮, হা/৮৬৯। আলবানী অত্র হাদীছ দ্বারা জেহরী ছালাতে মুক্তাদীর জন্য সূরা ফাতিহা পাঠ করাকে ‘জায়েয’ বলেছেন, কিন্তু ‘ওয়াজিব’ বলেন নি (দ্র: মিশকাত হা/৮৫৪-এর টীকা) । পরবর্তীতে উক্ত হাদীছকে যঈফ বলেছেন (আবুদাঊদ হা/৮২৩)। এমনকি তিনি অন্যত্র জেহরী ছালাতে ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পাঠ ‘মনসূখ’ বলেছেন (ছিফাত ৭৯-৮১)। পক্ষান্তরে ইমাম বুখারী ‘জেহরী ও সের্রী সকল ছালাতে ইমাম ও মুক্তাদী উভয়ের জন্য সূরা ফাতিহা পাঠ করা ওয়াজিব’ বলে অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন (বুখারী, ‘আযান’ অধ্যায়-১০, অনুচ্ছেদ-৯৫)। [30] . কুরতুবী, উক্ত আয়াতের তাফসীর দ্রষ্টব্য, ৭/৩৫৪ পৃঃ। [31] . নূরুল আনওয়ার ২১৩-১৪ পৃঃ; নায়লুল আওত্বার ৩/৬৭ পৃঃ। [32] . যেমন আল্লাহ বলেন, وَلَقَدْ آتَيْنَاكَ سَبْعًا مِّنَ الْمَثَانِيْ وَالْقُرْآنَ الْعَظِيْمَ ‘আমরা আপনাকে দিয়েছি সাতটি আয়াত (সূরা ফাতিহা), যা পুন: পুন: পঠিত হয় এবং মহান কুরআন’ (হিজর ১৫/৮৭)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, إِنَّا مَعْشَرَ الأَنْبِيَاءِ لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَاهُ صَدَقَةٌ ‘আমরা নবীগণ! কোন উত্তরাধিকারী রাখি না। যা কিছু আমরা রেখে যাই, সবই ছাদাক্বা’। =কানযুল উম্মাল হা/৩৫৬০০; নাসাঈ কুবরা হা/৬৩০৯; মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৫৯৭৬ ‘ফাযায়েল ও শামায়েল’ অধ্যায়-২৯, অনুচ্ছেদ-১০। [33] . নাহল ১৬/৪৪, ৬৪। [34] . নাজম ৫৩/৩-৪ وَمَا يَنْطِقُ عَنِ الْهَوَى، إِنْ هُوَ إِلاَّ وَحْيٌ يُوحَى, ক্বিয়ামাহ ৭৫/১৯ ثُمَّ إِنَّ عَلَيْنَا بَيَانَهُ । [35] . আবুদাঊদ, নাসাঈ, তিরমিযী , মিশকাত হা/৮৫৫, ‘ছালাতে ক্বিরাআত’ অনুচ্ছেদ-১২। [36] . হুজ্জাতুল্লা-হিল বা-লিগাহ (কায়রো : দারুত তুরাছ ১৩৫৫/১৯৩৬), ২/৯ পৃঃ। [37] . আবুদাঊদ হা/৮২৭; আওনুল মা‘বূদ হা/৮১১-১২, অনুচ্ছেদ-১৩৫; নায়লুল আওত্বার ৩/৬৫। [38] . আবুদাঊদ, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৮৫৭। [39] . ইবনু মাজাহ হা/৮৫০; দারাকুৎনী হা/১২২০; বায়হাক্বী ২/১৫৯-৬০ পৃঃ; হাদীছ যঈফ। [40] . ফাৎহুল বারী ২/২৮৩ পৃঃ, হা/৭৫৬ -এর আলোচনা দ্রষ্টব্য; নায়লুল আওত্বার ৩/৭০ পৃঃ। আলবানী হাদীছটিকে ‘হাসান’ বলেছেন। অতঃপর ব্যাখ্যায় বলেন যে, হাদীছটির কোন সূত্র দুর্বলতা (ضعف) হ’তে মুক্ত নয়। তবে দুর্বল সূত্র সমূহের সমষ্টি সাক্ষ্য দেয় যে, এর কিছু ভিত্তি আছে (أن للحديث أصلا) (ইরওয়া হা/৫০০, ২/২৭৭)। তাঁর উপরোক্ত মন্তব্যই ইঙ্গিত দেয় যে, হাদীছটি আসলেই যঈফ, যা অন্যান্য মুহাদ্দিছগণ সর্বসম্মত ভাবে বলেছেন। [41] . ত্বাবারাণী, বায়হাক্বী, সৈয়ূত্বী, আল-জামে‘উল কাবীর হা/১১৯৪; আলবানী, তামামুল মিন্নাহ পৃঃ ৩২৯। [42] . বায়হাক্বী, মিশকাত হা/৩৫ ‘ঈমান’ অধ্যায়-১, সনদ জাইয়িদ। [43] . দারাকুৎনী (বৈরূত : দারুল কুতুবিল ইলমিয়াহ ১৪১৭/১৯৯৬) হা/১২১২, ১/৩১৯ পৃঃ, সনদ ছহীহ। [44] . ছহীহ ইবনু খুযায়মা হা/৪৯০, ১/২৪৭-৪৮ পৃঃ সনদ ছহীহ। أجزأ الشيئ فلانا اي كفاه অর্থাৎ ‘এটি তার জন্য যথেষ্ট হয়েছে’ ; আল-মু‘জামুল ওয়াসীত্ব ১১৯-২০ পৃঃ।
sourse-
http://hadithbd.com/showqa.php?d=1277

তাশাহহুদে বসা অবস্থায় দৃষ্টি সিজদার স্থানের দিকে না আঙ্গুল নাড়ানোর দিকে রাখতে হবে ?



 
slamic Education & Research Foundation (IERF)

প্রশ্নঃ তাশাহহুদে বসা অবস্থায় দৃষ্টি সিজদার স্থানের দিকে না আঙ্গুল নাড়ানোর দিকে রাখতে হবে ?
-
উত্তর: তাশাহহুদে বসা অবস্থায় দৃষ্টি রাখতে হবে আঙ্গুলের ইশারার দিকে।
রাসূল (ছাঃ) যখন তাশাহহুদে বসতেন, তখন ...তর্জনী আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করতেন এবং তাঁর দৃষ্টি আঙ্গুলের ইশারা বরাবর থাকত তার বাইরে যেত না।
(আবুদাউদ হা/৯৮৮, ৯৯০; নাসাঈ হা/১২৭৫; মিশকাত হা/৯১২)
ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, তাশাহহুদের সময় দৃষ্টি আঙ্গুলের উপর রাখাই সুন্নাত।
(নববী, শারহ মুসলিম হা/৯১০, নায়লুল আওতার ২/৩১৭)

Tuesday 27 October 2015

আল্লাহর রসূল(দঃ) সালাম ফিরার পর ঘুরে বসতেন, তখন তিনবার ‘ইস্তিগফার’ (ক্ষমা প্রার্থনা)পড়তেন



সাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল ﷺ যখন নামায থেকে সালাম ফিরার পর ঘুরে বসতেন, তখন তিনবার ‘ইস্তিগফার’ (ক্ষমা প্রার্থনা) করতেন আর পড়তেন, ‘আল্লাহুম্মা আন্তাস সালামু অমিনকাস সালামু তাবারাকতা ইয়া যাল-জালালি অল-ইকরাম। অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি শান্তিময়, তোমার নিকট থেকেই শান্তি আসে। তুমি বরকতময় হে মহিমান্বিত ও মহানুভব।
এ হাদিসটির অন্যতম বর্ণনাকারী আওযায়ী (রহঃ)কে প্রশ্ন করা হল, ‘ইস্তিগফার’ কিভাবে হবে? উত্তরে তিনি বললেন, বলবে, ‘আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ।’ (অর্থাৎ আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি।)
রিয়াদুস স্বালেহীন ১৪২৩।[মুসলিম ৫৯১]

Sunday 25 October 2015

তাহাজ্জুদ চালাত : তাহাজ্জুদ চালাতৰ দোৱা লক্ষ্যভ্ৰষ্ট নোহোৱা কাঁড়ৰ দৰে

তাহাজ্জুদ চালাত সম্বন্ধে : * জীৱনত আল্লাহৰ পৰা কিবা বিচাৰিব হলে তাহাজ্জুদ চালাত পঢ়ি বিচৰাতো শ্ৰেয়ঃ অন্যথা প্ৰকৃততে বিচৰা নহয়গৈ - শ্বেখ য়াচিৰ কাধি ।
* তাহাজ্জুদ চালাতৰ দোৱা লক্ষ্যভ্ৰষ্ট নোহোৱা কাঁড়ৰ দৰে (ইমাম চাফি (ৰঃ) ।
* সকলো নিদ্ৰাত থকা সময়ত উঠি তাহাজ্জুদৰ চালাত আদায় কৰিলে জীৱনৰ পথ আলোকময় আৰু উজ্জ্বল হয় ।
* আল্লাহৰ কথা বহুতে কয় কিন্তু খুব কম লোকে আল্লাহৰ লগত কথা পাতে । তাহাজ্জুদ চালাতৰ দোৱাৰ জৰিয়তে আল্লাহৰ লগত কথা পতা হয় ।
* আল্লাহৰ ওচৰত কিবা বিচাৰিব হলে তাহাজ্জুদ পঢ়া আৰম্ভ কৰি বিচাৰিব লাগে ।
* ফজৰৰ চালাতৰ ১৫ মিঃ আগলৈকে তাহাজ্জুদ পঢ়িব পাৰি ।
* তাহাজ্জুদৰ সময়ত আল্লাহৰ ওচৰত হাত দাঙি কৰা দোৱা আল্লাহে শুনিবলৈ ভাল পায় ।
* আবু হুৰাইৰা (ৰাঃ) দ্বাৰা বৰ্ণিত ৰচুলুল্লাহ চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱচাল্লামে কৈছে "ফৰজ চালাতৰ পিছত উত্তম চালাত হৈছে তাহাজ্জুদৰ চালাত (মুচলিম) ।
* তাহাজ্জুদ চালাতৰ লাভ সমূহ -
১) চুন্নত প্ৰতিষ্ঠা কৰা হয় যি চালাত ৰচুলুল্লাহ চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱচাল্লামে কেতিয়াও ত্যাগ কৰা নাছিল ।
২) দোৱা কবুলৰ উত্তম সময় ।
৩) গুনাহ মাফৰ সঠিক ৰাস্তা ।
৪) তাহাজ্জুদ চালাতে চেহেৰা ও অন্তৰৰ উজ্জ্বলতা বঢ়ায় ।
৫) বেয়া ৰিপুৰ বিপৰীতে যুজিবলৈ শক্তি যোগায় ।
৬) আল্লাহৰ কাষ চপাৰ সহজ পথ ।
৭) অন্তৰত পৰকালৰ প্ৰতি ভালপোৱা সৃষ্টি হয়
৮) অন্তৰ কোমল কৰে আৰু আল্লাহৰ ওচৰত humble হোৱা যায় ।
৯) কোৰআনৰ বাণী মুখস্থ কৰাত সহায় হয় ।
* আবু হুৰাইৰা (ৰাঃ) দ্বাৰা বৰ্ণিত ৰচুলুল্লাহ চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱচাল্লামে কৈছে " প্ৰতি নিশা ৩য় প্ৰহৰত আল্লাহ তলৰ আচমানলৈ আহে আৰু বান্দাক উদ্দেশ্যি কয়, আছে নে কোনোবা মোক অভিযোগ দিবলৈ মই তেওঁৰ প্ৰতি সঁহাৰি জনাম, আছে নে কোনোবা মোৰ ওচৰত অনুৰোধ কৰিবলৈ, মই তেওঁৰ অনুৰোধ ৰক্ষা কৰিম, আছে নে কোনোবা মোক ক্ষমা বিচাৰিবলৈ মই তেওঁক ক্ষমা কৰি দিম (বুখাৰী বুক ২১ হদীচ নং ২৪৬) । আমাক সকলোকে আল্লাহে যেন এই আমল কৰাৰ তৌফিক দিয়ে ।

Thursday 22 October 2015

3]-সালাতে (নামাযে)কিভাবে দাঁড়াতে হবেঃ



সালাতে (নামাযে)কিভাবে দাঁড়াতে হবেঃ
সালাতে সোজা হয়ে দাঁড়াবার সময় খেয়াল রাখতে হয় যেন দুই পায়ের উপর শরীরে ভার সমানভাবে পড়ে এবং দুই পায়ের মাঝে এমনভাবে ফাঁকা থাকে যাতে উভয় পার্শ্বের মুছল্লীর পায়ের সাথে নিজের গোড়ালী মিলে যায় এবং কাঁধের সাথে কাঁধ লেগে থাকে। (উলামারা জাম’আতে এটাকে ওয়াজিব বলেছেন)।
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেনঃ রাসূল(ছাঃ)বলেছেন,তোমাদের কেউ যেন সালাত আদায়ের সময় তার জুতা বাম অথবা ডান দিকে না রাখে। অবশ্য তার বাম দিকে যদি কোন লোক না থাকে তবে সেখানে রাখতে পারে। তবে জুতাদ্বয় স্বীয় পায়ের মাঝখানেই রাখা বাঞ্ছনীয়। (আবু দাউদ হা/৬৫৪, অনরুপ হা/৬৫৫)
এই হাদীস দ্বারা একজন সালাতীর পা কতটুকু ফাঁকা রাখতে তার প্রমাণ মেলে। অতএব পুরুষ ও মহিলা মুছল্লী (সালাতী) স্ব স্ব কাতারে দু’পা স্বাভাবিক ফাঁকা করে দাঁড়াতে হবে। শর্ত হচ্ছে কাঁধে কাঁধ,পায়ে পা মিলানো। আর তা করতে গেলে, পা স্বভাবিক রাখতে হবে। অনেকে মত দিয়েছেন পুরুষের দু’পায়ের মাঝে চার আঙ্গুল মহিলাদের দু’পায়ে পা মিলিয়ে দাঁড়াতে হবে এসব অযৌক্তিক, ভিত্তিহীন। উপরোক্ত হাদীসের ব্যাখ্যায় বোঝা যায় পা কিভাবে ফাঁকা করে দাড়াতে হবে।
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন যে ব্যক্তি সালাতে নিজের উভয় পা(এক সঙ্গে) মিলিয়ে দাড়ালো সে সুন্নাতের বিরোধিতা করলো।(নাসাঈ হা/ ৮৯৫ ইঃ ফাঃ)।
অনেকে মত দেন মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে পা কম ফাঁকা রাখবে। কিন্তু হাদীসে ছেলে, মেয়েদের ক্ষেত্রে একই শর্ত, ভিন্ন কোন দলীল পাওয়া যায় না। বাস্তব দিকটা দেখেলেও সেটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। জুতা জোড়া পায়ের মাঝখানে রাখতে হবে (প্রয়োজনে)। মেয়েদের পা এবং জুতা আকৃতির দিক থেকে পুরুষদের থেকে প্রাকৃতিক নিয়মে ছোট।(এ বিষয়ে মতের কি প্রয়োজন?)।
যে ব্যক্তি গায়ে গা মিলিয়ে কাতার সোজা করে সালাতে দাঁড়ায় আল্লাহ তাঁর সাথে সম্পর্ক রাখেন। অপরপক্ষে যে সালাতের কাতার সোজা করে না, মধ্যেখানে ফাঁক রেখে দাঁড়ায় আল্লাহ তাঁর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। (নাসাঈ, হাকেম)।
সালাতে কাঁধে কাঁধ ও গিঁটে গিঁট লাগিয়ে দুই জনের মাঝে ফাঁক বন্ধ করা ও কাতার গুলো প্রথম থেকে সিরিয়াল অনুসারে পূরন করা ওয়াজিব। রাসূল(ছাঃ)বলেন‘‘যে ব্যাক্তি দুই জনের ফাঁক বন্ধ করবে, আল্লাহ তার জন্যে জান্নাতে একটি ঘর তৈরি করবেন এবং এর দ্বারা তার একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন।(সহীহ সনদে ত্বাবারানী আওসাত হা/৫৭৯৭ ,সিলসিলাহ সহিহা হা /১৮৯২ )।
সউদি আরবের সুপ্রিম উলামা কাউন্সিলের সদস্য শেখ সালেহ উসাইমিন বলেছেন, কাতার সোজা করার ব্যাপারে পায়ের গোড়ালীই প্রধান বিবেচ্য বিষয়। গোটা শরীর গোড়ালীর উপর নির্ভরশীল। বিভিন্ন জনের আঙ্গুল বড় ছোট আছে তাই আঙ্গুল কাতার সোজা করার ভিত্তি হতে পারে না। সাহাবায়ে কেরাম গণ একজন আরেকজনের সাথে গোড়ালী মিলিয়ে কাতার সোজা করতেন। (দুরুস ফাতাওয়াহ ফিল হারাম-আল-মাক্কী সালেহ উসাইমিন পৃষ্ঠা নং-৭৫)।
জাবের বিন সামুরা (রাঃ) বলেনঃ রাসূল (ছাঃ) আমাদের কাছে এসে বললেন, ফেরেশতা মন্ডলী যেমন তাদের প্রভূর সামনে কাতার বদ্ধ হয় তোমরা কি তেমন কাতার বদ্ধ হবে না? আমরা জিজ্ঞেস করলামঃ হে আল্লাহর রাসূল! ফেরেশতা মন্ডলী তাদের প্রভূর সামনে কিভাবে কাতার বদ্ধ হয়? তিনি বললেনঃ তারা আগের কাতার গুলো পূর্ণ করে এবং মাঝখানে ফাঁক না রেখে মিলিতভাবে দাড়ায়।(মুসলিম হা/৪৩০)।
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন তোমাদের সালাতের কাতারগুলো সোজা ও সমান্তরাল কর। কেননা কাতার সোজা করা সালাত পূর্ণাঙ্গরুপে আদায় করার অন্তর্ভূক্ত। (বুখারী হা/৭৩৩, মুসলিম হা/৪৩৩)।
অপর বর্ণনায়এসেছেঃ কেননা কাতার সোজা করা সালাত কায়েম করার অন্তর্ভূক্ত।
আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ এবং ফেরেশতাগণ তাদের প্রতি রহমত বর্ষন করেন, যারা কাতারবন্দী হয়ে সালাত আদায় করেন। আর যে ব্যক্তি কাতারের ফাঁক বন্ধ করে দাঁড়ায় আল্লাহ তায়ালা এর বিনিময়ে তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন।(আহমদ, ইবনে মাজাহ হা/৯৯৫, সনদ সহীহ)।
রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা কাঁধগুলো সমান কর ও ফাঁক বন্ধ কর এবং শয়তানের জন্য কোন জায়গা খালি ছেড়োনা’।‘কেননা আমি দেখি যে, শয়তান ছোট কালো বকরীর ন্যায় তোমাদের মাঝে ঢুকে পড়ে’। (আবু দাউদ হা/৬৬৬-৬৭; মিশকাত হা/১১০২,১০৯৩)।
কাতার সোজা করায় ইমামের করণীয় ঃ
কাতার সোজা করায় ইমামের প্রথম কর্তব্য তাকবীর দেওয়ার আগে মুছল্লীদের টাখনুতে টাখনু ও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এবং কাতার সোজা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া। অতঃপর কাতার সোজা হলে তাকবীর দেওয়া। এর বিপরীতে কোন সহীহ বর্ণনা নেই। অথচ এদেশের মসজিদ গুলোতে এর বিপরীত করা হয়। দুই মুছল্লীর মাঝখানে অনেক ফাঁকা করে দাঁড়ায় অথচ এর কোন হাদীস নেই। আর এটাই আমাদের মসজিদগুলোতে করা হয়। যা সুন্নাত বিরোধী।
সুন্নাত হল ইমাম সাহেব মুছল্লীদের দিকে মুখ ফিরিয়ে বলবেন, কাতার সোজা করুন, কাতার সোজা করুন, কাতার সোজা করুন। (নাসাঈ হা/৮১৩ অনরুপ বুখারী হা/ ৭১৯)
নুমান ইবনু বাশীর রাযি আল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত , তিনি বলেন , রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সমবেত লোকদের দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে তিনবার বলেন , তোমরা তোমাদের কাতারসমূহ সোজা কর । আল্লাহর শপথ , অবশ্যই তোমরা তোমাদের কাতারসমূহ সোজা করে দাঁড়াও । অন্যথায় আল্লাহ তোমাদের অন্তরে মতানৈক্য সৃষ্টি করে দিবেন ।
বর্ণনাকারী নুমান রাযিআল্লাহু আনহু বলেন অতঃপর আমি এক লোকতে দেখলাম , সে তার সঙ্গীর কাঁধের সাথে নিজের কাঁধ , তার হাঁটুর সাথে নিজের হাঁটু এবং গোড়ালির সাথে নিজের গোড়ালি মিলিয়ে দাঁড়াচ্ছে >{হাদীস সহীহ , আবু দাউদ হাদীস নং ৬৬২ , হাদীসের শব্দাবলী তার , তাহকীক আলবানী সহীহ । ইবনু খুযাইমাহ হাদীস নং ১৬০ , তাহকীক ডক্টর মুস্তফা আযমী সানাদ সহীহ । মুসনাদ আহমাদ হাদীস নং ১৮৪৩০ তাহকীক শুআইব আরনাউত্ব হাদীস সহীহ । আহমাদ শাকির বলেন হাদীস নং ৫৭২৪, ১১৯৫০, ১২৭৭৭, ১২৮১৯, ১৩৭১২, ১৩৮৩৫, ১৮৩৪২, ১৮৫২৫, ১৯৫৫৩, এর সানাদ সহীহ । ইবনু হিব্বান হাদীস নং ২১৭৬ তাহকীক শুআইব আরনাউত্ব সানাদ মজবুত । বায়হাকী হাদীস নং ৩৬২ }
নোমান বিন বশীর (রাঃ) বলেন, আমি লোকদেরকে তার সাথীর কাঁধের সাথে কাঁধ এবং পায়ের গোড়ালীর সাথে গোড়ালী মিলিয়ে কাতার সোজা করার ব্যপারে মহানবী (ছাঃ)এর আদেশ পালন করতে দেখেছি। (বুখারী ১/১০০ পৃষ্ঠা, অনুচ্ছেদ ৪৭, আযান অধ্যায়)।
ইবনু হাজার বলেন, নোমান বিন বশীরের বর্ণনার শেষাংশে ‘গোড়ালীর সাথে গোড়ালী’ কথাটি এসেছে। এর দ্বারা পায়ের পার্শ্ব বোঝানো হয়েছে। পায়ের পিছনের অংশ নয়, যেমন অনেকে ধারণা করেন। (ফাতহুল বারী ২/২৪৭ পৃষ্ঠা)।
রাসূল (ছাঃ)কাতারের মাঝখান দিয়ে এক ধার থেকে অন্য ধার পর্যন্ত যেতেন এবং বুক ও কাঁধ স্পর্শ করে কাতার সোজা করার নির্দেশ দিতেন। (আবু দাউদ হা/৬৬৪সনদ হাসান)।
হযরত উমর (রাঃ) জামা‘আতে সালাত আরম্ভের পূর্বে জামা‘আতে সালাতের কাতার সোজা করার জন্য মুছল্লীদের মধ্যে লোক পাঠাতেন। যখন উক্ত ব্যক্তি কাতার সোজার সংবাদ নিয়ে আসতেন তখন সালাত আরম্ভ করতেন। (মুয়াত্তা মালিক)।
হযরত উমর (রাঃ) কাতার সোজা করার উদ্দেশ্যে আবূ উসমান নাহদী (রাঃ) এর পায়ে আঘাত করেছিলেন।
বিল্লাল (রাঃ) যখন কাতার সোজা করতেন তখন মুছল্লীদের পায়ের গাটে চাবুক মেরে মেরে লাইন সোজা করতেন। (ফাতহুল বারী ৩/৭২৪, ইবনে হাজার আসকালীন)।

Monday 19 October 2015

Pray as you have seen me praying.

There is only one common method of offering salaah (For Men and Women)

 Every Muslim should strive to make his prayer like the prayer of the Prophet (PBUH)

Messenger of Allah (peace and blessings of Allaah be upon him) Said
"Pray as you have seen me praying.” [Sahih Al-Bukhari Vol.1 Hadith No.604]. 

Read More:-
LOG-ON:-
https://www.facebook.com/notes/assalamu-alaikum/the-right-method-of-performing-salah-prayer-according-to-quran-and-sunnah/252301634819017

"আত্তাহিয়্যাতু পড়ার সময় আঙ্গুল নাড়ানো প্রসঙ্গে"



ইসলামের পাতা's photo.
"আত্তাহিয়্যাতু পড়ার সময় আঙ্গুল নাড়ানো প্রসঙ্গে"
তাশাহহুদ বা আত্তাহিয়্যাতু পড়া শুরু থেকে বৈঠকের শেষ পর্যন্ত ডান হাত মুষ্টিবদ্ধ করে অথবা বৃদ্ধা আঙ্গুলিকে মধ্যমা আঙ্গুলের সাথে মিলিয়ে শাহাদাত আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করবে। এটাই ছিল নাবী (সাঃ)-এর আমল।
যেমন-
"আবদুল্লাহ বিন উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুল (সাঃ) যখন আত্তাহিয়্যাতু পড়তে বসতেন, তখন বাম হাতকে বাম হাটুর উপর এবং ডান হাতকে ডান হাঁটুর উপর রাখতেন। এবং তিপ্পান্ন গণনার মতো আঙ্গুলী বন্ধ করতেন এবং শাহাদাত আঙ্গুলী দ্বারা ইশারা করতেন। মুসলিমের অপর বর্ণনায় এসেছে, তিনি (সাঃ) শাহাদাত অাঙ্গুলী দ্বারা ইশারা করতেন এ সময় বৃদ্ধাঙ্গুলীকে মধ্যমা আঙ্গুলের উপর রাখতেন।
(মুসলিম, হাএ, হা/১১৯৪-১১৯৮, আবু দাউদ, মাপ্র, হা/৭৩৪, ৯৮৭, ৯৮৮, তিরমীযী, মাপ্র, হা/২৯৩, ২৯৪, নাসায়ী, মাপ্র, হা/১১৬০, ১২৭৫, ১২৬৭, সহীহ ইবনে মাজাহ, মাশা, হা/৭৪৩, ৭৪৪,৭৪৫, মেশকাত, হাএ, হা/৯০৬, ৯০৭, ৯০৮, ৯১৭,)

Sunday 11 October 2015

বিতরের_সালাত video

2]-"সালাতে দাঁড়ানোর নিয়ম"

Hifzur Rahman shared ইসলামের পাতা's photo.

"সালাতে দাঁড়ানোর নিয়ম"
'জামা'আতে দাঁড়ানোর সময় পার্শ্ববর্তী মুসল্লীর কাঁধের সাথে পা মিলিয়ে কাতার সোজা করে কেবলামুখী হয়ে দাঁড়াবে।
''নু'মান ইবনু বাশীর (রাঃ) বলেন, রসুল (সাঃ) সমবেত লোকদের দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে তিনবার বললেন, 'তোমরা তোমাদের কাতার সমুহ সোজা কর। আল্লাহর শপথ! অবশ্যই তোমরা তোমাদের কাতারসমুহ সোজা করে দাঁড়াও। অন্যথায়, অাল্লাহ তোমাদের অন্তরে মতাৈনক্য সৃষ্টি করে দিবেন। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর লোকদেরকে দেখলাম যে, তারা তার সঙ্গীর কাঁধের সাথে কাঁধ, হাঁটুর সঙ্গে হাঁটু এবং পায়ের গোড়ালির সাথে গোড়ালি মিলিয়ে দাঁড়ালেন। (আবু দাউদ, মাপ্র. হা/৬৬২, সহীহ ইবনে খুয়াইমাহ, মাশা. হা/১৬০, সহীহ ইবনু হিব্বান, মাশা ৮/১৭ পৃ. মুসনাদে আহমাদ, মাশা. হা/১৮৪৩০, সহীহ তাহক্বীক আলবানী)
"আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, রসুল (সাঃ) (যখন এ কথা) বলতেন যে, তোমরা তোমাদের কাতার সোজা করে নাও। কেননা আমি আমার পিছন হতেও তোমাদের দেখতে পাই। (আনাস (রাঃ) বলেন) তখন আমাদের প্রত্যেকেই তার সাথীর কাঁধের সাথে কাঁধ এবং পায়ের সাথে পা মিলাত।(বুখারী তাও. হা/৭২৫, আপ্র. হা/৬৮১, ইঃফা, হা/৬৮৯, আওনুল ম'বুদ, মাশা.৭/৩৩৮ পৃ.)
"তোমরা কাতারসমুহ সোজা করে নাও। পরস্পর কাঁধের সাথে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াও এবং উভয়ের মাঝের ফাঁক বন্দ কর। শয়তানের জন্য কোন জায়গা ফাঁকা রাখবেনা। আর যে ব্যক্তি কাতার মিলাবে, আল্লাহ তাকে তার রহমতের অন্তর্ভুক্ত করবেন। (অপর পক্ষে) যে ব্যক্তি কাতার ভঙ্গ করবে, আল্লাহও তাকে তাঁর রহমত হতে বঞ্চিত করবেন। (আবু দাউদ, মাপ্র, হা/৬৬৬, মুসনাদে আহমাদ, মাশা, হা/৫৭২৪, মেশকাত, হাএ, হা/১১০২)
"উরওয়া ইবনে যুবায়ের (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন-রসুল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি কাতারের ফাঁক বন্ধ করে দাঁড়াবে, এআমলের বিনিময়ে আল্লাহ তা'আলা তার একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিবেন এবং তারর জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরি করবেন। (সিলসিলা সহীহা, মাশা, হা/১৮৯২, মুসান্নাফে ইবনু আবী শয়বাহ, মাশা, হা/৩৮২৪,)
‪#‎আরো‬ বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন:-
বুখারী, তাও, হা/৭১৭,৭১৮, ৭২৩, ৭২৫, ইঃফা, হা/৬৮২, ৬৮৩, ৬৮৯, মুসলিম, হাএ হা/৮৫৮,৮৬১,৮৬২,৮৬৩, ইঃফা হা/ ৮৫৪,৮৫৭, ৮৫৮, ৮৫৯, আবু দাউদ মাপ্র, হা/৬৬১, ৬৬২, ৬৬৩, ৬৬৪, ৬৬৭, ৬৬৮, নাসায়ী, মাশা, হা/৮০৯,৮১০, তিরমিজী, মাপ্র, হা/২২৭, সহীহ ইবনে মাজাহ, মাশা, হা/৮১৩, মেশকাত, হাএ, হা/১০৮৬, ১০৮৭, ১০৯১,।

Friday 9 October 2015

ফতোওয়া সালাত: নামায সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ১৭০টি প্রশ্নোত্তর

LOG-ON:-book

http://preachingauthenticislaminbangla.blogspot.in/2014/01/blog-post_27.html

 


সহি দুয়া কুনুত-"আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্তাইনুকা. . . . . "এইটো জয়ীফ দোৱা কুনুত



Aysha Akhter > দৈনন্দিন দুয়া ও জিকির-Aysha Akhter
আসসালামুআলাইকুম।
"সহি দুয়া কুনুত "
হাসান বিন আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বিতর নামাযে পাঠ করার জন্য নিম্ন লিখিত দুআটি শিখিয়েছেনঃ
اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ فَإِنَّكَ تَقْضِي وَلَا يُقْضَى عَلَيْكَ وَإِنَّهُ لَا يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ وَلَا يَعِزُّ مَنْ عَادَيْتَ تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْت
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মাহ্‌দিনি ফীমান হাদায়িত
ওয়া আ,ফিনী ফীমান আ,ফাইয়িত,
ওয়া তাওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লাইয়িত
ওয়া বা,রিক লী ফীমা আ’ত্বায়িত,
ওয়া ক্বিনী শার্‌রা মা ক্বাদ্বোয়িত,
ফা ইন্নাকা তাকদ্বী ওয়ালা য়্যুকদ্বো আ,লাইক,
ওয়া ইন্নাহু লা য়্যাযিল্লু মান ওয়ালায়িত,
ওয়ালা ইয়্যা্য্বিয্‌যু মান আদায়ীত,
তাবারাকতা রাব্বানা ওয়া তাআলায়ীতা।
অর্থঃ হে আল্লাহ্‌! আমাকে সঠিক পথ দেখিয়ে তাদের অন্তর্ভূক্ত কর যাদের তুমি হেদায়াত করেছ, আমাকে নিরাপদে রেখে তাদের মধ্যে শামিল কর, যাদের তুমি নিরাপদ রেখেছ। তুমি আমার অভিভাবকত্ব গ্রহণ করে তাদের মধ্যে শামিল কর যাদের তুমি অভিভাবক হয়েছ। তুমি আমাকে যা দান করেছ তাতে বরকত দাও। তুমি আমাকে সেই অনিষ্ট থেকে রক্ষা কর যা তুমি নির্ধারণ করেছ, কারণ তুমি ফায়সালাকারী এবং তোমার উপর কারো ফায়সালা কার্যকর হয় না। তুমি যার সাথে মিত্রতা পোষণ কর তাকে কেউ লাঞ্ছিত করতে পারে না। আর যার সাথে শত্রুতা পোষণ কর, সে কখনো সম্মানিত হতে পারে না। হে আমাদের রব! তুমি খুবই বরকতময়, সুউচ্চ ও সুমহান।
[তিরমিযী, অধ্যায়ঃ বিতর নামায, অনুচ্ছেদঃ বিতরে কুনূতের বিবরণ হা/৪২৬। নাসাঈ, অধ্যায়ঃ কিয়ামুল্লায়ল ও দিনের নফল নামায, অনুচ্ছেদঃ বিতরের দু'আ হা/১৭২৫। আবু দাঊদ, অধ্যায়ঃ বিতর নামায, অনুচ্ছেদঃ বিতরে কুনূতের বিবরণ, হা/১২১৪। ইবনু মাজাহ, অধ্যায়ঃ নামায প্রতিষ্ঠা করা ও তাতে সুন্নাত, অনুচ্ছেদঃ বিতরে কুনূতের বিবরণ, হা/১১৬৮। শায়খ আলবানী হাদীছটিকে ছহীহ বলেছেন, দ্রঃ ইরউয়াউল গালীল, হা/৪৪৯। মেশকাত- আলবানী ১/৩৯৮পৃঃ হা/ ১২৭৩।]
[[N.B:-
Juber Rahman"আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্তাইনুকা. . . . . "এইটো জয়ীফ দোৱা কুনুত । জয়ীফ হাদীছ গ্ৰহণযোগ্য নহয় । গতিকে সকলোকে ওপৰত দিয়া "আল্লাহুম্মাহ দ্বীনি . . . . " দোৱা কুনুতটো মুখস্থ কৰিবলৈ অনুৰোধ জনালোঁ ।]]

Friday 2 October 2015

sahih woozu


আসসালামু আলাইকুম
অযু করার পূর্ণ নিয়ম চিত্র সহ!!
অযু কি?
অযুর শাব্দিক অর্থ হচ্ছে পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতা অর্জন করা।
আর শরীয়াতের পরিভাষায় পরিষ্কার পানি দ্বারা এক বিশেষ পদ্ধতিতে মুখমন্ডল,
হাত ও পা ধৌত করা এবং মাথা মাসেহ্ করাকে অযু বলে।
পবিত্র কুরআনে সুরা মায়েদাতে আল্লাহ্ তায়ালা বলেন,,,,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى الْمَرَافِقِ وَامْسَحُوا بِرُءُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى الْكَعْبَيْنِ
অর্থ : “হে মুমিনগণ! যখন তোমরা সালাতের জন্য প্রস্তুত হবে,
তখন তোমরা তোমাদের মুখ মন্ডল ও দুই হাত কনুই সহ ধৌত করবে,
এবং তোমাদের মাথা মাসেহ করবে, আর দুই পা গোড়ালীসহ ধৌত করবে।”
[সূরা মায়িদাহঃ আয়াত-৬]
সুতরাং ওযুর গুরুত্ব অনেক।
এই লেখাটাতে আমি চেষ্টা করব আপানাদের ওযুর সহীহ পদ্ধতি সম্পর্কে (ছবি সহ) পরিষ্কার ধারণা দিতে।
ওযুর ফরয চারটি।
১. মুখ মন্ডল ধৌত করা।
২. দুই হাত কনুই সহ ধৌত করা।
৩. মাথার চার ভাগের এক ভাগ মাসেহ করা এবং
৪. দুই পা টাখনু সহ ধৌত করা।
এছাড়াও আমরা যে মিসওয়াক করি, কব্জি পর্যন্ত হাত ধুই,গড়গড়া করি বা নাকে পানি দেই ইত্যাদি করি, এগুলো সুন্নত।
তাই পরিপূর্ণ ওযু করতে গেলে সময়ের এবং পানির অভাব না থাকলে, অবশ্যই এগুলোও পালন করতে হবে এবং তিনবার করে।
চলুন যাওয়া যাক ওযুর পদ্ধতিতে-
১. বিসমিল্লাহ সহকারে অযুর নিয়ত করুন।
২. দুই হাতের কবজি পর্যন্ত ধৌত করতে হবে। প্রথমে ডান হাতে পানি নিয়ে বাম হাত দিয়ে ডান হাতের কবজি পর্যন্ত তিনবার এবং
এরপর ডান হাত দিয়ে বাম হাতের কবজি পর্যন্ত তিনবার ধৌত করতে হবে।
৩. ডান হাতে পানি নিয়ে তা মুখে দিয়ে ভাল্ মত কুলি করতে হবে। এভাবে তিনবার, যেন কোন প্রকার খাদ্যকণা মুখের ভিতর না থাকে।
[রোজা থাকা অবস্থায়ও এটাই করতে হবে, তবে অনেক হুঁশিয়ার থাকতে হবে যেন পানি পেটে না যায়]
৪. ডান হাতে পানি নিয়ে নাকে পানি দিয়ে বাম হাতের বৃদ্ধাংগুলি,আর কনিষ্ঠাংগুলি দ্বারা নাকের ভিতর পরিষ্কার করতে হবে।
এমনভাবে পানি প্রবেশ করাতে হবে যেন নাকের নরম জায়গা পর্যন্ত পানি পৌঁছায়।
নাকের ভিতর কিছু থাকলে নাক ঝাড়তে হবে। এভাবে তিনবার। প্রতিবারই পরিষ্কার পানি দিতে হবে নাকে।
৫. এবারে মুখমন্ডল অর্থাৎ কপালের উপরে যেখান থেকে স্বাভাবিকভাবে মাথার চুল গজায় সেখান থেকে নিচের থুতনির নীচ পর্যন্ত এবং
এক কানের লতি থেকে আরেক কানের লতি পর্যন্ত মধ্যবর্তী স্থান, পানি দিয়ে তিনবার ধৌত করতে হবে। দাঁড়ি থাকলে তা খিলাল করতে হবে। যেন দাঁড়ি পরিষ্কার হয় এবং সম্ভব হলে দাঁড়ির গোড়ায় পানি পৌঁছায় (পাতলা দাঁড়ির ক্ষেত্রে). গোঁফের খেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। এভাবে তিনবার করতে হবে।
৬. এবারে বাম হাত দিয়ে পানি দ্বারা ডান হাত কনুই পর্যন্ত তিনবার ভালভাবে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে।
তারপর একি ভাবে ডান হাত দিয়ে বাম হাতও পরিষ্কার করতে হবে। কারো হাতে আংটি থাকলে দেখতে হবে আংটির নিচেও যেন পানি প্রবেশ করে। নখেও যেন কোন ময়লা না থাকে।
৭. মাথা মাসেহ করাটা একটু খেয়াল করে করতে হবে। উপরের ছবির মত করে বৃদ্ধাংগুলি আর শাহাদাত আংগুলি
আলাদা রেখে দুই হাত দিয়ে কপালে চুল শুরু হবার জায়গা থেকে পিছনে মাথার এক-চতুর্থাংশ মাসেহ করতে হবে।
তারপর একই ভাবে হাত উল্টিয়ে মাথার তিন-চতুর্থাংশ পিছন থেকে সামনে মাসেহ করতে হবে। এবারে শাহাদাত আংগুলি দ্বারা
কানের ভিতরের অংশ আর বৃদ্ধাংগুলি দ্বারা কানের বাইরের অংশ পরিষ্কার করতে হবে। এরপর হাতের পিছনের অংশ দিয়ে ঘাড় মাসেহ করতে হবে।[this is be'dah.don't do like that]
৮. এরপর ডান হাত দিয়ে পানি ঢেলে বাম হাত দিয়ে ডান পা টাখনু বা গোঁড়ালি পর্যন্ত ভালভাবে পরিষ্কার করতে হবে
এমনভাবে যেন আংগুলের ভিতরও কোন ময়লা না থাকে। প্রথমে ডান পায়ের কনিষ্ঠ আংগুল থেকে খিলাল করতে হবে,
বাম পা এর ক্ষেত্রে বৃদ্ধাংগুলি থেকে শুরু করতে হবে। এভাবে তিনবার।
ওযু শেষ হবার পর নিচের দু’আ পড়তে হবে-
”আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু-লা-শারীকা লাহু ওয়াশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আ’বদুহু-ওয়া রাসূলুহু।”
অর্থঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন মা’বুদ নাই।
আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর বান্দাহ ও রাসূল।
প্রিয় বন্ধুরা! অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্ট। অযুর গুরুত্ব অনেক, কিন্তু আমরা অনেকেই অযুর সঠিক নিয়ম জানি না, জানতে চেষ্টাও করি না।
শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন...প্লিজ[courtesy-m.rahman, j.rahman]