Monday 25 May 2015

1]"The Prophet's Prayer" by Dr Muhammad Salah-2]Rafa Ul Yadain in Salaah (Raising the Hands in Salaah)

[1]

Allah, the Almighty, says:
"You have indeed in the Messenger of Allah an excellent example." [Al-Qur'an 33:21]
Prophet's(D:) Manner of Performing Prayers-log on:-
And the Prophet, may the peace and blessings of Allah be upon him, said, "Perform your prayer in the same manner as you had seen me doing."


[2]





There is not an single hadith which says the difference in salah between men and women. The Prophet (pbuh) said, 'Pray as you have seen me praying' (Sahih Bukhari Book 1 Vol 1, Hadith 604-log on-http://www.sacred-texts.com/isl/bukhari/bh1/bh1_606.htm
++++++
"The Prophet's Prayer" is a complete video that shows the exact and the most correct way of offering Salah explained by Dr Muhammad Salah from Quran and Authentic Sunnah.

The topics covered are Importance of Salah, Simulation of Salah, Requirements that make a prayer valid, common errors in Salah, how to develop khushu in salah and concept of future & hope for Islam.

Prophet (pbuh) said ...Pray as you have seen me praying.. (Sahih Bukhari Book 1 Vol 1, Hadith 604). It is very important that we offer salah in the authentic and correct manner as it is one of the biggest forms of Ibaadah in Islam. We cannot afford to lose points on Salah just because our parents or our people taught it in the wrong way. 

Therefore, turn back to Quran and authentic Sunnah and grasp the evidence being given to you and shun the way for which no evidence was ever provided to us. 

This video is a full version and a production of Huda TV. We are great full to Huda TV for producing such a master piece. All the 13 episodes have been clubbed together for you in this video.(video-https://youtu.be/EogdUdraapg।[https://www.youtube.com/watch?v=EogdUdraapg]
Rafa Ul Yadain in Salaah (Raising the Hands in Salaah)ঃ-
ভিডিও-https://youtu.be/Uu01oYQsEVM

Saturday 23 May 2015

1]রাফ’উল ইয়াদায়েন : ৪ খলিফাসহ ২৫ জন সাহাবী থেকে বর্নিত হাদিস :2] না করলেও নামাজ হয়ে যাবে : 3] সলাতে মুবাশ্‌শির

1]রাফ’উল ইয়াদায়েন : ৪ খলিফাসহ ২৫ জন সাহাবী থেকে বর্নিত হাদিস :2] না করলেও নামাজ হয়ে যাবে : 3] সলাতে মুবাশ্‌শির-------
+++++++++++++++++++++++

1]রাফ’উল ইয়াদায়েন : ৪ খলিফাসহ ২৫ জন সাহাবী থেকে বর্নিত হাদিস:-

সালাতের সময় ‘কান পর্য্যন্ত দুই হাত উচু করা(রাফ’উল ইয়াদায়েন)
Leave a comment
সালাতের সময় ‘কান পর্য্যন্ত দুই হাত উচু করা(রাফ’উল ইয়াদায়েন)

রাফউল ইয়াদায়েন অর্থ দু’হাত উচু  করা।এটি মহান আল্লাহর কাছে আত্নসমর্পন করার অন্যতম নিদর্শন।  সালাতে মোট  ৪ জায়গায় রাফ’উল  ইয়াদায়েন করতে হয়। তাকবীরে তাহরীমার সময়, রুকুতে যাবার সময়, রুকু থেকে সোজা হয়ে দাড়াবার সময় ও তৃতীয় রাকাতে  দাড়িয়ে  বুকে হাত বাধার সময়। তাশাহহুদের বৈঠকের পর উঠে দাড়াবার সময় রাফ’উল ইয়াদায়েন করতে হয়। এটা করা সম্পর্কে ৪ খলিফাসহ ২৫ জন সাহাবী থেকে বর্নিত হাদিস রয়েছে।  এর  সপক্ষে “আশারায়ে মুবাশ্শারা”(১০ জন-উনারা জীবিত থাকতেই জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছেন)  হাদিসের রাবীর(বর্ননাকারী) সংখ্যা কমপক্ষে  ৫০ জন।

ফিকহুস সুন্নাহ-১/১০৭  পৃষ্ঠা,ফাতহুল বারী-২/২৫৮

মোট সহীহ হাদিস ও আসারের সংখ্যা কমপক্ষে ৪০০ ।ইমাম সুয়ুতী ও আলবানী  ‘রাফ’উল ইয়াদায়েন’-এর হাদিসকে “মুতাওয়াতির”(যা ব্যাপক ভাবে ও অবিরত ধারায় বর্নিত) বলে মন্তব্য করেছেন।  ইমাম  বুখারী(রা:)  বলেন,  কোন সাহাবী রাফ’উল ইয়াদায়েন করেন নি, এটা প্রমানিত হয়নি। এটার পক্ষের হাদিসগুলো বিশুদ্ধতম।

তুহফাতুল আওয়াযী ২/১০০, ১০৬ পৃষ্ঠা

রাফ’উল ইয়াদায়েন হল আল্লাহর কাছে আত্নসমর্পনের একটা নিদর্শন।হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর(রা:)  বলেন, রাফ’উল ইয়াদায়েন হচ্ছে সালাতের সৌন্দর্য। এটা  কেউ না করলে, তিনি তাকে ছোট পাথর ছুড়ে মারতেন।উকবাহ বিন আমের বলেন,  প্রত্যেক রাফ’উল ইয়াদায়েন-এ ১০টি  করে নেকী আছে। শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলভী বলেন, এটা সম্মানসূচক আর এটা মানুষের সালাতের মনোযোগকে বাড়ায়ে দেয়।

১)     আবদুল্লাহ ইবনে ওমর(রা:) বলেন, রাসুলুল্লাহ(স:) সালাতের শুরুতে,রুকুতে যা ওয়াকালীন ও রুকু হতে ওঠাকালীন সময়ে এবং ২য় রাকাত থেকে উঠে দাড়াবার সময় রাফ’উল ইয়াদায়েন করতেন।হাদিসটি বায়হাকীতে ব্যাপক ভাবে বর্নিত হয়েছে।‘ এভাবেই উনার সালাত জারি ছিল,যতদিন না  তিনি আল্লাহর সাথে মিলিত হন’।

মুত্তাফাক আলাইহে, বুখারী,মিশকাত-৭৯৩,৭৯৪-অনু-১০

ইমাম বুখারীর ওস্তাদ ইবনুল মাদানী বলেন, এই হাদিস আমার কাছে সমস্ত উম্মতের উপর “দলীল স্বরুপ”। যে ব্যাক্তি এটা শুনবে, তার উপরই এটা আমলা করা কর্তব্য হবে।হাসার বসরী ও হামিদ বিন হেলাল  ৩ স্থানে রাফ’উল ইয়াদায়েন করতেন।

বায়হাকী,মারুফাতুস সুনান ওয়াল আসার-৮১৩,মুরসাল  হাসান- পৃষ্ঠা-২/৪৭২, মিশকাত-৮০৮,নায়লুল আওতার- ৩/১২-১৩, ফিকহুস সুন্নাহ- ১/১০৮

২)     মালিক ইবনে হুওয়াইরিস(রা:) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ(স:)  যখন সালাতের জন্য ‘তাকবীরে তাহরীমা’ দিতেন, তখন হাতদুটি স্বীয় ২ কান পর্যন্ত উঠাতেন।অত:পর রুকুতে যাবার সময় ও রুকু হতে উঠার সময় তিনি অনরুপ করতেন এবং সামি’আল্লাহ-হু লিমান হামিদা বলতেন’।   মুসলিম- সালাত অধ্যায়-৮৬৫

শত শত সহীহ হাদিসের বিপরীতে তাকবীরে তাহরীমা ছাড়া বাকী সময়ে রাফ’উল ইয়াদেন না করার যে পক্ষের ৪টি হাদিস দেয়া হয়, এগুলো সবগুলো ‘যয়ীফ’। এর মধ্যে  আবদুল্লাহ মাসুদ বর্নিত  হাদিসটিই প্রধান। যেমন :-

আলকামা বলেন যে, একদিন মাসুদ আমাদের বলিএন যে, ‘আমি কি তোমাদের নিকটে রাসুলের(স:) সালাত আদায় করবে না ? এই বলে তিনি সালাত আদায় করলেন।কিন্তু তাকবীরে তাহরীমার সময় একবার ছাড়া ‘রাফ’উল ইয়াদেন করলেন না’।

তিরমিযী,আবু দাউদ,নাসায়ী,মিশকাত-৮০৯- অনু-১০

এই হাদিস সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেন, ‘রাফ’উল ইয়াদায়েন না করার পক্ষে কুফাবাসীদের এটিই বড় দলীল হলেও, এটিই সবচেয়ে দূর্বলতম দলীল।কেননা এর মধ্যে এমন সব বিষয় রয়েছে, যা একে বাতিল বলে গন্য করে’।

নায়লুল আওতার-  পৃষ্ঠা- ৩/১৪, ফিকহুস সুন্নাহ-১/১০৮

শায়খ আলবানী বলেন, হাদিসটিকে সহীহ বলে মেনে নিলেও  এটা  রাফউল ইয়াদায়েন এর পক্ষে বর্নিত হাদিস বিপরীতে উপস্থাপন করা যাবেনা। কেননা, হাদিসটি  ‘না’ বোধক। হাদিসের মূল সূত্রানুযায়ী ‘হা’ বোধক এর গুরুত্ব বেশী।

শাহ অলিউল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলভী বলেন, ‘যে মুসল্লী রাফ’উল ইয়াদেন করে, ঐ মুসল্লী আমার নিকট অধিক প্রিয় ঐ মুসল্লীর চাইতে যে করে না। কারন এর পক্ষের হাদীস সংখ্যায় বেশী ও অধিকতর মজবুত’।[sourse-quranbn]

2] না করলেও নামাজ হয়ে যাবে :-
Log-On;-http://sgi-salahonquranandhadith.blogspot.in/2015/05/blog-post.html

 3] সলাতে মুবাশ্‌শির:-


রফউল য়্যাদাইন
সূরা পাঠ শেষ হলে দম নেওয়ার জন্য নবী মুবাশ্‌শির (সাঃ) একটু চুপ থাকতেন বা থামতেন। (আবূদাঊদ, সুনান,হাকেম, মুস্তাদরাক ১/২১৫) অতঃপর তিনি নিজের উভয়হাত দুটিকে পূর্বের ন্যায় কানের উপরি ভাগ বা কাঁধ পর্যন্ত তুলতেন। এ ব্যাপারে এত হাদীস বর্ণিত হয়েছে যে, তা ‘মুতাওয়াতির’-এর দর্জায় পৌঁছে।
ইবনে উমার (রাঃ) বলেন, ‘আল্লাহর রসূল (সাঃ) যখন নামায শুরু করতেন, যখন রুকূ করার জন্য তকবীর দিতেন এবং রুকূ থেকে যখন মাথা তুলতেন তখন তাঁর উভয়হাতকে কাঁধ বরাবর তুলতেন। আর (রুকূ থেকে মাথা তোলার সময়) বলতেন, “সামিআ’ল্লা-হু লিমানহামিদাহ্‌।” তবে সিজদার সময় এরুপ (রফয়ে য়্যাদাইন) করতেন না।’ (বুখারী, মুসলিম,  মিশকাত ৭৯৩নং)
মহানবী (সাঃ) এর দেহে চাদর জড়ানো থাকলেও হাত দুটিকে চাদর থেকে বের করে ‘রফয়ে য়্যাদাইন’ করেছেন। সাহাবী ওয়াইল বিন হুজর (রাঃ) বলেন, তিনি দেখেছেন যে, নবী (সাঃ) যখন নামাযে প্রবেশ করলেন, তখন দুই হাত তুলে তকবীর বলেহাত দুটিকে কাপড়ে ভরে নিলেন। অতঃপর ডান হাতকে বামহাতের উপর রাখলেন। তারপর যখন রুকূ করার ইচ্ছা করলেন, তখন কাপড় থেকে হাত দু’টিকে বের করে পুনরায় তুলে তকবীর দিয়ে রুকূতে গেলেন। অতঃপর যখন (রুকূ থেকে উঠে) তিনি ‘সামিআল্লাহু লিমানহামিদাহ্‌’ বললেন, তখনও হাত তুললেন। আর যখন সিজদা করলেন, তখন দুই হাতের চেটোর মধ্যবর্তী জায়গায় সিজদা করলেন। (মুসলিম,  মিশকাত ৭৯৭ নং)
এই সকল ও আরো অন্যান্য হাদীসকে ভিত্তি করেই তিন ইমাম এবং অধিকাংশ মুহাদ্দিস ও ফকীহ্‌গণের আমল ছিল এই সুন্নাহর উপর। কিছু হানাফী ফকীহও এই অনস্বীকার্য সুন্নাহর উপর আমল করে গেছেন। যেমন ইমাম আবূ ইউসুফের ছাত্র ইসাম বিন ইউসুফ, আবূ ইসমাহ্‌ বালখী রুকূ যাওয়া ও রুকূ থেকে ওঠার সময় ‘রফয়ে য়্যাদাইন’ করতেন। (আল-ফাওয়াইদ ১১৬পৃ:) বলাই বাহুল্য যে, তিনি দলীলের ভিত্তিতেই ইমাম আবূহানীফা (রহঃ) এর বিপরীতও ফতোয়া দিতেন। (আল-বাহ্‌রুর রাইক্ব ৬/৯৩, রসমুল মুফতী ১/২৮) বলতে গেলে তিনিই ছিলেন প্রকৃত ইমাম আবূহানীফার ভক্ত ও অনুসারী। কারণ, তিনি যে বলে গেছেন, ‘হাদীস সহীহ হলেই সেটাই আমার মযহাব।’
আব্দুল্লাহ্‌ বিন আহমাদ তাঁর পিতা ইমাম আহমাদ (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, উক্ববাহ্‌ বিন আমের হতে বর্ণনা করা হয়, তিনি নামাযে ‘রফয়ে য়্যাদাইন’ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘নামাযীর জন্য প্রত্যেক ইশারা (হাত তোলার) বিনিময়ে রয়েছে ১০টি করে নেকী।’ (মাসাইল ৬০পৃ:)
আল্লামা আলবানী বলেন, হাদীসে ক্বুদসীতে উক্ত কথার সমর্থন ও সাক্ষ্য মিলে; “যে ব্যক্তি একটি নেকী করার ইচ্ছা করার পর তা আমলে পরিণত করে, তার জন্য ১০ থেকে ৭০০ নেকী লিপিবদ্ধ করা হয়—।” (বুখারী, মুসলিম,  সহিহ তারগিব ১৬ নং, সিফাতু স্বালাতিন নাবী (সাঃ), আলবানী ৫৬ ও ১২৮-১২৯পৃ:) যেহেতু ‘রফয়ে য়্যাদাইন’ হল সুন্নাহ্‌। আর সুন্নাহর উপর আমল নেকীর কাজ বৈকি?
দেহে শাল জড়ানো থাকলে শালের ভিতরেও কাঁধ বরাবর হাত তোলা সুন্নত।
ওয়াইল বিন হুজর (রাঃ) বলেন, ‘আমি শীতকালে নবী (সাঃ) এর নিকট এলাম। দেখলাম, তাঁর সাহাবীগণ নামাযে তাঁদের কাপড়ের ভিতরেই ‘রফয়ে য়্যাদাইন’ করছেন।’ (আবূদাঊদ, সুনান ৭২৯ নং)
‘রফ্‌য়ে ইয়াদাইন’ হল মহানবী (সাঃ) এর সুন্নাহ্‌ ও তরীকা। তার পশ্চাতে হিকমত বা যুক্তি না জানা গেলেও তা সুন্নাহ্‌ ও পালনীয়। তবুও এর পশ্চাতে যুক্তি দর্শিয়ে অনেকে বলেছেন, হাত তোলায় রয়েছে আল্লাহর প্রতি যথার্থ তা’যীম; বান্দা কথায় যেমন ‘আল্লাহ সবার চেয়ে বড়’ বলে, তেমনি তার ইশারাতেও তা প্রকাশ পায়। উক্ত সময়ে এই অর্থ মনে আনলে বান্দার নিকট থেকে দুনিয়া অদৃশ্য হয়ে যায়। নেমে আসে সে রাজাধিরাজ বিশ্বাধিপতির ভীতি ও তা’যীম।
কেউ বলেন, হাত তোলা হল বান্দা ও আল্লাহর মাঝে পর্দা তোলার প্রতি ইঙ্গিত। যেহেতু এটাই হল বিশেষ মুনাজাতের সময়। একান্ত গোপনে বান্দা আল্লাহর সাথে কথা বলে থাকে।
কেউ বলেন, এটা নামাযের এক সৌন্দর্য ও প্রতীক। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্‌হ, ইবনে উষাইমীন ৩/৩৪)
কেউ বলেন, ‘রফয়ে য়্যাদাইন’ হল আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ করার প্রতি ইঙ্গিত। অপরাধী যখন পুলিশের রিভলভারের সামনে হাতে-নাতে ধরা পড়ে, তখন সে আত্মসমর্পণ করে হাত দু’টিকে উপর দিকে তুলে অনায়াসে নিজেকে সঁপে দেয় পুলিশের হাতে। অনুরুপ বান্দাও আল্লাহর নিকট অপরাধী। তাই বারবার হাত তুলে তাঁর নিকট আত্মসমর্পণ করা হয়।(কাইফা তাখশাঈনা ফিস স্বালাহ্‌ ৩১পৃ: দ্র:)
পক্ষান্তরে আর এক শ্রেণীর বিকৃত-প্রকৃতির চিন্তাবিদ রয়েছেন, যাঁরা এর যুক্তি দেখাতে গিয়ে বলেন, ‘সাহাবীরা বগলে মূর্তি (বা মদের বোতল) ভরে রেখে নামায পড়তেন! কারণ ইসলামের শুরুতে তখনো তাঁদের মন থেকে মূর্তির (বা মদের বোতলের) মহব্বত যায়নি। তাই নবী করীম (সাঃ) তাঁদেরকে বারবার হাত তুলতে আদেশ করেছিলেন। যাতে কেউ আর বগলে মূর্তি (বা মদের বোতল) দাবিয়ে রাখতে না পারে।’ (নাঊযু বিল্লাহি মিন যালিক।) বক্তার উদ্দেশ্য হল, ‘রফয়ে য়্যাদাইন’-এর প্রয়োজন তখনই ছিল। পরবর্তীকালে সাহাবীদের মন থেকে মূর্তি (বা মদের বোতলে)র মায়া চলে গেলে তা মনসূখ করা হয়!!
এই শ্রেণীর যুক্তিবাদীরা আরো বলে থাকেন, ‘সে যুগে ক্ষুর-ব্লেড ছিল না বলেই দাড়ি রাখত! সে যুগের লোকেরা খেতে পেত না বলেই রোযা রাখত—!!’ অর্থাৎ বর্তমানে সে অভাব নেই। অতএব দাড়ি ও রোযা রাখারও কোন প্রয়োজনীয়তা ও যৌক্তিকতা নেই। এমন বিদ্রুপকারী যুক্তিবাদীদেরকে মহান আল্লাহর দু’টি আয়াত স্মরণ করিয়ে দিই, তিনি বলেন, “আর যারা মু’মিন নারী-পুরুষদেরকে বিনা অপরাধে কষ্ট দেয়, তারা মিথ্যা অপবাদ ও স্পষ্ট গুনাহর ভার নিজেদের মাথায় চাপিয়ে নেয়।” (কুরআন মাজীদ ৩৩/৫৮) “অতঃপর ওরা যদি তোমার (নবীর) আহ্‌বানে সাড়া না দেয়, তাহলে জানবে ওরা তো কেবল নিজেদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করে। আল্লাহর পথনির্দেশ অমান্য করে যে ব্যক্তি নিজ খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করে তার অপেক্ষা অধিক বিভ্রান্ত আর কে? নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়কে পথনির্দেশ করেন না।” (কুরআন মাজীদ ২৮/৫০)
পরন্তু ‘রফ্‌য়ে ইয়াদাইন’ করতে সাহাবাগণ আদিষ্ট ছিলেন না। বরং হযরত রসূলে কারীম (সাঃ) খোদ এ আমল করতেন। সাহাবাগণ তা দেখে সে কথার বর্ণনা দিয়েছেন এবং আমল করেছেন। তাহলে বক্তা কি বলতে চান যে, ‘তিনিও প্রথম প্রথম বগলে মূর্তি দেবে রেখে নামায পড়তেন এবং তাই হাত ঝাড়তেন?! (নাঊযু বিল্লাহি মিন যালিক।)
পক্ষান্তরে ঐ শ্রেণীর নামাযী বক্তারাও তাকবীরে তাহ্‌রীমার সময় ‘রফ্‌য়ে ইয়াদাইন’ করে থাকেন। তাহলে তা কেন করেন? এখনো কি তাঁদের বগলে মূর্তিই থেকে গেছে? সুতরাং যুক্তি যে খোঁড়া তা বলাই বাহুল্য।
প্রকাশ থাকে যে, ‘রফয়ে য়্যাদাইন’ না করার হাদীস সহীহ হলেও তা নেতিবাচক এবং এর বিপরীতে একাধিক হাদীস হল ইতিবাচক। আর ওসূলের কায়দায় ইতিবাচক নেতিবাচকের উপর প্রাধান্য পায়। তাছাড়া কোন যয়ীফ হাদীস এক বা ততোধিক সহীহ হাদীসকে মনসূখ করতে পারে না। অতএব মনসূখের দাবী যথার্থ নয় এবং এ সুন্নাহ্‌ বর্জনও উচিত নয়।[sourse-http://www.waytojannah.com/salate-mubasshir-28/#more-4607]
-##-


Salah as sunnah system


"জানাযার সালাতে সুরা ফাতিহা পড়তে হবে"


"জানাযার সালাতে সুরা ফাতিহা পড়তে হবে"

'ওদের মধ্যে কোন লোকের মৃত্যূ হলে তুমি কখনো তার (জানাযার)সালাত পড়ো না।(সূরা তওবা ৮৪ নং)'
-এ আয়াতে জানাযাকে সালাত বলা হয়েছে।

ঈমাম বুখারী মন্তব্য করেছেন যে,নবী (ছাঃ) কয়েকটি হাদীসে জানাযার সালাত কে‘সালাত’বলে অভিহিত করেছেন অথচ এতে রুকু ও সিজদাহ নেই জানাযার সালাত ফরজে কেফায়া।
(ইবনে মাজাহ হা/১৫২৬, ফিকাহুস সুন্নাহ ১/২৭১,২৭৯,২৮০ পৃষ্ঠা)।

সূরা ফাতিহা পাঠ ছালাতের একটি রুকন। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি সূরা ফাতিহা পড়ে না, তার ছালাত হয় না।
[ইমাম বুখারী উবাদাহ ইবনে ছামিত রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে হাদীছটি বর্ণনা করেন, ‘আযান’ অধ্যায়, হা/৭৫৬; মুসলিম, ‘ছালাত’ অধ্যায়, হা/৩৯৪]

এক্ষেত্রে জানাযার ছালাত এবং অন্য ছালাতের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। কেননা জানাযাও এক প্রকার ছালাত। সুতরাং রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাধারণ ঘোষণা, ‘যে ব্যক্তি সূরা ফাতিহা পড়বে না, তার ছালাত হবে না’ জানাযার ছালাতকেও অন্তর্ভুক্ত করবে।

ছহীহ বুখারীতে এসেছে,

عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَوْفٍ قَالَ صَلَّيْتُ خَلْفَ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَلَى جَنَازَةٍ فَقَرَأَ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ قَالَ لِيَعْلَمُوْا أَنَّهَا سُنَّةٌ.

ত্বালহা বিন আব্দুল্লাহ বিন আওফ (রাঃ) বলেন, আমি একদা ইবনু আববাস (রাঃ)-এর পিছনে জানাযার ছালাত আদায় করলাম। তাতে তিনি সূরা ফাতিহা পাঠ করেন। অতঃপর তিনি বলেন, তারা যেন জানতে পারে সূরা ফাতিহা পাঠ করা সুন্নাত।
[ছহীহ বুখারী হা/১৩৩৫, ১/১৭৮ পৃঃ, (ইফাবা হা/১২৫৪, ২/৪০০ পৃঃ), ‘জানাযা’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৬৫; আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ, মিশকাত হা/১৬৫৪, পৃঃ ১৪৫; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/১৫৬৫, ৪/৫৬ পৃঃ]

অন্য হাদীছে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য একটি সূরা পাঠ করার কথা এসেছে,

عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَوْفٍ قَالَ صَلَّيْتُ خَلْفَ ابْنِ عَبَّاسٍ عَلَى جَنَازَةٍ فَقَرَأَ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَسُوْرَةٍ وَجَهَرَ حَتَّى أَسْمَعَنَا فَلَمَّا فَرَغَ أَخَذْتُ بِيَدِهِ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ سُنَّةٌ وَحَقٌّ.

ত্বালহা বিন আব্দুল্লাহ বিন আওফ (রাঃ) বলেন, আমি একদা ইবনু আববাস (রাঃ)-এর পিছনে জানাযার ছালাত আদায় করলাম। তাতে তিনি সূরা ফাতিহা এবং অন্য একটি সূরা পাঠ করলেন। তিনি ক্বিরাআত জোরে পড়ে আমাদের শুনালেন। তিনি যখন ছালাত শেষ করলেন তখন আমি তাকে উক্ত বিষয়ে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, এটা সুন্নাত এবং হক্ব।
[নাসাঈ হা/১৯৮৭, ১/২১৮ পৃঃ, ‘জানাযা’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৭৭; আবুদাঊদ হা/৩১৯৮, ২/৪৫৬ পৃঃ]

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ قَرَأَ عَلَى الْجَنَازَةِ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ.

ইবনু আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) জানাযার ছালাতে সূরা ফাতিহা পড়েছেন।
[ছহীহ তিরমিযী হা/১০২৬, ১/১৯৮-৯৯ পৃঃ; মিশকাত হা/১৬৭৩, পৃঃ ১৪৬; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/১৫৮৩, ৪/৬৪ পৃঃ, ‘জানাযা’ অধ্যায়, ‘জানাযার সাথে গমন ও জানাযার ছালাত’ অনুচ্ছেদ]

উল্লেখ্য, উক্ত হাদীছটি সনদগতভাবে দুর্বল। তবে এর পক্ষে ছহীহ বুখারীতে হাদীছ থাকার কারণে শায়খ আলবানী (রহঃ) এই সনদকে ছহীহ বলেছেন এবং ছহীহ তিরমিযী ও ছহীহ ইবনে মাজার মধ্যে উল্লেখ করেছেন।
[তিরমিযী হা/১০২৬, ১/১৯৯ পৃঃ; ইবনু মাজাহ হা/১৪৯৫, পৃঃ ১০৭, ‘জানাযা’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-২২]

ইমাম তিরমিযীও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন,

حَدِيْثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدِيْثٌ لَيْسَ إِسْنَادُهُ بِذَلِكَ الْقَوِيِّ إِبْرَاهِيْمُ بْنُ عُثْمَانَ هُوَ أَبُو شَيْبَةَ الْوَاسِطِيُّ مُنْكَرُ الْحَدِيْثِ وَالصَّحِيْحُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَوْلُهُ مِنْ السُّنَّةِ الْقِرَاءَةُ عَلَى الْجَنَازَةِ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ. 

‘ইবনু আববাসের হাদীছের সনদ নির্ভরযোগ্য নয়। এর মাঝে ইবরাহীম বিন ওছমান আছে। আর সে হল আবু শায়বাহ আল-ওয়াসেত্বী। অস্বীকৃত রাবী’। ছহীহ হল, ইবনু আববাস বর্ণিত হাদীছ। তার বক্তব্য হল- ‘জানাযায় সূরা ফাতিহা পাঠ করা সুন্নাত’। অতঃপর ইমাম তিরমিযী (রহঃ) নিম্নের হাদীছটি উল্লেখ করেন,

عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَوْفٍ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ صَلَّى عَلَى جَنَازَةٍ فَقَرَأَ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ فَقُلْتُ لَهُ فَقَالَ إِنَّهُ مِنْ السُّنَّةِ أَوْ مِنْ تَمَامِ السُّنَّة.

ত্বালহা বিন আব্দুল্লাহ বিন আউফ হতে বর্ণিত, ইবনু আববাস (রাঃ) একদা জানাযার ছালাত পড়ালেন। তাতে তিনি সূরা ফাতিহা পড়েন। আমি তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এটা সুন্নাত অথবা সুন্নাতের পূর্ণতা।
[তিরমিযী হা/১০২৭-এর আলোচনা, ১/১৯৮-৯৯ পৃঃ]

অন্য একটি সূরা পাঠ করা সুন্নাত। (বুখারী, আবূ দাউদ, নাসাঈ হা/১৯৮৭-৮৯)।

عَنْ رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِىِّ أَنَّ السُّنَّةَ فِى الصَّلاَةِ عَلَى الْجَنَازَةِ أَنْ يُكَبِّرَ الإِمَامُ ثُمَّ يَقْرَأُ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ بَعْدَ التَّكْبِيرَةِ الأُولَى سِرًّا فِىْ نَفْسِهِ ثُمَّ يُصَلِّى عَلَى النَّبِىِّ وَيُخْلِصُ الدُّعَاءَ لِلْجَنَازَةِ فِى التَّكْبِيْرَاتِ لاَ يَقْرَأُ فِىْ شَىْءٍ مِنْهُنَّ ثُمَّ يُسَلِّمُ سِرًّا فِىْ نَفْسِهِ. وَزَادَ الْأَثْرَمُ السُّنَّةُ يَفْعَلُ مَنْ وَرَاءَ الْإِمَامِ مِثْلَ مَا يَفْعَلُ إِمَامُهُمْ.

রাসূল (ছাঃ)-এর জনৈক ছাহাবী থেকে বর্ণিত আছে যে, নিশ্চয় সুন্নাত হল-জানাযার ছালাতে ইমাম তাকবীর দিবেন এবং প্রথম তাকবীরের পর নীরবে মনে মনে সূরা ফাতিহা পাঠ করবেন। অতঃপর বাকী তাকবীরগুলোতে রাসূল (ছাঃ)-এর উপর দরূদ পড়বেন। তারপর মৃত ব্যক্তির জন্য নির্দিষ্টভাবে দু‘আ করবেন। সেই তাকবীরগুলোতে কোন কিছু পাঠ করবে না। অতঃপর নীরবে সালাম ফিরাবেন। আছরাম অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, ইমাম যা করবেন মুক্তাদীরাও তা-ই করবে।
[বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা হা/৭২০৯; সনদ ছহীহ, ইওয়াউল গালীল হা/৭৩৪; আহকামুল জানাইয, পৃঃ ১২১; বায়হাক্বী, সুনানুছ ছুগরা হা/৮৬৮; ত্বাহাবী হা/২৬৩৯]

عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا أُمَامَةَ يُحَدِّثُ سَعِيْدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ قَالَ مِنَ السُّنَّةِ فِي الصَّلاَةِ عَلَى الْجِنَازَةِ أَنْ تَقْرَأَ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ ثُمَّ تُصَلِّيَ عَلَى رَسُوْلِ اللهِ ثُمَّ يُخْلِصَ الدُّعَاءَ لِلْمَيِّتِ حَتَّى يَفْرُغَ وَلاَ تَقْرَأَ إِلاَّ مَرَّةً وَاحِدَةً ثُمَّ تُسَلِّمَ فِيْ نَفْسِكِ.

যুহরী বলেন, আবু উমাম (রাঃ)-কে সাঈদ ইবনু মুসাইয়িব-এর নিকট হাদীছ বর্ণনা করতে শুনেছি যে, জানাযার ছালাতে সূরা ফাতিহা পাঠ করা সুন্নাত। অতঃপর রাসূল (ছাঃ)-এর উপর দরূদ পাঠ করবে। তারপর মাইয়েতের জন্য একনিষ্ঠচিত্তে দু‘আ করবে। প্রথম তাকবীর ছাড়া অন্য সময়ে কিছু পাঠ করবে না। তারপর তুমি সালাম ফিরাবে।
[মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ হা/১১৪৯৭; ইরওয়াউল গালীল হা/৭৩৪-এর আলোচনা দ্রঃ, ৩/১৮১ পৃঃ]

জ্ঞাতব্য : সূরা ফাতিহা না পড়ার আমল মূলতঃ ইরাকের কূফায় আবিষ্কার হয়েছে। ছহীহ সুন্নাহ্র সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। যেমনটি ইমাম তিরমিযী উল্লেখ করেছেন।
[তিরমিযী হা/১০২৭, ১/১৯৯ পৃঃ-এর আলোচনা দ্রঃ- وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ لاَ يُقْرَأُ فِى الصَّلاَةِ عَلَى الْجَنَازَةِ إِنَّمَا هُوَ ثَنَاءٌ عَلَى اللهِ وَالصَّلاَةُ عَلَى النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالدُّعَاءُ لِلْمَيِّتِ وَهُوَ قَوْلُ الثَّوْرِىِّ وَغَيْرِهِ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ.]

একদা মিসআর ইবনে মাখরামাহ (রাঃ) জানাযার সালাতে প্রথম তাকবীরে সূরা ফাতিহা এবং অন্য একটি সূরা উচ্চস্বরে পড়ে বললেন যে, আমি মাসআলা জানি না,তা নয়,বরং আমার ইচ্ছা তোমাদের জানিয়ে দিই যে, এটা সুন্নাত কাজ। (মুহাল্লা ৫/১২৯ পৃষ্ঠা)।

ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, ফাতিহা পাঠ শেষে আমীন বলতে হবে। (রওযাতুত ত্বালেবীন ২০১২৫ পৃষ্ঠা)।
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আছ ও যাবের (রাঃ) জানাযায় সূরা ফাতিহা পাঠ করেছেন। (হাকেম ১ম খন্ড ৫৮ পৃষ্ঠা)।

জানাযার সালাতে প্রথম তাকবীরের পর সূরা ফাতিহা পাঠের বিষয়ে রাসূল (ছাঃ) এর নির্দেশের কথা ৩ জন মহিলা সাহাবী (রাঃ) বর্ণনা করেছেন।
১. উম্মে শারীক আনসারীয়া (রাঃ)। (ইবনে মাজাহ ৪র্থ খন্ড ৪৪৫ পৃষ্ঠা)।

২. উম্মে আফিফ নাহদিইয়াহ (রাঃ)। (ত্বাবারানী কবির ২৫ খন্ড ৪৫৯ পৃষ্ঠা)।

৩. আসমা বিনতে ইয়াযীদ ইবনে সাকান আনসারীয়া (রাঃ)। (ত্বাবারানী কবির ২৪ খন্ড ১৬২ পৃষ্ঠা)।

জানাযার সালাতে সূরা ফাতিহা পাঠের স্বপেক্ষ মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ হাদীস ১১৫১১ হতে ১১৫২১ মোট ১১ টি বর্ণনা এসেছে। 

উপরোক্ত সমস্ত আলোচনায় এটাই প্রমাণিত হয় যে, জানাযার সালাতে সূরা ফাতিহা পাঠ ওয়াজিব।

একদল লোক বলেন, সালাতে জানাযায় রুকুও নেই, সাজদাহও নেই, ফলে তা তাওয়াফের অনুরুপ। তাওয়াফ বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য সূরা আল ফাতিহা পাঠের প্রয়োজন হয় না, ঠিক তেমনি সালাতে জানাযাও বিশুদ্ধ হবার জন্য সূরা ফাতিহা পাঠের কোন দরকার হয় না। এটা সুস্পষ্ট সহীহ হাদীসের মোকাবিলায় নিছক মনগড়া কিয়াস-যা সম্পূর্ণ নাজায়িয।

তালহা বিন আবদুল্লাহ বিন আউফ (রাঃ) বর্ণিত বুখারীর উল্লিখিত হাদীস ছাড়াও সুনানে নাসাঈ ইত্যাদি গ্রন্থে সালাতে জানাযায় সূরা ফাতিহা পাঠের স্বপক্ষে আরও হাদীস রয়েছে। সুনানে নাসায়ীর হাদীসটি ‘উসমান (রাঃ) হতে বর্ণিত। এ হাদীস সম্পর্কে আল্লামা শায়খ উবায়দুল্লাহ রাহমানী তাঁর মিশকাতের বিখ্যাত ভাষ্যগ্রন্থ ‘মিরআতুল মাফাতীহ’-তে মন্তব্য করেছেন- নাসায়ীতে বর্ণিত আবু উমামাহর হাদীসটির সুত্র বুখারী ও সহীহ মুসলিমের হাদীসের শর্ত ভিত্তিক। হাদীস শাস্ত্রের মহাপন্ডিত যে হাফিয ইবনু হাজার আসকালানী এ হাদীস সস্পর্কে মন্তব্য করেছেন- হাদীসটির বর্ণনা বিশুদ্ধ।
আল্লামাহ রাহমানী বলেছেন- বাস্তব ও যথার্থ কথা এটি যে, সালাতে জানাযায় সূরা ফাতিহা পাঠ করা ওয়াজিব।

ইমাম শাফয়ী,ইমাম আহমাদ,ইমাম ইসাহাক(রহঃ) প্রমূখ আয়িম্মায়ে দীন এ বিষয়ে একমত যে, জানাযা অনুষ্ঠানটি সালাতের অন্তর্ভূক্ত আর এটা সু প্রমাণিত যে, সূরা ফাতিহা ব্যতীত কোন সালাতই সহীহ হয় না। হাদীসের এই ব্যবপকতা সাধারণভাবে সকল সালাতের ওপর প্রয়োজন হবে। সালাতে জানাযায় সূরা ফাতিহা পাঠ না করা সংক্ষেপে মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত রিওয়ায়াতটি পেশ করা হয়, যার অর্থ হলোঃ
ইবনু মাসউদ(রাঃ)বলেছেন,আমাদের পক্ষে মাইয়েতের জানাযায় কোন কিরআত ও কাওল নির্ধারণ করা হয় নি অর্থাৎ সালাতে জানাযায় কিরআতের স্থান বা সময় সূচি নির্ধারণ করে দেওয়া হয় নি। এই সম্পর্কে আল্লামাহ রাহমানী বলেছেন, ঐ রিওয়াতটি কিরআত না পড়া প্রমাণ করে না। তাছাড়া ইবনে মাসউদ থেকেই পরিষ্কার রিওয়ায়াত আছে তিনি সালাতে জানাযায় সূরা ফাতিহা পাঠ করেছেন।
ইবনে মাস’উদ (রাঃ) জানাযায় সূরা ফাতিহা পাঠ করতেন।(ইবনে আবী শায়বা ৩য় খন্ড ২৯৭ পৃষ্ঠা)।

হানাফী মাযহাবের প্রখ্যাত ফকীহ হসান সার নাবলালী তাঁর রচিত “আল নাজমুল মুস্তাতাব লি হুকমিল রিফাতে ফি সালাতিল জানাযাতে বে উম্মিল কিতাব” নামক গ্রন্থে প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, সালাতে সূরা ফাতিহা পাঠ না করার চেয়ে, ফাতিহা পাঠ করা বহু গুনে উত্তম।

আল্লামাহ আব্দুল হাই লাক্ষেèৗভী হানাফী তাঁর শরহে বিকায়ার ভাষ্য উমদাতুর রিয়ায়া গ্রন্থে লিখেছেন সালাতে জানাযায় সূরা ফাতিহা পাঠ বিষয়ে আবু হানীফার সিদ্ধান্তের চেয়ে ইমাম শাফেঈর সিদ্ধান্তই দলীল হিসাবে অনেক মজবুত। আমাদের হানাফী ফকীহ মন্ডলীর আল্লামাহ সার নাবলালী ইমাম শাফেঈর ফতওয়া পছন্দ করেছেন। কেননা আবু উমামাহ বলেছেন, জানাযার সালাতে সূরা ফাতিহা পাঠ নবী (ছাঃ) এর নির্ধারীত বিধান।(উমদাতুর রিয়ায়া ১ম খন্ড ১৮৯ পৃষ্ঠা)।

কাযী সানাউল্লাহ পানিপথী জীবনের অন্তিমকালে বহু বন্ধু-বান্ধব,আত্মীয়স্বজন, ও পুত্র পরিজনের সামনে শক্তভাবে অসিয়ত রাখেন যে, আমার সালাতে জানাযায় যেন বিপুল মুসল্লীবৃন্দের সমাবেশ ঘটে, আর মুহাম্মদ আলী অথবা হাকীম সুখয়া অথবা পীর মুহাম্মদ আমার জানাযায় পেশ ইমাম হন। বায়াদা তাকবীরে উলা সূরা ফাতিহা হাম খেয়াননদ।(অর্থাৎ তারা যেন প্রথম তাকবীরের পরে সূরা আল ফাতিহা পাঠ করেন। (মালাবুদ্দা মিনহু)।

মাওলানা আশরাফ আলী থানভীর মহাগুরু মাওলানা রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন- ইমাম সাহেব (রহঃ) জানাযার সালাতে ক্বিরআতের নিয়তে কুরআন পাঠ নিষেধ করেছেন, তা দু’আর নিয়তে পাঠ করলে দোষ নেই। অতঃপর তিনি বলেন, যদি ক্বিরআতে নিয়তেও পাঠ করা হয় তাহলেও গুনাহগার হবে না। কেননা হাদীস বিশারদ মুহাদ্দিস মন্ডলীর ও ইমাম শাফিয়ীর গবেষনা মতে সালাতে জানাযায় সূরা ফাতিহা পাঠ রাসূলুল্লাহ এর বিধান। কাজেই গুনাহগারও হবে না। (ফাতাওয়া রাশিদীয়া কামিল ২৫৮ পৃষ্ঠা)।

হানাফী ইমাম মুল্লা আলী কারী বলেন, সালাতে জানাযায় দু’আর নিয়তে সূরা ফাতিহা পাঠ মুস্তাহাব। এতে ইমাম শাফিয়ীর শক্ত দলীল ভিত্তিক অভিমতের বিরোধীতা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।(রদ্দুল মুহতার)।
বড় পীরসাহেব তার বিশ্ব বিশ্রুত গুনিয়াতুত তালেবীনে লিখেছেন- সালাতে জানাযায় তাকবীর বলবে প্রথম তাকবীরে সুরা ফাতেহা পাঠ করবে। কেননা আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, আল্লাহর রাসূল(ছঃ) আমাদের নির্দেশ দান করেছেন, সালাতে জানাযায় যেন সুরা ফাতেহা পাঠকরা হয়। অতঃপর দ্বিতীয় তাকবীরের পর সালাতে তাশাহ্হুদের মত যেন নবীর প্রতি দরুদ পাঠ করা হয়,
কেননা তাবিয়ী ইমাম মুজাহিদ বলেছেন আমি রাসূল(ছঃ) এর অষ্টাদশ সহচরকে সালাতে জানাযার বিষয়ে জিজ্ঞেস করেছি, তারা সকলেই বলেছেন, তুমি তাকবীর উচ্চারণ করবে তারপর সুরা আল-ফাতেহা পাঠ করবে। আবার তুমি তাকবীর ধ্বনি উচ্চারন করে নাবী (ছঃ) -এর প্রতি দরুদ পড়বে। অতঃপর আল্লাহু আকবার বল তোমার পছন্দমত মাইয়্যিত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে দোয়া আবৃতি করবে- (গুনিয়াতুত তালেবীন- উর্দু অনুবাদ সহ ১০৫ পৃষ্ঠা)

ইমাম ও মুজতাহিদ মন্ডলীর শিরোমনি শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলভী লিখেছেন- সলাতে জানাযার বিধান সমূহের মধ্যে সুরা ফাতেহা পাঠ একটি বিধান। যেহেতু সুরা ফাতেহা সর্বপেক্ষা উত্তম ও সবচাইতে পূর্ণাঙ্গ দোয়া যা খোদ আল্লাহতায়ালা তার বান্দাগণকে স্বীয় পবিত্র কিতাবে শিক্ষাদান করেছেন - ( হুজ্জতুল্লাহিল বালিগা- উর্দু অনুবাদ সহ ১২৩ পৃষ্ঠা)

‘ঐ ব্যক্তির কোন সালাত হয়নি, যে সূরা ফাতিহা পাঠ করেননি’। (বুখারী, মুসলিম)। 
‘জানাযার কিছু বিধান’ বইতে উপরোক্ত দু’টি দলীল পেশ করে শাইখ আঃ আঃ ইঃ আঃ ইঃ বাঃ (রহঃ) সাবেক সৌদি সর্বোচ্চ ফতওয়া বোর্ড প্রধান বলেন ‘জানাযায় সূরা ফাতিহা পাঠ করা ওয়াজিব’।
উসাইমীন (রহঃ) একই দলীল পেশ করেছেন। এর সঙ্গে বিদ্বানগনের অনেকে ছোট একটি সূরা পাঠ করা সুন্নাত বলেছেন। (ফতওয়ায়ে আরকানুল ইসলাম ৩৩৯ পৃষ্ঠা)।

ফাতাওয়াহ আলমগীরীর অন্যতম লিখক শাহ আবদুর রহীম দেহলভী হানাফী (রহঃ)-এর অভিমত ও আমল ঃ তিনি ইমামের পিছনে সূরাহ ফাতিহা পড়তেন এবং জানাযার সালাতেও সূরাহ ফাতিহা পড়তেন।
(আলফাসুল আবেদীন-৬৯ পৃষ্ঠা)।

আল্লামা যাঈলায়ী (রহঃ), আল্লামা বদরুদ্দিন আইনী (রহঃ),ইমাম কস্তালানী (রহঃ),আল্লামা আবুল হাসান সিন্দি দেওবন্দি (রহঃ),আল্লামা আব্দুল হাই লাখনুবী (রহঃ), শাহ অলিউল্লাহ দেহলভী (রহঃ),প্রতেক্যেই জানাযা সালাতে সুরা ফাতিহা পাঠের কথা বলেছেন।
(নাসবুর রায়া হাশিয়া ২/২৭১পৃঃ,উমদাতুল কারী ৮/৩৫৫, মিরআত ২/৪৭৭,হাশিয়া ইবনে মাজাহ ৪৫৫ পৃঃ, ইমামুল কালাম ২৩৩পৃঃ,হুজ্জাতুল বালেগাহ ২/৩৬পৃঃ)।

Friday 22 May 2015

প্রত্যেক ফরজ সলাতের পর যে দোয়া পাঠ করলে অতীতের সমস্ত পাপ ক্ষমা করা হয়


6 hrs · 
[N.B:-সলাত আদায়ের পর সম্মিলিতভাবে কিছু করতে হবে না, রাসুল (সাঃ) থেকে যে দোয়া ও জিকিরগুলো প্রমাণিত সেগুলো প্রত্যেকেই নিজে নিজে করবে, রাসুল (সাঃ) এমনটাই করতেন।}
প্রত্যেক ফরজ সলাতের পর যে দোয়া পাঠ করলে অতীতের সমস্ত পাপ ক্ষমা করা হয়-
রাসূল (সাঃ) বলেন, কোন ব্যক্তি যদি প্রত্যেক ফরজ স্বলাতের পর- 
“সুবহা-নাল্লাহ” (আল্লাহ কতই না পবিত্র-মহান)”«سُبْحَانَ اللَّه ((৩৩ বার
“আলহামদুলিল্লাহ” (সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য) الْحَمْدُ لِلَّهِ، (৩৩ বার)
“আল্লা-হু আকবার” (আল্লাহ সবচেয়ে বড়)” اللَّهُ أَكْبَرُ (৩৩ বার)
তারপর ১ বার নিম্নোক্ত দোয়া বলে 
« لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ».
(লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর)। 
“একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সকল প্রশংসা তাঁরই এবং তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।” 
তাহলে ঐ ব্যক্তির সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনা সমতুল্যও হয়। ( মুসলিম) 
আর এ দোয়া না পারলে আরও ১ বার “আল্লা-হু আকবার” বলে ১০০ পূর্ণ করবে।

ঠিক এই তাসবিহগুলোই রাসুল (সাঃ) ঘুমানোর সময়ও পড়তে বলেছেন, রাসুল (সাঃ) তার মেয়ে ফাতিমা (রাঃ)-কে প্রত্যেক রাতে ঘুমানোর সময় ৩৩ বার সুবহা-নাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ এবং ৩৪ বার আল্লাহু আকবার পড়ার নির্দেশ দেন। (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত- ২৩৮৭)
এই তাসবিহগুলো আল্লাহ তা’লার কাছে সবচেয়ে প্রিয় এবং সারা পৃথিবীর সবকিছুর চেয়ে রাসুল (সাঃ)-এর কাছে এই তাসবিহগুলোই সবচেয়ে প্রিয় ছিল,(মুসলিম-৩৯৮৫, মুসলিম-২৬৯৫) 
সুতরাং এই ২ সময়ে তাসবিহগুলো অবশ্যই পাঠ করুন।
Like · Comment ·