Friday 30 September 2016

তাহায়াতুল মসজিদ ছালাত না পড়ার দলিল এর তাহক্বীক্বঃ

তাহায়াতুল মসজিদ ছালাত না পড়ার দলিল এর তাহক্বীক্বঃ

5175 - حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ حَجَّاجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَابْنِ عُمَرَ: «أَنَّهُمَا كَانَا يَكْرَهَانِ الصَّلَاةَ وَالْكَلَامَ بَعْدَ خُرُوجِ الْإِمَامِ»
ইবনু আব্বাস (রাঃ) এবং ইবনু উমার (রাঃ) ইমাম আসার পর যেকোনধরনের কথাবার্তা এবং ছালাতকে অপছন্দ করতেন।
(মুসান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ ১/৪৪৮, ৫১৭৫)
প্রকৃতপক্ষে ইহার সনদ যঈফ। সনদের ‘হাজ্জাজ বিন আরতাত’ (الحجاج بن أرطاة) একজন দূর্বল ও মুদাল্লিস রাবী।
ইয়াহইয়া ইবনু মাঈন বলেন ‘তিনি কিছুই নন, তিনি তাদলীস করতেন محمد بن عبيد الله العرزمي عن عمرو بن شعيب থেকে’ (জারাহ ওয়া তাদীল ৩/১৫৫), আহমাদ বিন হাম্বাল বলেন, ‘صدوق يدلس عن الضعفاء’ ‘সুদুক্ব, তিনি দূর্বল রাবীদের থেকে তাদলীস করতেন’ (ঐ), আবু জুরায়ত বলেন, ‘الحجاج بن أرطأة صدوق مدلس’ ‘সুদুক্ব মুদাল্লিস ছিলেন’ (ঐ)
আর এই হাজ্জাজ বিন আরতাত উক্ত হাদীছ আতা থেকে ‘আনআন’ শব্দে বর্ণনা করেছেন। মুদাল্লিসের ‘আন’ শব্দের রেওয়াত গ্রহণীয় নয়।
Allahr gulam anisul


Link with comments..

https://m.facebook.com/anisul.islam.16/posts/1102571199838570

রফউল ইয়াদাইন তথা দুহাত কাধ পর্যন্ত উঠানো যে মানসূখ নয়

【স্বালাতে রুকুতে যাওয়ার সময়,রুকু থেকে উঠার সময় এবং তিন ও চার রাকাত বিশিষ্ট স্বলাতে তৃতীয় রাকাতের জন্য উঠার সময় যে রফউল ইয়াদাইন তথা দুহাত কাধ পর্যন্ত উঠানো  যে মানসূখ(Cancelled verse)নয় তার বড় প্রমাণ এই সহীহ হাদিসটি 】আবু হুমাইদ সায়েদী (রাঃ) একদা রাসূল (ছাঃ)-এর দশ জন ছাহাবীর কাছে বললেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-এর ছালাত সম্পর্কে আপনাদের অপেক্ষা অধিক অবগত। তাঁরা বললেন, তাহলে আমাদের কাছে পেশ করুন। তখন তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন ছালাতের জন্য দাঁড়াতেন, তখন দুই হাত কাঁধ বরাবর উঠাতেন এবং তাকবীর বলতেন। তারপর ক্বিরাআত পড়তেন। অতঃপর তাকবীর বলতেন এবং কাঁধ বরাবর দুই হাত উঠাতেন। অতঃপর রুকূ করতেন এবং দুই হাতের তালু দুই হাঁটুর উপরে রাখতেন। এ সময় পিঠ সোজা রাখতেন। অতঃপর রুকূ করতেন ও ‘সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলতেন এবং সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে দুই হাত কাঁধ বরাবর উঠাতেন। অতঃপর ‘আল্লাহু আকবার’ বলে সিজদার জন্য যমীনের দিকে ঝুঁকে সিজদা করতেন। এ সময় দুই হাত দুই পার্শ্ব হতে পৃথক রাখতেন এবং দুই পায়ের আঙ্গুলসমূহ ক্বিবলার দিকে মুড়িয়ে দিতেন। তারপর বাম পা বিছিয়ে দিয়ে তার উপর বসতেন। অতঃপর তিনি সোজা হয়ে বসতেন, যাতে প্রত্যেক হাড় নিজ নিজ জায়গায় ফিরে যায়। অতঃপর (দ্বিতীয়) সিজদা করতেন। তারপর ‘আল্লাহু আকবার’ বলে মাথা উঠাতেন এবং বাম পা বিছিয়ে দিয়ে তার উপর বসতেন। এমনভাবে বসতেন, যাতে সমস্ত হাড় নিজ জায়গায় ফিরে যায়।

অতঃপর দ্বিতীয় রাক‘আতের জন্য দাঁড়িয়ে যেতেন। দ্বিতীয় রাক‘আতেও অনুরূপ করতেন। অতঃপর যখন দুই রাক‘আতের পর দাঁড়াতেন, তখন তাকবীর দিতেন এবং কাঁধ বরাবর দুই হাত উত্তোলন করতেন, যেমন প্রথম তাকবীরের সময় করেছিলেন। অবশিষ্ট ছালাতেও তিনি অনুরূপ করতেন। অবশেষে যখন শেষ রাক‘আতে পৌঁছতেন, তখন বাম পা ডান দিকে বের করে দিতেন এবং বাম নিতম্বের উপর বসতেন। অতঃপর সালাম ফিরাতেন। তখন উক্ত ছাহাবীরা বললেন, আপনি সত্যিই বলেছেন। রাসূল (ছাঃ) এভাবেই ছালাত আদায় করতেন। 【 আবুদাঊদ হা/৭৩০, ১/১০৬ পৃঃ, ‘ছালাত শুরু করা’ অনুচ্ছেদ; ইবনু হিববান হা/১৮৬৪; তিরমিযী হা/৩০৪, ১/৬৭ পৃঃ, ‘ছালাতের বিবরণ’ অনুচ্ছেদ; ইবনু মাজাহ হা/১০৬১, পৃঃ ৭৪ ও ৮৬২, ৮৬৩, পৃঃ ৬২; সনদ ছহীহ; মিশকাত হা/৮০১ ও ৭৯২; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৭৪৫, ২/২৫৭ পৃঃ, ‘ছালাতের বিবরণ’ অনুচ্ছেদ। 】(Elias Hossainbd)

Thursday 29 September 2016

ওযুতে ঘাড় মাসাহ করার একটি দলিলে, da,f

ওযুতে ঘাড় মাসাহ করার একটি দলিলে:-

ওযুতে ঘাড় মাসাহ করার একটি দলিলের পর্যালোচনা ।
مَنْ مَسَحَ قَفَاهُ مَعَ رَأْسِهِ وُقِيَ الْغُلَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
যে গর্দানসহ মাথা মাসেহ করবে সে কিয়ামতের দিন গলায় বেড়ী পড়ানো থেকে মুক্ত থাকবে ।
হাদীসটি এসেছে কাসিম বিন সালমা এর কিতাব আত তাহারাত ( القاسم بن سلام في كتاب الطهور) এর بَابُ الِاسْتِعَانَةِ بِالْأَصَابِعِ فِي مَسْحِ الْأُذُنَيْنِ وَمَسْحِ الْقَفَا এর ৩৬৮ নং এ । হাদীসটির সনদ -
فَإِنَّ عَلِيَّ بْنَ ثَابِتٍ , وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ حَدَّثَانَا عَنِ الْمَسْعُودِيِّ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ
হাদীসের সনদে উপস্থিত আলী বিন সাবিত (عَلِيَّ بْنَ ثَابِتٍ) সম্পর্কে ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন , তিনি সত্যবাদী তবে তার শিয়া মতালম্বী হওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ রয়েছে । ইমাম যাহাবী তাকে সিকাহ বলেছেন ।
(তাহজীবুল কামাল , রাবী নং ৪০৩৩)
সনদের আরেকজন রাভী আল-মাসঊদী (الْمَسْعُودِيِّ) সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ । ইবনু নুমায়র বলেন তিনি সিকাহ তবে শেষ বয়সে হাদীস বর্ণনায় সংমিশ্রন করেছেন । আহমাদ বিন হাম্বাল বলেন, তিনি সিকাহ তবে বাগদাদে হাদীস বর্ণনায় সংমিশ্রন করেছেন । মুহাম্মাদ বিন সাদ বলেন , তিনি সিকাহ তবে মৃত্যুর পূর্বে হাদীস বর্ণনায় সংমিশ্রন করেছেন । আলী ইবনুল মাদীনী তাকে সিকাহ বলেছেন ।
(তাহজীবুল কামাল , রাবী নং ৩৮৭২)
আর দ্বিতীয় কথা , ইমাম ইবনে হাজার (রহ) নায়লুল আত্তার (نيل الأوطار) এর ১৯৮ নং হাদীসের ব্যাখায় উল্লেখ করেছেন ,
فيحتمل أن يقال هذا ، وإن كان موقوفا فله حكم الرفع ، لأن هذا لا يقال من قبيل الرأي فهو على هذا مرسل انتهى
এ কথাও বলা যেতে পারে যদিও তা মাওকুফ হয় , তবুও মারফু এর মানে । যেহেতু তার দ্বারা বলা যায় না সুতরাং তা এই হিসাবে মুরসাল ।
বোঝা গেল সনদে ২ জন দঈফ রাভীর জন্য হাদীসটি গ্রহণযোগ্য নয় এবং হাদীসটি মুরসালও বটে । মুরসাল হাদীস কিভাবে গ্রহণযোগ্য হয় ?
Sanaulla salafibf

Wednesday 28 September 2016

হনাফী ভাইদের বিতর পড়ার দলিলঃ

হনাফী ভাইদের বিতর পড়ার দলিলঃ

আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) বলেন,
وِتْرُ اللَّيْلِ ثَلَاثٌ كَوِتْرِ النَّهَارِ صَلَاةُ الْمَغْرِبِ
রাতের বিতর তিন রাকআত, উহা হল দিনের বিতর মাগরিবের মত।
(সুনান দারাকুতনী ১৬৫৩)
দলিলটি ঠিকই গ্রহণ করল, কিন্তু ইমাম দারাকুতনীর মন্তব্যটা আর গ্রহণ করলেন না তারা। হাদীছটি বর্ণনা করার সাথে সাথেই তিনি বলে দিলেন -
يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا هَذَا يُقَالُ لَهُ: ابْنُ أَبِي الْحَوَاجِبِ ضَعِيفٌ
ইয়াহইয়া বিন জাকারিয়া যাকে বলা হতঃ ইবনু আবী হাওজাব তিনি যঈফ।
(ঐ হাদীছের সাথেই)

► মুহাক্বীক্ব মাজদী বিন মানসুর বলেন 'ইহার সনদ যঈফ। ইয়াহইয়া বিন জাকারিয়া কুফী ইবনু আবী হাওজাব যঈফ।'
(সুনান দারাকুতনী, ২/২০, ১৬৩৭, বৈরুত লেবানন থেকে ছাপা)

►ইবনু হাজার আসকালানী হাদীছটি সম্পর্কে বলেন
فيه يحيى بن زكريا بن أبي الحواجب، وهو واه، وعن عائشة نحوه، وفيه إسماعيل بن مسلم المكي، وهو واه أيضا
ইহার মধ্যে ইয়াহইয়া বিন জাকারিয়া ইবনু আবী হাওজাব আছেন, যিনি দূর্বল, এবং ইহার মধ্যে আছে ইসমাইল বিন মুসলিম মাক্কী, যিনিও দূর্বল। (দিরায়াহ ১/১৯২)

►  ইবনু কাইয়ুম হাদীছটিকে 'বাতিল' বলেছেন। ( أعلام الموقعين , ২/২৭২)

► ابن الملقن হাদীছটিকে যঈফ বলেছেন। (الإعلام , ৩/৫২৭)

Thursday 22 September 2016

TYPES OF DUA QUNOOT AND THEIR DESCRIPTION


 
TYPES OF DUA QUNOOT AND THEIR DESCRIPTION

(i) Qunoot e Nazilah (Dua of the calamity - fardh salah)
(ii) Qunoot e witr (or the general Qunoot - isha'a witr ) 
(3) Raising the hands (to make dua) during the Qunootas shown in picture.
 
(i)-
 
বিঃদ্ৰঃ প্ৰচলিত “আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্তায়িনুকা¸¸¸¸¸¸¸¸¸” এইটো বিতিৰৰ কুনুত নহয়। এইটো কুনুতে নাযেলা। তাৰোপৰি এইটো জয়ীফ কুনুত।
-------------------------------------------------------------------
(ii)-

 video- https://youtu.be/CkII_YbOWv8
বিতিৰৰ কুনূতৰ ছহীহ দোৱা:-
মহানবী চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামে হযৰত হাছান বিন আলী ৰাদ্বিয়াল্লাহু আনহুক তলৰ দুআ বিত্‌ৰ নামাযত ক্কিৰাআত শেষ কৰাৰ পিছত (ৰুকূৰ আগত) পঢ়িবলৈ শিকাইছিল:-
اَللّهُمَّ اهْدِنِيْ فِيْمَنْ هَدَيْتَ وَعَافِنِيْ فِيْمَنْ عَافَيْتَ وَتَوَلَّنِيْ فِيْمَنْ تَوَلَّيْتَ وَبَارِكْ لِيْ فِيْمَا أَعْطَيْتَ وَقِنِيْ شَرَّ مَا قَضَيْتَ فَإِنَّكَ تَقْضِيْ وَلاَ يُقْضى عَلَيْكَ إِنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَّالَيْتَ وَلاَ يَعِزُّ مَنْ عَادَيْتَ تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ لاَ مَنْجَا مِنْكَ إِلاَّ إِلَيْكَ (وَصَلَّى اللهُ عَلى نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ)।
উচ্চাৰণ:- আল্লা-হুম্মাহ্‌দিনী ফী মানহাদাইত। অআ-ফিনী ফীমান আ ফাইত। অতাওৱাল্লানী ফী মান তাওৱাল্লাইত। অবা-ৰিকলী ফী মা আ’ত্বাইত। অকি¸নী শ্বৰ্ৰামা ক্কবাযাইত। ফাইন্নাকা তাক্কয্বি অলা ইউক্কযা আলাইক। ইন্নাহু লা য়্যাযিল্লু মাঁ উওৱা-লাইত। অলা য়্যাইযযু মান আ’-দাইত। তাবা-ৰাকতা ৰাব্বানা অতাআ’-লাইত। লা মানজা মিনকা ইল্লা ইলাইক।
অর্থ - হে আল্লাহ! তুমি মোক হিদায়াত কৰি সিহঁতৰ দলভুক্ত কৰা যিসকলক তুমি হিদায়াত কৰিছা। মোক নিৰাপদে ৰাখি সিহঁতৰ দলভুক্ত কৰা যিসকলক তুমি নিৰাপদে ৰাখিছা, মোৰ সকলো কামৰ তত্ত্বাৱধান কৰি মোক সিহঁতৰ দলভুক্ত কৰা যিসকলক তুমি তত্ত্বাৱধান কৰিছা। তুমি মোক যি কিছু দান কৰিছা তাতে বৰকত দিয়া। মোৰ ভাগ্যত তুমি যি ফায়চালা কৰিছা তাৰ বেয়াৰ পৰা ৰক্ষা কৰা। কাৰণ তুমিয়েই ফায়চালা কৰি থাকা আৰু তোমাৰ ওপৰত কাৰো ফায়চালা নচলে। নিশ্চয় তুমি যাক ভালোপোৱা সি লাঞ্ছিত নহয় আৰু যাক বেয়া পোৱা সি সন্মানিত নহয়। তুমি বৰকতময় হে আমাৰ প্রভু আৰু তুমি চুমহান। তোমাৰ আযাবৰ পৰা তোমাৰ বাহিৰে কোন আশ্রয়স্থল নাই। (আবূদাঊদ, ছুনান, তিৰমিযী, ছুনান, নাছাঈ, ছুনান, আহমাদ, মুছনাদ, বায়হাকী, ইবনে মাজাহ্‌, ছুনান, মিশকাত ১২৭৩নং, ইৰ: ২/১৭২)


Sahih Dua E Qunoot With Urdu Translation
Abu Dawood Hadis 1425-1426, Tirimdhi Hadis 464
Musnad Ahmad 1/199-200, Ibne Khujema 2/151-152
 

---------------------------------------------------------------------------------
more- https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=740473396095254&id=100003978016301 
---------------------------------------------------------------------------------
(3)- Raising the hands (to make dua) during the Qunoot:-

Raising the hands for dua being  permissible bring forward the evidence that :-

1. From Ibn Mas’ood that he used to raise his hands in the Witr then after that hewould lower them.’
[Ref: chain Hasan – Collected by Abdur Razzaq (4/325)]

2. Narrations from prophet (s.a.w) and sahabas like Umar (r.a), Ibn abbas (r.a) and etc which state that they raised their hands during Qunoot e Nazilah. The scholars (to support raising the hands in Isha'a witr) imply the principle that "whatever is allowed in an obligatory act , it is also allowed in an optional (sunnah or nafil) act unless there is evidence prohibiting it"

[Ref : Collected by Ibn Abee Shaybah (3/316), Bayhaqi (2/212) & Ibn al-Mundhir (5/213)][Ref: Saheeh – Collected by Ibn Abee Shaybah (2/316)]


3. Another general evidence is - Narrated that Salmaan (may Allaah be pleased with him) said: The Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) said: “Your Lord, may He be blessed and exalted, is Kind and Most Generous, and He is too kind to let His slave, if he raises his hands (palms facing the sky) to Him, bring them back empty.” (i.e Allah very kind and doesn't like to reject the dua of his slave who makes dua like a beggar).

[Ref: Abu Dawood (1488-http://sunnah.com/abudawud/8/73) Classed as saheeh by Shaykh al-Albaani in Saheeh Abi Dawood, 1320]




 
 


Wednesday 21 September 2016

Witr duas

Witr dua
[9/22, 12:22 PM] sogoodislam: Witr dua
https://m.facebook.com/sharer.php?fs=8&sid=757252767745898&refid=52
[9/22, 12:24 PM] sogoodislam: Witr
https://m.facebook.com/permalink.php?story_fbid=2112138695677189&id=100006432374190

সলাতে সাজ-সজ্জা করার আদেশ আল্লাহর

M Taufiur Rahmanbd
আল্লাহর আদেশ মানেই ফরয।।
------------------------------------
সলাতে সাজ-সজ্জা করার আদেশ আল্লাহর।
তাই সুন্দর পোষাক পরা ফরয।
.
.
অথচ আমরা সেই সলাতে যেন তেন পোষাকে, তেনা পরিধান করে, গামছা গায়ে নামাযে দাঁড়িয়ে যেতে আগ্রহী। যার কোন গতি নেই তার কথা ভিন্ন; কিন্তু অন্যদের। সামর্থ্য থাকার পরও আমরা সুন্দর পোষাকগুলোকে আলাদা প্রোগ্রামের জন্য তুরে রাখি। আর নামাযে ভাঁজ পড়া, পুরনো, রাতের বাসি কাপড়কে ব্যবহার করি।

যে পোষাকে কোন গুনীলোকের, বসের, সমাজপতির, রাষ্ট্রপ্রধানের অনুষ্ঠানে যেতে পারিনা, যেতে চাই না, সে পোষাকে কি করে তাহলে সলাত হতে পারে। আমাদের বিবেককে দিনে দিনে শাণিত করা জরুরী, নয়তো সুন্দর কাপড়গুলো পড়ে থাকবে আর এগুলো না পরেই একদিন আমাদের কবরে যেতে হবে। ভাল কাপড় আল্লাহর দরবার ছাড়া আর কোথায় ব্যবহারের ভাল স্থান হতে পারে। তিনিতো আহকামুল হাকিমিন।
তিনিতো পৃথিবীর মালিক, রাষ্ট্রপ্রধানেরও মালিক। বসের মালিক। আমাদের চূড়ান্ত ফায়সালাকারী।

পোষাক পরা আর অপব্যয় থেকে বেঁচে থাকা সম্পর্কিত কুরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ঘোষণাঃ

হে বনী-আদম! তোমরা -

- প্রত্যেক নামাযের সময় সাজসজ্জা পরিধান করে নাও,
- খাও ও পান কর এবং
- অপব্যয় করো না। তিনি অপব্যয়ীদেরকে পছন্দ করেন না।

[সূরা আল আ’রাফ: ৩১]

Sahih dua-qunud in witr salah-Juber Rahman

Tuesday 20 September 2016

Saturday 17 September 2016

দুআ কবুলের অনুকূল অবস্থা ও সময়

দুআ কবুলের অনুকূল অবস্থা ও সময়

কিছু সময় রয়েছে যাতে দুআ কবুল করা হয়। এমনি মানুষের কিছু অবস্থা আছে যা দুআ কবুলের উপযোগী বলে হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে। এমনি কিছু সময়ের কথা নীচে আলোচনা করা হল।

১-আযানের সময় এবং যুদ্ধের ময়দানে যখন মুজাহিদগণ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ান। হাদীসে এসেছে :

قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : ثنتان لا تردان- أو قلما تردان- الدعاء عند النداء وعند البأس حين يلحم بعضهم بعضا. ( رواه أبو داود(

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : দুটো সময় এমন যাতে দুআ ফেরত দেয়া হয় না অথবা খুব কম ফেরত দেয়া হয়। আযানের সময়ের দুআ এবং যখন যুদ্ধের জন্য মুজাহিদগণ শক্রের মুখোমুখি হন। (আবু দাউদ)

২- আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :

الدعاء لا يرد بين الآذان والإقامة فادعوا (رواه أحمد والترمذي وصححه الألباني في الإرواء برقم 244(

আযান ও ইকামাতের মধ্যবর্তী সময়ে দুআ ফেরত দেয়া হয় না। সুতরাং তোমরা দুআ কর। (তিরমিজী ও আহমদ)

৩- সিজদার মধ্যে

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন

أقرب ما يكون العبد من ربه وهو ساجد، فأكثروا الدعاء. (أخرجه أبو داود والنسائي وصححه الألباني في صحيح الجامع 8190(

বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে নিকটবর্তী হয় যখন সে সেজদারত থাকে। সুতরাং তোমরা এ সময় বেশি করে দুআ কর। (আবু দাউদ ও নাসায়ী)

৪- ফরজ সালাতের শেষে

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে জিজ্ঞেস করা হল :

أي الدعاء أسمع؟ قال : جوف الليل الآخر ةدبر الصلوات المكتوبة. (رواه الترمذي وحسنه الألباني(

কোন দুআ সবচেয়ে বেশি কবুল করা হয়? তিনি বললেন, শেষ রাতে এবং ফরজ সালাতের শেষে। (তিরমিজী)



৫- জুমআর দিনের শেষ অংশে

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন :

يوم الجمعة اثنتا عشرة ساعة، منها ساعة لا يوجد عبد مسلم يسأل الله فيها شيئا إلا آتاه الله إياه، فالتموسها آخر ساعة بعد العصر. (أخرجه أبو داود والنسائي وصححه الألباني في صحيح الجامع 8190(

জুমআর দিন বারটি ঘন্টা। এর মধ্যে এমন একটি সময় আছে, সে সময় একজন মুসলিম বান্দা যা আল্লাহর কাছে চায়, তা-ই তিনি দিয়ে দেন। তোমরা সে সময়টি আছরের পর দিনের দিন অংশে তালাশ কর। (আবু দাউদ, নাসায়ী)

৬- রাতের শেষ তৃতীয়াংশে

রাত এমন একটা সময় যখন প্রত্যেকে তার আপনজনের সঙ্গে অবস্থান করে। এ সময় একজন মুমিন ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক গভীরতর করার সুযোগ গ্রহণ করে থাকে। আর এটা এমন এক সময় যখন দুআ কবুল করার জন্য আল্লাহর ঘোষণা রয়েছে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :

إن في الليل لساعة لا يوافقها رجل مسلم ، يسأل الله خيرا من أمر الدنيا والآخرة، إلا أعطاه الله، وذلك كل ليلة. (رواه مسلم 75(

রাতের এমন একটা অংশ আছে যখন মুমিন বান্দা আল্লাহর কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের যা কিছু চায় আল্লাহ তা দিয়ে দেন। আর এ সময়টা প্রতি রাতে। (মুসলিম)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেন :

ينـزل ربنا كل ليلة إلى السماء الدنيا حين يبقى ثلث الليل الآخر، فيقول من يدعوني فأستجيب لـه؟ ومن يسألني فأعطيه ؟ ومن يستغفرلي فأغفر لـه. (رواه البخاري و مسلم(

আমাদের প্রতিপালক প্রতি রাতে পৃথিবীর আকাশে অবতরণ করেন, যখন রাতের এক তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকে। তখন তিনি বলেন : কে আছে আমার কাছে দুআ করবে আমি কবুল করব? কে আমার কাছে তার যা দরকার প্রার্থনা করবে আমি তাকে তা দিয়ে দেব? কে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে আমি ক্ষমা কেও দেব।

৭- দুআ ইউনুস দ্বারা প্রার্থনা করলে

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :

دعوة ذي النون إذ دعا بها وهو في بطن الحوت: لا إله إلا أنت سبحانك إني كنت من الظالمين، لم يدع بها رجل مسلم في شيء قط إلا استجاب الله له. (رواه الترمذي وصححه الألباني في صحيح الجامع 338(

মাছওয়ালা (ইউনুস আ.) এর দুআ হল যা সে মাছের পেটে থাকা অবস্থায় করেছে; লাইলাহা ইল্লা আনতা ছুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জলিমীন। (আপনি ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই, আপনি  পবিত্র, সুমহান। আমিই তো অত্যাচারী। (তিরমিজী)

৮- মুসলিম ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে তার জন্য দুআ করা

আল-কুরআনুল কারীম ও হাদীসে সকল মুসলিমের জন্য দুআ করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। বিশেষ করে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বিপদগ্রস্ত মুসলিমদের জন্য দুআ করা আমাদের দায়িত্ব। হাদীসে এসেছে :

عن أبي الدرداء رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يقول : دعوة المرء المسلم لأخيه بظهر الغيب مستجابة، عند رأسه ملك موكل، كلما دعا لأخيه بخير، قال الملك الموكل به: آمين ولك بمثل. (رواه مسلم 2733(

আবু দারদা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতেন : মুসলিম ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের জন্য তার অনুপস্থিতিতে দুআ করলে তা কবুল করা হয়। দুআকারীর মাথার কাছে একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত ফিরিশতা থাকে। যখনই তার ভাইয়ের জন্য কল্যাণের দুআ করে, দায়িত্বপ্রাপ্ত ফিরিশতা তার দুআ শুনে আমীন বলতে থাকে এবং বলে তুমি যে কল্যাণের জন্য দুআ করলে আল্লাহ অনুরূপ কল্যাণ তোমাকেও দান করুন। (মুসলিম)

এ হাদীস দ্বারা যেমন আমরা দুআ কবুলের বিষয়টি বুঝেছি, এমনিভাবে অপর মুসলমান ভাইদের জন্য দুআ করার বিষয়টিও গুরুত্ব দেয়ার কথা শিখেছি। এতে যার জন্য দুআ করা হবে তার যেমন কল্যাণ হবে, তেমনি যিনি দুআ করবেন তিনি লাভবান হবেন দুদিক দিয়ে, প্রথমত তিনি দুআ করার সওয়াব পাবেন। দ্বিতীয়ত তিনি যা দুআ করবেন তা নিজের জন্যও লাভ করবেন।

৯- সিয়ামপালনকারী, মুসাফির, মজলুমের দুআ এবং সন্তানের বিরুদ্ধে মাতা-পিতার দুআ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :

ثلاث دعوات مستجابات لا شك فيهن: دعوة الوالد على ولده، ودعوة المسافر، ودعوة المظلوم. (أخرجه البخاري في الأدب المفرد وأبو داود ووالترمذي وابن ماجة وصححه الألباني صحيح الجامع 3032(

তিনটি দুআ কবুল হবে; এতে কোনো সন্দেহ নেই। সন্তানের বিপক্ষে মাতা-পিতার দুআ, মুসাফিরের দুআ এবং মজলুম বা অত্যাচারিত ব্যক্তির দুআ। (বুখারী-আল আদাবুল মুফরাদ, আবু দাউদ, তিরমিজী)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মুআজ ইবনু জাবালকে ইয়েমেনে গভর্নর করে পাঠান তখন তাকে কয়েকটি নির্দেশ দেন। তার একটি ছিল :

واتق دعوة المظلوم، فإنه ليس بينها وبين الله حجاب. (رواه البخاري ومسلم)

সাবধান থাকবে মজলুম বা অত্যাচারিত ব্যক্তির দুআ হতে। জেনে রেখ! তার দুআ ও আল্লাহর মধ্যে কোনো অন্তরায় নেই। (বুখারী ও মুসলিম)

মজলুমের বদ দুআ থেকে নিজেকে বাঁচাতে হবে সর্বদা। এর অর্থ এটা নয় যে, মজলুমকে দুআ করতে দেয়া যাবে না। বরং রাসূলের বাণীর উদ্দেশ্য হল, কখনো কাউকে সামান্যতম অত্যাচার করা যাবে না। নিজের কাজ-কর্ম, কথা দ্বারা কেউ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, এটার প্রতি সতর্ক থাকা হল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- এর এ হাদীসের উদ্দেশ্য। যদি আমার দ্বারা কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে সে হবে মজলুম বা অত্যাচারিত। সে আমার বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে দুআ করলে তা অবশ্যই কবুল হবে। এটা ভয় করে চলতে পারলে এ হাদীস স্বার্থক হবে আমাদের জন্য।

১০- আরাফা দিবসের দুআ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :

خير الدعاء يوم عرفة  (رواه الترمذي(

সর্বোত্তম দুআ হল আরাফার দুআ।

জিলহজ্ব মাসের নয় তারিখে যারা আরফাতে অবস্থান করেন তাদের দুআ কবুল হয়। এটা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বহু সংখ্যক হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।

১১- বিপদগ্রস্ত অসহায় ব্যক্তির দুআ

বিপদগ্রস্ত অসহায় তথা আর্তের দুআ কবুল করা হয়। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যখন মুশরিক আর্ত মানুষের দুআ কবুল করেন তখন মুসলমানের দুআ কেন কবুল করবেন না। আবার যদি সে মুসলিম ঈমানদার ও মুত্তাকী হয় তখন তার দুআ কবুলে বাধা কি হতে পারে?

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন :

أَمَّنْ يُجِيبُ الْمُضْطَرَّ إِذَا دَعَاهُ وَيَكْشِفُ السُّوءَ  (النمل : 62)

কে আর্তের প্রার্থনায় সাড়া দেয়? যখন সে তাঁকে ডাকে এবং কে বিপদাপদ দূর করেন। (আন নামল : ৬২)

১২- হজ্ব ও উমরাকারীর দুআ এবং আল্লাহর পথে জিহাদে অংশগ্রহণকারীর দুআ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :

الغازي في سبيل الله، والحاج والمعتمر وفد الله، دعاهم فأجابوه وسألوه فأعطاهم. (رواه ابن ماجة وصححه الألباني في صحيح الجامع 4171(

আল্লাহর পথে জিহাদকারী যোদ্ধা, হজ্বকারী এবং উমারাহকারী আল্লাহর প্রতিনিধি। তারা দুআ করলে আল্লাহ কবুল করেন এবং প্রার্থনা করলে আল্লাহ দিয়ে থাকেন। (ইবনু মাজাহ)