Sunday 30 August 2015

তাশাহুদে বসে আঙ্গুল দিয়ে ইশারা

‪#‎বিসমিল্লাহির_রাহমানির_রাহিম‬,
‪#‎সকল_প্রশংসা_আল্লাহর_যিনি_এই_বিষয়টি_নিয়ে_লেখার_তাওফিক_দান_করেছেন‬।==
==> তাশাহুদে বসে আঙ্গুল দিয়ে ইশারা
করা রাসূল সাঃ থেকে বিভিন্ন
হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) থেকে
বর্নিত যে, তিনি বলেন, রাসূলূঁল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
যখন তাশাহুদ পড়ার জন্য বসতেন, তখন তার
বাম হাত বাম হাঁটুর উপর এবং ডান হাত
ডান হাঁটুর উপর রাখতেন। আর (ডান
হাতের আংগুল দ্বারা) তিপ্পান্ন
বানিয়ে শাহাদাত আংগুলি দ্বারা
""""ইশারা""""" করতেন।
# সূত্র : সহীহ মুসলিম (ইফাঃ), অধ্যায়ঃ ৫/
মসজিদ ও সালাতের স্থান, হাদিস
নাম্বার:১১৮৮
---------------------------------------------
----------------------------------------------
==> রাসূল সা: কিভাবে ইশারা করতেন
তার পদ্ধতি বর্ণনা হয়েছে নিম্নোক্ত
হাদিসে।
ওয়াইল ইবনু হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেন, আমি (মনে মনে ) বললাম
যে, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সালাতের
প্রতি লক্ষ্য রাখব যে, তিনি কিভাবে
সালাত আদায় করেন। অতএব, আমি তাঁর
প্রতি লক্ষ্য বাখতে বললাম। পরে তিনি
বর্ণনা করে বলেন, তিনি (রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
সালাতে) বসলেন এবং তাঁর বাম পা
বিছিয়ে দিলেন ও তাঁর বাম হাত তাঁর
উরু ও বাম হাটূর উপর রাখলেন আর তাঁর
ডান উরুর উপর ডান কনুই খাড়া রাখলেন
এবং তাঁর দু’টি অঙ্গুলি বন্ধ রাখলেন ও
(অন্য দুটি দ্বারা) গোলাকার বৃত্ত
বানালেন তারপর একটি আঙ্গূলটি
উঠালেন। আমি তাঁকে দেখলাম যে,
তিনি সেই আংগুলটি """"নাড়াচ্ছেন""
""" আর তদ্দারা """"""ইশারা""""" করছেন।
‪#‎সূত্র‬: সুনানে নাসাঈ, অধ্যায়ঃ ১৩/ সাহু
[ভুল], হাদিস নাম্বার:১২৬৮
প্রথম হাদিস আমাদের জানাচ্ছে যে,
রাসূল সা: ইশারা করতেন আর দ্বিতীয়
হাদিস জানাচ্ছে যে, আংগুল
নাড়িয়ে ইশারা করেছেন।
আলহামদুলিল্লাহ, আমরা মুসলিমরা
এমনটিই করে থাকি আমাদের প্রতিটি
স্বলাতে।
---------------------------------------------
----------------------------------------------
এ পর্যায়ে আমাদের আহলে ঠক খ্যাত
হানাফীরা তাদের ওয়েব সাইটে
আংগুল না নাড়ানোর কথা উল্লেখ
করতে গিয়ে একটি হাদিস উল্লেখ
করেছে যেটি রয়েছে সুনান আবু
দাউদে।
হাদিসটি লক্ষ্য করা যাক:-
ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﺍﻟﺰﺑﻴﺮ ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ
ﻛﺎﻥ ﻳﺸﻴﺮ ﺑﺄﺻﺒﻌﻪ ﺇﺫﺍ ﺩﻋﺎ ﻭﻻ ﻳﺤﺮﻛﻬﺎ
হযরত আব্দুল্লাহ বিন জুবায়ের রাঃ
থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ যখন
"তাশাহুদ পড়তেন", তখন আঙ্গুল দিয়ে
ইশারা করতেন, কিন্তু আঙ্গুল নাড়াতেই
থাকতেন না। {সুনানে নাসায়ী কুবরা,
হাদীস নং-১১৯৩, সুনানে আবু দাউদ,
হাদীস নং-৯৮৯, মুসনাদে আবী
আওয়ানা, হাদীস নং-১৫৯৪}
.
উপরোক্ত হাদিসটিতে তারা
জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে। কারণ
"তাশাহুদ পড়তেন" কথাটি তাদের
নিজেরা যুক্ত করেছে।
.
# প্রথমত :
হাদিসটিতে ﺇﺫﺍ ﺩﻋﺎ তথা যখন রাসূল সা:
দুআ করতেন তখন আংগুল দ্বারা ইশারা
করতেন কিন্তু নাড়াতেন না।
হাদিসটিতে তাশাহুদ শব্দটি নাই। তাই
হাদিসটি আংগুল নাড়ানোর
ব্যাপারে বর্ণিত সুনানে নাসাঈ-র
সুস্পষ্ট হাদিসের বিপরীতে প্রাধান্য
পাবে না। আংগুল নাড়ানোটাই
প্রাধান্য পাবে।
.
# দ্বিতীয়ত :
যদি হাদিসটি গ্রহণও করা হয়, তবুও সেটা
মাযহাবী মতের পক্ষে যায় না। কারণ
হানাফীরা দুআর সময় আংগুল নাড়ায়
না। তাশাহুদের সময় আমরা আল্লাহুম্মা
সাল্লি আলা.......আল্লাহুম্মা বারিক
আলা.....আল্লাহুম্মা ইন্নি জালামতু...
ইত্যাদি দুআ পড়ি। হানাফীরা কি সেই
দুআ পাঠের সময়গুলোতে আংগুল দ্বারা
ইশারা করে? কখনোই করে না। তাহলে
কেন তারা আবু দাউদের উক্ত হাদিসটি
দলিল হিসেবে উপস্থাপন করে? তারা
এমন কথাই বলে যার উপর তারা আমল
করে না।
.
# তৃতীয়ত: "আঙ্গুল নাড়াতেন না" অংশটুকু
বর্ধিত। কারণ আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইর রা.
সূত্রে আর যে সমস্ত বর্ণনা রয়েছে
সেগুলোতে "আঙ্গুল নাড়াতেন না"
শব্দটি নাই।
.
# চতুর্থত: আঙ্গুল নাড়াতেন মর্মে
হাদিসটির সানাদ অনেক মজবুত।
বর্ণনাকারী প্রত্যেকেই সিক্বাহ
(নির্ভরযোগ্য) এবং হাদিসে "তাশাহুদ"
শব্দটি সুস্পষ্ট থাকায় অগ্রাধিকার
পাওয়ার যোগ্য।
আর আঙ্গুল না নাড়ানোর হাদিসটির
সানাদ তুলনামূলকভাবে মজবুত নয় এবং
হাদিসটিতে তাশাহুদ শব্দটি নাই।
বিধায় এটি প্রাধান্য পাবে না।
.
# পঞ্চমত : বর্ধিত বিতর্কিত অংশ
"নাড়াতেন না" বাদ দিলেই সমস্ত
হাদিসের মধ্যে সামঞ্জস্যতা
প্রতিষ্ঠা পায়। আর বাদ না দিয়ে
আংগুল নাড়ানোর হাদিসের
বিপরীতে উপস্থাপন করলে "আংগুল
নাড়াতেন না" অংশটুকু শায হবে।
.
# ষষ্ঠত: আংগুল না নাড়ানোর হাদিসটি
স্বলাতের ভিতরের নাকি বাহিরের
সাথে সম্পর্কিত তা হাদিস থেকে
জানা যায় না। তাই হাদিসটি অস্পষ্ট।
.
সুতরাং তাশাহুদে আঙ্গুল নাড়ানো
রাসূল সা: থেকে প্রমাণিত সুন্নাত।
---------------------------------------------
----------------------------------------------
এ পর্যায়ে হানাফীরা যদি বলে যে,
ইমাম আবু দাউদ রহ. হাদিসটি বর্ণনা করে
চুপ থেকেছেন আর যে হাদিসের উপর
তিনি চুপ থাকেন, সেই হাদিস ইমাম আবু
দাউদের নিকট সহীহ।
.
তাহলে আমরা হানাফীদের জানিয়ে
দিতে চাই যে, উবাদা বিন সামিত
রা. এর ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা
পাঠ করার হাদিসের ব্যাপারেও ইমাম
আবু দাউদ রহ. চুপ ছিলেন। সুতরাং
ইমামের পিছনে সূরা পাঠ করার
হাদিসও ইমাম আবু দাউদ রহ. এর নিকট
সহীহ। অথচ আপনারা এটিকে সহীহ
মানেন না।
আর এটাও বুঝা গেল ইমাম আবু দাউদ রহ.
সহীহ ও যঈফ দুপ্রকারের হাদিসের
ব্যাপারেই চুপ থেকেছেন। তাই ইমাম
আবু দাউদ রহ. এর চুপ থাকাকে মাযহাবী
মতের পক্ষে টেনে পানি ঘোলা না
করাই উত্তম।
.
যদি বলেন সাধারণ যুক্তি হচ্ছে আংগুল
না নাড়ানো, তবে আমরা বলব, রাসূল
সা: যেখানে আংগুল নাড়িয়েছেন,
সেখানে আমরা এসব যুক্তির ধার ধারি
না। আমাদের রাসূল সা: আংগুল
নাড়িয়েছেন, আমরাও নাড়াবো।
.
আল্লাহ আমাদের সত্য বুঝার ও আমল
করার তাওফিক দান করুন। আমীন


COMMENTS:-
 
  • নির্বাক আমি আমার একটা প্রশ্ন-------------আমরা ্তাকবিরে তাহরিমার পর হাত কোথায় বাধব???????বুকে,নাভির উপর,নাভির নিচে??????
  • Nayon Ahmed ত্বাঊস (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) ছালাতের মধ্যে তাঁর ডান হাত বাম হাতের উপর রাখতেন এবং উভয় হাত বুকের উপর শক্ত করে ধরে রাখতেন।- আবুদাঊদ হা/৭৫৯, সনদ ছহীহ।
    3 hrs · Like · 1
  • Nayon Ahmed বুকের উপর হাত বাঁধার ছহীহ হাদীছ সমূহ : রাসূল (ছাঃ) সর্বদা বুকের উপর হাত বেঁধে ছালাত আদায় করতেন। উক্ত মর্মে একাধিক ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। নিম্নে কয়েকটি পেশ করা হল : (১) সাহল বিন সা‘দ (রাঃ) বলেন, লোকদেরকে নির্দেশ দেওয়া হত, মুছল্লী যেন ছালাতের মধ্যে তার...See More
    3 hrs · Like · 1
  • AL Kaba #কামাল হোসাইন্ #রাজ কুমারী রাজ কুমারী #নির্বাক আমি 1.প্রথম বৈঠক এবং শেষ বৈঠকে যতক্ষণ বসে থাকতে হয় ততক্ষণ ,শেষ বৈঠকে বসার পর থেকে সালাম ফিরানো প্রর্যন্ত ২.হ্যা ইশারা করবে ৩.নিসন্ধেহে বুকের উপর [আপনারা একটা বই কিনতে পারেন. ''হাদিস ...See More
    2 hrs · Like · 1
  • Muslim Jashim Shiekh জাযাক অাল্লাহু খাইরান,,,
  • Rahul Hossain Ruhul Amin তাশাহুদে মুসল্লী কি আঙ্গুল নাড়িয়ে ইশারা করবে? নাকি আঙ্গুল নাড়াবে না?

    তাশাহুদে বসে আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করা রাসূল সাঃ থেকে বিভিন্ন হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।
    ...See More
    2 hrs · Like · 1
  • Rahul Hossain Ruhul Amin #তৃতীয়ত: "আঙ্গুল নাড়াতেন না" অংশটুকু বর্ধিত। কারণ আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইর রা. সূত্রে আর যে সমস্ত বর্ণনা রয়েছে সেগুলোতে "আঙ্গুল নাড়াতেন না" শব্দটি নাই।
    .
    #চতুর্থত: আঙ্গুল নাড়াতেন মর্মে হাদিসটির সানাদ অনেক মজবুত। বর্ণনাকারী প্রত্যেকেই সিক্বাহ (নির্ভরযোগ্য)
    এবং হাদিসে "তাশাহুদ" শব্দটি সুস্পষ্ট থাকায় অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য।
    আর আঙ্গুল না নাড়ানোর হাদিসটির সানাদ তুলনামূলকভাবে মজবুত নয় এবং হাদিসটিতে তাশাহুদ শব্দটি নাই। বিধায় এটি প্রাধান্য পাবে না।
    .
    #পঞ্চমত: বর্ধিত বিতর্কিত অংশ "নাড়াতেন না" বাদ দিলেই সমস্ত হাদিসের মধ্যে সামঞ্জস্যতা প্রতিষ্ঠা পায়। আর বাদ না দিয়ে আংগুল নাড়ানোর হাদিসের বিপরীতে উপস্থাপন করলে "আংগুল নাড়াতেন না" অংশটুকু শায হবে।
    .
    #ষষ্ঠত: আংগুল না নাড়ানোর হাদিসটি স্বলাতের ভিতরের নাকি বাহিরের সাথে সম্পর্কিত তা হাদিস থেকে জানা যায় না। তাই হাদিসটি অস্পষ্ট।
    .
    সুতরাং তাশাহুদে আঙ্গুল নাড়ানো রাসূল সা: থেকে প্রমাণিত সুন্নাত।

    এ পর্যায়ে হানাফীরা যদি বলে যে, ইমাম আবু দাউদ রহ. হাদিসটি বর্ণনা করে চুপ থেকেছেন আর যে হাদিসের উপর তিনি চুপ থাকেন, সেই হাদিস ইমাম আবু দাউদের নিকট সহীহ।
    .
    তাহলে আমরা হানাফীদের জানিয়ে দিতে চাই যে, উবাদা বিন সামিত রা. এর ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পাঠ করার হাদিসের ব্যাপারেও ইমাম আবু দাউদ রহ. চুপ ছিলেন। সুতরাং ইমামের পিছনে সূরা পাঠ করার হাদিসও ইমাম আবু দাউদ রহ. এর নিকট সহীহ। অথচ আপনারা এটিকে সহীহ মানেন না।
    আর এটাও বুঝা গেল ইমাম আবু দাউদ রহ. সহীহ ও যঈফ দুপ্রকারের হাদিসের ব্যাপারেই চুপ থেকেছেন। তাই ইমাম আবু দাউদ রহ. এর চুপ থাকাকে মাযহাবী মতের পক্ষে টেনে পানি ঘোলা না করাই উত্তম।
    .
    যদি বলেন সাধারণ যুক্তি হচ্ছে আংগুল না নাড়ানো, তবে আমরা বলব, রাসূল সা: যেখানে আংগুল নাড়িয়েছেন, সেখানে আমরা এসব যুক্তির ধার ধারি না। আমাদের রাসূল সা: আংগুল নাড়িয়েছেন, আমরাও নাড়াবো।
    .
    আল্লাহ আমাদের সত্য বুঝার ও আমল করার তাওফিক দান করুন। আমীন
    2 hrs · Like · 2

No comments:

Post a Comment